ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : ‘মৎস্য মারিব খাইব সুখে’। মধ্যযুগীয় এই শ্লোক এখন কার্যত অতীত। নদী মাতৃক বাংলার বাসিন্দাদের মুখে প্রায়শই শোনা যায় হাহুতাশ। পুরাতন মানুষেরা বলেন, আগের মতো আর মাছ কই নদীতে। কিন্তু ওই সুখ ফিরিয়ে আনতে দুই মেদিনীপুরের বিভিন্ন নদীতে প্রায় ৫ লক্ষের কাছাকাছি মাছ ছাড়বে রাজ্য সরকার। মাছ ছাড়া হবে রাজ্যের অন্যন্য নদীতেও। শুধু তাই নয়, বাস্তবে এইসব মাছ যাতে নদীতে দ্রুত খাপ খাইয়ে নিতে পারে ও বড় হতে পারে তার জন্য পৃথক নির্দেশিকাও দেওয়া হয়েছে।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here
বলা হয়েছে, যে নদীতে মাছ ছাড়া হবে, প্রথমে সেই নদীর মাছ সংগ্রহ করে হ্যাচারীতে প্রতিপালন করে ডিম ফুটিয়ে চারা তৈরি করতে হবে। এরপর আঙুলের মতো বড় করে তা ওই নদীতেই ছাড়তে হবে। মৎস্য বিশেষজ্ঞদের দাবী এরফলে মাছের মৃত্যু হার কমার পাশাপাশি অনেক দ্রুত মাছ বৃদ্ধি পাবে। তবে সর্বত্র এই নিয়ম মানা হবে, নাকি আইনের ফাঁক গলে পুকুরে প্রতিপালন হওয়া মাছের থেকে চারা তৈরি করে নদীতে ছাড়া হবে, তা নিয়ে অনেকের মধ্যেই সংশয় তৈরি হয়েছে। মৎস্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে থেকেই নদীতে মাছের সংখ্যা বাড়াতে উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার।
Medinipur Jhargram
বর্ষার সময় বাংলার বিভিন্ন নদীতে মাছ ছাড়া হয়। অন্যান্যবার, টেন্ডার করে বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে মাছ সংগ্রহ করে তা নদীতে ছাড়তো মৎস্য দপ্তর। ওইসব এজেন্সি চারা মাছ তৈরি হয় এমন ছোট- বড় পুকুর থেকে মাছ সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট জায়গায় নিয়ে যেত। এরপর মৎস্য আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে নদীতে মাছ ছাড়া হতো। বহুদূর থেকে মাছ নিয়ে যাওয়ায় নদীতে ছাড়ার পর বেশ কিছু মাছ মারাও যেত। পুকুরের মাছ হওয়ায় ওইসব চারা মাছ নদীতে গিয়ে অনেক সময় খাপ খাইয়ে নিতে গিয়ে সমস্যায় পড়ত।
আরও পড়ুন : মেদিনীপুর কলেজ রোডে ফাস্টফুডের দোকানে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট দোকানের ৩ কর্মী, মৃত এক
আরও পড়ুন : বন্ধ বিদ্যালয়ে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ! তোলপাড় মেদিনীপুর শহরে
সেকারণে, এবার প্রথম নদী থেকে মাছ সংগ্রহ করার পর তা থেকেই ডিম পোনা ও চারা তৈরির কথা বলা হয়েছে। মৎস্য দপ্তরের ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যে নদীতে মাছ ছাড়া হবে, সেই নদী লাগোয়া হ্যাচারীতে মাছের চারা তৈরি করতে হবে। নদী থেকে সংগৃহীত মাছ থেকে আঙুলের সমান চারা মাছ তেরি করতে হবে। এরপর ওই মাছ নদীতে ছাড়তে হবে। প্রত্যেক পিস মাছের জন্য ৩ টাকা করে খরচ ধরা হয়েছে। দুই মেদিনীপুরের গুরুত্বপূর্ণ নদীগুলির মোট ১৮ টি ভিন্ন জায়গায় মোট ৫ লক্ষ ২০ হাজার মাছ ছাড়া হবে। এই কাজে খরচ হবে ১৫ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা।
ওইসব নদীর তালিকায় শিলাবতী, সুবর্ণরেখা, কংসাবতী ও কেলেঘাই, শিলাই, হলদি, রূপনারাণ, চন্ডিয়া সহ অন্যান্য নদী রয়েছে। রুই,কাতলা,মৃগেল সহ বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি জলের মাছ নদীতে ছাড়া হবে। এ বিষয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সহ মৎস্য অধিকর্তা অলোকনাথ প্রহরাজ, সহ মৎস্য অধিকর্তা বলেন, সরকারি নির্দেশ মতো নদীগুলিতে খুব শীগ্রই মাছ ছাড়া হবে, প্রস্তুতি চলছে, হ্যাচারী চিহ্নিতকরণ, নদীর মাছ সংগ্রহ করে চারা তৈরি ও নদীতে মাছ ছাড়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : বিদ্যুতে ফিক্সড ও মিনিমাম চার্জ বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ বিদ্যুৎ গ্রাহক সমিতির
আরও পড়ুন : আদালতের নির্দেশে অরবিন্দনগর টিভি টাওয়ার মাঠের রাস্তা বন্ধ করতে এসে বিক্ষোভে পড়লো প্রশাসন
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Medinipur Jhargram
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper