Vegetable Cultivation
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন: কেলেঘাই নদীর বাঁধ ভেঙে গত ১৬ সেপ্টেম্বর প্লাবিত হয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর ও ভগবানপুরের বিস্তৃর্ণ এলাকা। জলের তলায় চলে গেছিল সবকিছু। সেই তালিকায় ছিল সব্জির ক্ষেত ও। কয়েকদিন বৃষ্টি বন্ধ থাকায় পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছিল। কিন্তু পুজোর পর ফের নিম্নচাপের জেরে তিনদিনের ভারী বর্ষনে আবারো জলের তলায় সব্জির ক্ষেত । পরম যত্নে লাগানো ঢ্যঁড়স উচ্ছে বেগুন চাষে ব্যাপক ক্ষতি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর ২ ব্লকের পঁচেট, কাশীপুর মথুরা , আড়গোয়াল , সাউৎখন্ড পঞ্চায়েত এলাকাগুলি মূলত সবজি চাষের উপর নির্ভরশীল। বিঘার পর বিঘা আমন ধানের জমি জলমগ্ন।
আরও পড়ুন:- পশ্চিম মেদিনীপুরে রঙ কারখানা খুলছে বিড়লা গ্রুপ, বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ
হেক্টরের পর হেক্টর জমিতে ডিভিসির ক্যানেলের জল উপচে প্লাবিত হচ্ছে। আর তাতে ক্ষতি হচ্ছে সবজি চাষে। গ্রামবাংলার এই সবজি এগরা কাঁথি সহ শহরতলির বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছায়। লাগাতার বৃষ্টির ফলে গাছের গোড়ায় জল জমে পচন ধরতে শুরু হয়েছে। বিশেষ করে বর্ষাকালীন সব্জি কাঁচা লঙ্কা, বেগুন, উচ্ছে, ঝিঙে বরবটি এগুলি লাগাতার বৃষ্টির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে একদিকে যেমন যোগান কমছে অন্যদিকে বাজারে সব্জির অগ্নিমূল্য দাম হচ্ছে। সব মিলিয়ে বৃষ্টি যদি আবার হয় তবে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাবে সবজির দাম এমনটি আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
আরও পড়ুন:- ঝাড়গ্রামে ইউ এ পি ধারায় অভিযুক্ত টিপু সুলতানের ফের জেল হেফাজত
শুধু তাই নয় যেটুকু ফসল উৎপাদিত হচ্ছে তাও অতিমারি পরিস্থিতিতে রপ্তানিতে সমষ্যা কৃষকদের। ঋণ নিয়ে চাষ করেও মিলছে না সঠিক দাম। সারাবছর পরিবার চলতো শুধুমাত্র ঐ সব্জি চাষ করে তাও জলের তলায় চলে যাওয়ার রুচি রুটির রোজগারে বড়ো ধাক্কা খেল বলে কৃষকদের আক্ষেপ। স্থানীয় সবজি চাষী জগন্নাথ মাইতি জানান, নিজের দেড় বিঘা জমিতে ঢেঁড়স সহ বিভিন্ন সবজি চাষ করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ কেলেঘাই নদী ভেঙে যাওয়ায় নদীর জল এসে চাষ জমিতে ঢুকেছে। ফলে গাছের গোড়ায় যেমন জল ঢুকে গেছে, তেমনি পটলের মাচা চলে গেছে জলের তলায়।
আরও পড়ুন:- পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর সহ বিভিন্ন ব্লক এখনও জলমগ্ন, ত্রাণ শিবির ২০০ টি
এদিকে কয়েকদিন আগে প্রবল বৃষ্টির জলে চারিদিকের মাঠও পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়ায় পাম্প করেও জল বের করা যাচ্ছে না। জলের তলাতেই বিঘের পর বিঘে জমিতে সবজি নষ্ট হয়ে যাবে। এই পরিস্থিতিত সরকারের সাহায্য চাইছেন তাঁরা।সবমিলিয়ে এখন বিপুল ক্ষতির মুখে মাথায় হাত কৃষকদের। এবিষয়ে সাউৎখন্ড গ্ৰাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিজনবন্ধু বাগ বলেন, কেলেঘাই নদীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় সাউৎখন্ড সহ পাশ্ববর্তী গ্ৰাম পঞ্চায়েত এলাকায় হেক্টরের পর হেক্টর আমন ধান , সবজি ও মাছ চাষে ব্যপক ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন:- বাবা-মা কর্মসূত্রে বাইরে, পাঁশকুড়ায় ৩ দিন নিঁখোজ ছেলের হদিশ না মেলায় উদ্বেগে পরিবার
আমন ধান গাছ লাগানোর পর অতিবৃষ্টিতে জমির একাংশে ধান জলের তলায় চলে যাওয়ায় সার্বিক ফলনে ব্যাপক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা। বিঘের পর বিঘে জমি প্লাবিত হয়েছে। অপরদিকে পটাশপুর ২ ব্লকের বিডিও শঙ্কু বিশ্বাস বলেন, পটাশপুরে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে যেভাবে চাষের ক্ষতি হয়েছে, তাতে আমরা যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। তবে এই ব্লকের ১৫১ টি মৌজার ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা ক্ষতিপূরণ পাবেন। তবে সেই সমস্ত চাষীদের বাংলা ফসল বিমা যোজনার আওতায় থাকা বাধ্যতামূলক বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন:- ফেসবুকের কল্যাণে এক বছর বাদে মেদিনীপুর হাসপাতালে মাকে খুঁজে পেলেন দুই আদিবাসী যুবক
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Vegetable Cultivation
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore
Web Desk, Biplabi Sabyasachi online paper: The dam of Keleghai river broke and flooded a large area of Patashpur and Bhagwanpur in East Midnapore on September 16. Everything went under the water. That list included vegetable fields. The situation was gradually returning to normal as the rains stopped for a few days. But after Pujo, due to low pressure again, after three days of heavy rains, the vegetable fields were again underwater. Excessive damage to eggplant cultivation due to extreme care. Panchet, Kashipur, Mathura, Argoal, Southkhand panchayat areas of Potashpur 2 block of East Midnapore district are mainly dependent on vegetable cultivation. Bigha after Bigha Aman paddy land is submerged.
Hector after hectare of land is being flooded by DVC canal water. And the loss is in vegetable cultivation. This vegetable from rural Bengal reaches different parts of the suburbs including Egra Kanthi. As a result of continuous rains, water has started to rot at the base of the tree. Especially the rainy season vegetables like raw chilli, eggplant, squid are being damaged due to incessant rains. As a result, on the one hand, the supply is declining and on the other hand, the market price of vegetables is going up. All in all, if it rains again, the farmers are worried that the price of vegetables will go beyond the reach of the common man.
Not only this, the farmers are also facing problems in exporting the crop which is being produced in extreme conditions. Even cultivating with a loan does not match the right price. The farmers regret that the family was able to cultivate only those vegetables all year-round, but the taste of going to the bottom of the water was a big blow to their livelihood. Jagannath Maiti, a local vegetable farmer, said he used to cultivate various vegetables including potatoes on his 1.5 bighas of land. He complained that the Keleghai river had broken and the water of the river had flooded the farmland. As a result, just as water has entered the base of the tree, so has the platform of Patal gone under the water.
Meanwhile, a few days ago, the surrounding fields were filled with heavy rain water and the water could not be pumped out. Vegetation will be wasted in the land after the water under the water. They are seeking the help of the government in this situation. All in all, the farmers are now facing huge losses. Bijanbandhu Bagh, head of the Southkhand Gram Panchayat, said that the collapse of the Keleghai river dam has caused extensive damage to aman hectare of aman paddy, vegetables and fish in the adjoining gram panchayat areas including Southkhand.
After planting aman paddy trees, due to heavy rains, a part of the land goes under water, which is likely to have a huge impact on the overall yield. Land after land has been flooded. On the other hand, BDO Shanku Biswas of Potashpur 2 block said, “We are quite concerned about the damage caused to agriculture by the natural calamity in Potashpur.” However, the affected farmers of 151 mouzas of this block will get compensation. However, all those farmers are obliged to be covered under the Bangla Crop Insurance Scheme, he said.