Elephant Attack
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : গত সাত দিনেরও বেশি সময় ধরে শালবনীর ভীমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঝিটকা, ধানশোলাসহ লালগড়ের বিভিন্ন গ্রামে ব্যাপক তাণ্ডব চালায় 45 টি হাতির একটি পাল। বনদপ্তরে হাতি তাড়ানোর দাবি জানিয়েও হাতির পাল না সরায় সোমবার রেঞ্জ অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। এদিন ধামসা, মাদল সহকারে মিছিল করে লালগড় রেঞ্জ অফিসে পৌঁছায় কয়েকশো গ্রামবাসী।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here
তাদের অভিযোগ, হাতির পাল অন্যত্র চলে গেলেও পুনরায় লালগড়ে ইচ্ছাকৃতভাবে নিয়ে আসা হচ্ছে। গ্রামবাসীরা জমি থেকে হাতির পালকে সরানোর জন্য বনদপ্তরের অফিসে গেলে মোবিলসহ অন্যান্য সরঞ্জাম দেওয়া হচ্ছে না। ক্ষতিপূরণও পাওয়া যাচ্ছে না। পাকা ধানে হাতির তাণ্ডবে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। স্থানীয় বাসিন্দা কার্তিক মাহাতো, দুলাল শবর, হরেন সিং-রা বলেন, “রেঞ্জ অফিসার হাতির পালকে সরানোর কোন উদ্যোগ নেয়নি।”
আরও পড়ুন : মৎস্যজীবিদের জালে বিরল প্রজাতির মাছ দীঘায়
Elephant Attack
অবিলম্বে হাতির পালকে না সরালে বৃহত্তরও আন্দোলনের পথে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। পাশাপাশি হাতির হানায় গৃহপালিত পশুর মৃত্যু হলে সাতদিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণ এবং রেঞ্জ অফিসারকে সরানোর দাবি তুলেছেন তারা। তাদের অভিযোগ, রেঞ্জ অফিসার দুর্নীতিগ্রস্ত। রাতের অন্ধকারে লরিতে করে গাছ পাচার হলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
আরও পড়ুন : ফের মেদিনীপুর স্টেশনে প্রসূতির বাচ্চা প্রসব, ভর্তি হাসপাতালে
আরও পড়ুন : শালবনীতে নিখোঁজ গৃহবধূর দেহ উদ্ধার পুকুর থেকে, তদন্তে পুলিশ
বন দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “হাতির পালকে সরানোর চেষ্টা চলছে। রূপনারায়ণ ডিভিশন থেকে পুনরায় হাতি ফিরে এসেছে। এলাকায় হাতি থাকলে বিভিন্ন সরঞ্জাম গ্রামবাসীদের দেওয়া হয়। ক্ষতিগ্রস্তরা সরকারী নিয়মানুসারে ক্ষতিপূরণ পাবেন।” ক্ষতিপূরণ না পাওয়ার বিষয়ে ওই বনাধিকারীক জানিয়েছেন, “যাদের জমির কাগজ নেই, বনদপ্তর বা সরকারি জমিতে চাষ করেন, তাদের ক্ষতিপূরণ পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা।”
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Elephant Attack
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali