বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : স্কুল বাঁচাতে ভরসা এলাকার শিক্ষিত বেকার ছেলে–মেয়েরা! এমনই ভাবছেন প্রধান শিক্ষক। নারায়ণগড়ের শশিন্দা সাগরচন্দ্র হাইস্কুলে এলাকার অনেকেরই ভাইঝি, ভাইপোরা পড়ে। তাদের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই প্রধান শিক্ষক যাবেন বেকার শিক্ষিত তরুণ–তরুণীদের কাছে। অনুরোধ করবেন স্কুলে পড়ানোর জন্য। প্রধান শিক্ষক দীপঙ্কর তেওয়ারির আশা ছাত্র স্বার্থে তাঁকে ফেরাবেন না এলাকার তরুণ–তরুণীরা। নিশ্চয় সাড়া দেবেন ছোটদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন :
For WhatsApp Group : Click Here

2/4. স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান, এই স্কুলে এলাকার যে ছেলে–মেয়েরা পড়াশোনা করে। তারা বেশির ভাগই স্কুলের পড়ার উপরে নির্ভর করে। গৃহশিক্ষক কিংবা কোটিংয়ে পড়ার সার্মথ্য নেই তাদের। এই অবস্থায় ওই স্কুলের ১৭ জন শিক্ষকের মধ্যে ৮ জন শিক্ষকের চাকরি গিয়েছে। ফলে মাধ্যমিক বিভাগ কিছুটা চালানো গেলেও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগ চালানোর মতো পরিস্থিতি নেই। উচ্চ মাধ্যমিকে থাকা নিউট্রিশন, কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন, কেমিস্ট্রি ও বায়োলজির শিক্ষকদের চাকরি গিয়েছে। তারই সঙ্গে ২ জন বাংলা শিক্ষকের চাকরি যাওয়ায় ইংরেজির মতো এ বার বাংলাতেও একজন শিক্ষক রইলেন। তা হলে কারা বাংলা, ইংরেজি পড়াবেন আর কারা উচ্চ মাধ্যমিকের কেমিস্ট্রি, বায়োলজি ক্লাস নেবেন?

আরও পড়ুন : “ভলেন্টিয়ার সার্ভিস দেব না,” ডিআই অফিসে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ-অবরোধ মেদিনীপুর শহরে
আরও পড়ুন : “ক্ষমতায় আমরাই এনেছিলাম, আমরাই নামাতে পারবো”, চাকরি হারিয়ে ফের বিক্ষোভ মেদিনীপুর শহরে
3/4. প্রধান শিক্ষক দীপঙ্কর বলেন, ‘নিউট্রিশনের একমাত্র শিক্ষক ছিলেন স্মৃতিকণা মণ্ডল তরফদার। যে দিন আদালত নির্দেশ দিল সকলের চাকরি গিয়েছে, সেদিনও তিনি ওই বিষয়ের প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা নিয়ে তার মূল্যায়ন করে স্কুল থেকে বেরিয়েছেন। না হলে সেই পরীক্ষাটিও নেওয়া যেত না। এবার কী হবে, জানি না।’ তিনি জানান, স্কুলের আশপাশের গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়াবেন তিনি। বিজ্ঞানের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর বেকার তরুণ–তরুণীর কাছে গিয়ে আবেদন জানাবেন।

আরও পড়ুন : একসঙ্গে ৪ শিক্ষকের চাকরি বাতিল চন্দ্রকোনার স্কুলে
আরও পড়ুন : মেদিনীপুরে মহিলা থানার অভ্যন্তরে মহিলাদের নির্যাতনের প্রমাণ, ‘মোমকাণ্ডে’ পুলিশকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

4/4. দীপঙ্করের বলেন, ‘স্কুল লাগোয়া গ্রামের যুবকরা যদি ক্লাস নিয়ে সাহায্য করে তবেই স্কুল চলবে। না হলে স্কুল চালানো অসম্ভব। যদি শিক্ষিত বেকার যুবকদের সাহায্য না মেলে তা হলে নতুন শিক্ষাবর্ষে উচ্চ মাধ্যমিকে ছাত্রও ভর্তি নিতে পারব না।’ উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষক তো নেই, মাধ্যমিকেরও শিক্ষক কমে গেল। প্রধান শিক্ষক জানান, এই স্কুলে শিক্ষকের অনুমোদিত পদ ২৬টি। ফলে এমনিতেই ৯টি শূন্যপদ ছিল। তার সঙ্গে আরও ৮টি পদ শূন্য হওয়ায় তা বেড়ে দাঁড়াল ১৭। এখন প্রধান শিক্ষককে নিয়ে ৯ জন শিক্ষকের উপরে ভর করে চালাতে হবে স্কুল। ফলে কোনও ক্লাসে বেশি ছাত্র থাকলেও সেকশন ভাগ করা যাবে না। বেলদা প্রভাতী বালিকা বিদ্যালয়েরও ৬ জন শিক্ষিকার চাকরি গিয়েছে এ বার। যাঁদের মধ্যে অঙ্ক, পদার্থবিদ্যা, জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষিকাও রয়েছেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা লক্ষ্মী অট্ট বলেন, ‘ক্লাস হয়তো ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। তবে এর ফলে অন্য শিক্ষিকাদের চাপ বাড়বে।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Gas Pipeline Fire
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper