ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : ফের মেদিনীপুর শহরে টোটো চালক বনাম অটো চালকদের সংঘর্ষে চরম উত্তেজনা। দুই পক্ষের অবরোধ উত্তেজনা সামাল দিতে হিমশিম পুলিশ। আটক করা হল তিনজনকে। অটো ইউনিয়ন সভাপতির অভিযোগ বিধায়িকা জুন মালিয়ার পরোক্ষ মদতে টোটো ইউনিয়নের বাড়বাড়ন্ত, বিরোধীদের অভিযোগ, শাসদলের দুই ইউনিয়নের কোন্দলে ভোগান্তি যাত্রীদের।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here
সোমবার সকালে এক টোটো চালক যাত্রী নিয়ে কালেক্টরেট মোড়ে প্রবেশ করার সময় অটোচালক তাকে মারধর করে বলে অভিযোগ। তার প্রতিবাদে অবরোধ বিক্ষোভ শুরু করে টোটো চালকেরা। পাল্টা টোটো-র চালকদের দৌরাত্ম্যের প্রতিবাদ করে কালেক্টরেট মোড়ে অটো দাঁড় করিয়ে অবরোধ শুরু করে অটো চালকেরা। দুই পক্ষের সংঘর্ষ পরিস্থিতি তৈরী হলে সামাল দিতে ছুটে আসে কোতয়ালী থানার পুলিশ। বেলা ১১ টা থেকে চরম উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরী হয় শহরের কেন্দ্রস্থলে।
Midnapore
উল্লেখ্য, মেদিনীপুর শহরে অটো ও টোটো দুই ইউনিয়নই তৃণমূলের। তাদের সামাল দিতে চাপে পড়তে হয় পুলিশ কর্তাদের। টোটো ইউনিয়নের পক্ষ থেকে মলয় সাহা বলেন, “অটো চালকেরা জোর করে দিনের পর দিন টোটোর স্থানে এসে দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলছে। আমাদের যাত্রী নিয়ে আসা টোটো চালককে মারধর করেছে ওরা। নিজেদের রুটের বাইরে গিয়ে জোর করে যাত্রী তুলে নিচ্ছে। ওদের কারনেই গন্ডগোল।” অন্যদিকে তৃণমূল সমর্থিত অটো ইউনিয়নের সভাপতি সিরাজ আলি বলেন, “বেআইনি ভাবে বাইরে থেকে মেদিনীপুর শহরে প্রবেশ করছে প্রচুর টোটো।
আরও পড়ুন : সিপিএমের অত্যাচারে খেজুরিতে ঢোকা যেত না, সেই সময় গদ্দাররা কোথায় ছিল : মমতা
নিয়ম ভেঙে যেখান সেখান থেকে যাত্রী তুলছে। প্রশাসনকে জানিয়েও লাভ হয় নি। এর পেছনে মদত রয়েছে আমাদের বিধায়িকার। তাঁর জন্য আমরা ভোটে অনেক লড়াই করেছি। অথচ তিনিই এই টোটো চালকদের বেআইনি কাজকর্মে মদত দিচ্ছেন। উনার উচিত সমব্যবহার করা। আমরা একই দলের ইউনিয়ন হলেও ওনার আচর বিমাতৃসুলভ।” অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শহর তৃণমূল নেতা তথা মেদিনীপুর পৌরসভার পৌর প্রধান সৌমেন খান। তিনি বলেন, “অভিযোগ ভিত্তিহীন। বিষয়টি দলকে জানাচ্ছি।
এভাবে দলের বিধায়িকার বিরুদ্ধে মন্তব্য ঠিক নয়। দল ব্যবস্থা নেবে। সেই সাথে অটো-টোটো সমস্যা সমাধানেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিরোধীরা। বিজেপির জেলা সহ সভাপতি অরুপ দাস বলেন, “শাসকদলের গোষ্টী কোন্দল থেকেই এই সমস্যা মেদিনীপুরে। যার ভোগান্তি হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বিধায়িকা গোষ্ঠী বনাম জেলা তৃণমূল গোষ্ঠীর কোন্দলের ফল ভুগলো সাধারণ মানুষ।”
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Midnapore
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper