Home » Midnapore :মেদিনীপুরের মাটি বিপ্লবের মাটি, এ মাটি সোনার চেয়েও খাঁটি”, বিপ্লবীদের পীঠস্থান মেদিনীপুরে এসে সংগ্রামী আবেগে ভাসলেন মুখ্যমন্ত্রী

Midnapore :মেদিনীপুরের মাটি বিপ্লবের মাটি, এ মাটি সোনার চেয়েও খাঁটি”, বিপ্লবীদের পীঠস্থান মেদিনীপুরে এসে সংগ্রামী আবেগে ভাসলেন মুখ্যমন্ত্রী

by Biplabi Sabyasachi
0 comments

The soil of Midnapore is the soil of revolution, this soil is purer than gold”, said the Chief Minister in Midnapore.

ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : জেলা সফরে বিপ্লবীদের পীঠস্থান মেদিনীপুরে এসে গতকাল ৫ ই মার্চ মঙ্গলবার মেদিনীপুর কলেজিয়েট মায়দানে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন “মেদিনীপুর জেলাকে আমি খুব ভালোবাসি, মেদিনীপুর জেলার মাটি দেশাত্ববোধের মাটি, দেশপ্রেমের মাটি, স্বাধীনতার মাটি, নবজাগরণের মাটি, বিদ্যাসাগরের মাটি, মাতঙ্গিনির মাটি, ক্ষুদিরামের মাটি, সতীশ সামন্তের মাটি দেশপ্রাণ শাসমলের মাটি, কৃষক আন্দোলনের মাটি, এ মাটি সোনার চেয়েও খাঁটি”।


আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ

ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here

Midnapore
নিজস্ব চিত্র

মুখ্যমন্ত্রী এদিন মেদিনীপুরের সভা থেকে তুলে ধরেন তাঁর রাজনৈতিক লড়াইয়ের বিগত কিছু ঘটনা। তিনি বলেন, “একদিন জঙ্গল মহল কাঁপত, মেদিনীপুর কাঁদত, ঝাড়গ্রাম কাঁদত, বাঁকুড়া কাঁদত, শালবনিতে ভয় পেত, লালগড়ে ভয় পেত, নেটাইতে ভয় পেত। মানুষের রুজি রোজকার বন্ধ হয়ে গেছিল, মানুষের মুখের হাসি উড়ে গেছিল, আর আজ স্কুল হচ্ছে, কলেজ হচ্ছে, হাসপাতাল হচ্ছে, রাস্তাঘাট হচ্ছে, বড় বড় বাড়ি হচ্ছে, বড় বড় মার্কেট হচ্ছে, দোকান হচ্ছে, বোনেরা কাজ করছে, এর থেকে বেশী আর কি চাই। শীত গ্রীষ্ম বর্ষা-মা মাটি মানুষের সরকারই ভরসা।”

Midnapore

এদিন মেদিনীপুরের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে ১২৬ টি জনমুখী প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ১৩৮ টি প্রকল্পের সিল্যানাস করেন মুখ্যমন্ত্রী। যার বরাদ্দ অর্থ ১৭১৯ কোটি ৫৪ লক্ষ টাকা। তার মধ্যে রয়েছে রাস্তা, পানীয়জল, স্কুল, হোস্টেল, সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র, সেচ ও জলপথ ব্যবস্থার উন্নয়ন, পাইপ লাইন নির্মাণ, মেদিনীপুর থেকে কেশপুর রাস্তা, কেশপুর থেকে চন্দ্রকোনা রাস্তা, চন্দ্রকোনা থেকে গোয়ালতোর হয়ে সারেঙ্গা রাস্তা, খরগপুর স্পোর্টস স্টেডিয়ামে গ্যালারি নির্মাণ, সবং এ মাদুর হাব, মেদিনীপুর কালেক্টরেট গেটের সামনে ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ, বীরসিংহ উন্নয়ন পর্ষদের অধীনে বেশ কয়েকটি রাস্তা নির্মাণ প্রভৃতি।

মেদিনীপুরের সভা থেকে আবারও কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে বিজেপিকে কটাক্ষ করেন তিনি। তিনি বলেন, সিপিএমের হার্মাদরাই এখন বিজেপির গদ্দার। সর্বদা ভুল বলে বেড়াচ্ছে। বাংলাকে বঞ্চনা করছে। আগামী মে মাসের মধ্যে কেন্দ্র আবাস যোজনার টাকা না দিলে রাজ্যের তহবিল থেকেই মে মাসের পরে ১১ হাজার বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হইবে বাংলায়। মেদিনীপুরের সভা থেকে আগামী ১০ ই মার্চ বিগ্রেডে বাংলার গর্জন সভায় যাওয়ার ডাক দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, আগামী দিনের লড়াই বাংলাই লড়বে। আগামী দিনের শেষ কথা বাংলাই বলবে, আগামী দিনের গর্জন বাংলাই করবে। চলুন সবাই ব্রিগেডে। বাংলার গর্জন, বাংলার তর্জন, বাংলার তুফান, বাংলার টর্নেডো, বাংলাকে বঞ্চনা করা চলবে না, বাংলা মাকে লাঞ্ছনা করা চলবে না।

আরও পড়ুন : প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা নেয়নি! কেউ স্বামী হারা, কেউ সন্তান হারা, মহিলারা জোট বাঁধলেন চোলাই ভাটি ভাঙতে

আরও পড়ুন : বনদপ্তরের জমি দখল করে অবৈধ নির্মাণ মেদিনীপুর শহরে, বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দিল বনদপ্তর

এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সভায় কলেজিয়েট মাঠ কার্যত ভরে ওঠে। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাসে করে মেদিনীপুরে পৌঁছায় সরকারি পরিষেবা প্রাপকরা। সকলের জন্য টিফিন এবং পানীয় জলের ব্যাবস্থা ছিল। টাইট সিকিউরিটিতে মোড়া ছিল গোটা মেদিনীপুর শহর এবং মুখ্যমন্ত্রীর সভাস্থল। সভাস্থলে পৌঁছানোর প্রত্যেকটি গেটেই ছিল মেটাল ডিটেক্টর । জয়েন্ট স্ক্রীনের মাধ্যমে সভাস্থলের বিভিন্ন জায়গা থেকে সরাসরি লাইভ প্রোগ্রাম দেখার ব্যাবস্থাও রাখা ছিল। এদিন দুপুর ১২ টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার পৌঁছায় কয়েজিয়েট মাঠের এক প্রান্তে। সভাস্থলে পৌঁছে প্রথমে স্ব-সহায়ক দলের স্টল ঘুরে দেখেন তিনি।

পরে উপভোক্তাদের হাতে সরকারি পরিষেবা তুলে দেওয়ার পাশাপাশি মূল বক্তব্য সহ প্রায় ১ ঘন্টা ১৭ মিনিট ছিলেন সভামঞ্চে। মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী মানস ভূঁইয়া, শ্রীকান্ত মাহাতো, শিউলি সাহা, মেদিনীপুরের বিধায়ক জুন মালিয়া, আরামবাগের সংসদ অপরূপা পোদ্দার, বিধায়ক হুমায়ুন কবির, জেলা পরিষদের সভাপতি প্রতিভা পাত্র এবং জেলার সকল তৃণমূল বিধায়করা। মঞ্চের ডান দিকে ভিআইপি জোনে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি, পুরসভা এবং গ্রাম পঞ্চায়েতস্তরের পদাধিকারী জনপ্রতিনিধিরা। সবশেষে ইন্দ্রনীল সেনের কণ্ঠে বসন্তের গানে এবং জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফর শেষ হয়।

আরও পড়ুন : ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে এবার অভিনেতা বনাম অভিনেতার লড়াই! জল্পনা তুঙ্গে

আরও পড়ুন : হুটার বাজিয়ে এসকর্ট করে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছাবে বনদপ্তর, থাকবে কড়া নজরদারি

লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi

Midnapore

– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper

You may also like

Adblock Detected

Please support us by disabling your AdBlocker extension from your browsers for our website.