পত্রিকা প্রতিনিধি : করোনাতে লকডাউনের সময়ের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের চাল আলুর সাথে মেয়াদ উত্তীর্ণ আয়রন ট্যাবলেট দেয়ার অভিযোগ উঠল প্রাথমিক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।যদিও বিদ্যালয়ের উদাসীনতার কারণে সকাল থেকে বিক্ষোভ দেখানোর পর বিকেলে বিদ্যালয়ের গেটে তালা ঝোলালেন বিক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা।ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থানার বাখরাবাদ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।জানা গেছে চলতি ৬ জুলাই বিদ্যালয় থেকে ছাত্রছাত্রীদের সরকারীভাবে বরাদ্দকৃত চাল-ডাল বিতরনের সাথে অায়রন ট্যাবলেট দেওয়া হয় বিদ্যালয় থেকে।তবে বেশ কয়েকদিন কাটার পর বুধবার এক অভিভাবকের নজরে এলে চাউর হয় এলাকায়।যা নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।অভিভাবকদের দাবি-কোন অভিভাবক তাদের ছেলেমেয়েদের একবার আবার দুবার ও খাইয়েছেন।যদিও ওই ট্যাবলেট গুলো নষ্ট হয়ে গিয়েছে।বিতরন করা ট্যাবলেট গুলি গত মে মাসে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে।বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে এই ঘটনা ঘটেছে।
যার কারণে বেশ কয়েকজন অভিভাবক আজ সকাল থেকে নির্দিষ্ট সুরাহার দাবিতে বিক্ষোভ দেখায়।জানানো হয় বিদ্যালয় পরিচালন সমিতিতেও।কিন্তু বিকেল গড়ালেও প্রধান শিক্ষক সহ বিদ্যালয়ের কেউ না আসায় বিক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা তালা ঝোলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গেটে।অভিভাবক সর্বানন্দ দে জানিয়েছেন-“চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে বিদ্যালয়ে থেকে চাল-ডালের সাথে মাসে চারটে করে খাওয়ানোর জন্য ওষুধ দেওয়া হয়েছে।কিন্তু ঘরে গিয়ে তা এক বা দুবার খাওয়ার পর নজরে আসে তা মেয়াদ উত্তীর্ণ।তা জানানোর পর এখনও বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে আসেনি।তাই বাধ্য হয়ে গেটে তালা লাগানো হয়েছে।”আক্ষেপ করে ওই অভিভাবক বলেন-“লকডাউনের সময়ে আমাদের বাচ্চাদের যদি কিছু হয়ে যায় ওষুধ খাওয়ার পর।তার দায় সম্পুর্ন প্রধান শিক্ষকের।”যদিও প্রধান শিক্ষক এ বিষয়ে মুখ খুলতে চান নি।প্রধান শিক্ষক শিবশংকর মুখার্জী জানিয়েছেন-“আমার এ বিষয়ে কিছু বলার নেই,যা বলার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলবেন।”
শুধু এই একবার নয়,এর আগেও মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বিলি বন্টনের অভিযোগ ছিল প্রধান শিক্ষক শিবশংকর মুখার্জীর বিরুদ্ধে।ফের একই ঘটনায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে অভিভাবকদের মধ্যে।অভিভাবক মতিলাল সেনাপতি জানিয়েছেন-“বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার ফলে এই ঘটনা ঘটেছে।ছাত্রছাত্রীদের মারার পরিকল্পনা করছে শিক্ষক।শুধু একবার নয় ২০১০ সালেও একই ঘটনা হয়েছে।তার ফের পুনরাবৃত্তি।”
লিখিত অভিযোগ এলে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন নারায়নগড় ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক।