ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : বিদ্যুতের মাশুল বৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং স্মার্ট মিটার বসানোর প্রতিরোধে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের বিক্ষোভ অবরোধে উত্তাল মেদিনীপুর শহর। বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর রেল স্টেশন থেকে মিছিল শহর পরিক্রমা করে জেলা শাসক দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখায়। সেখানে পথ অবরোধ করে। পোড়ানো হয় বিদ্যুতের ট্যারিফ অর্ডার ২০২৩। অগ্নিসংযোগ করেন বিদ্যুৎ গ্রাহক সমিতির (ABECA) রাজ্য সহ-সভাপতি মধুসূদন মান্না। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ তুলে নেয় বিক্ষোভকারীরা।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here
এরপর বিক্ষোভ মিছিল বিদ্যুতের রিজিওনাল ম্যানেজারের দপ্তরের অভিমুখে রওনা দেয়। আগে থেকেই সেখানে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন ছিল । গেট ঠেলে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে ঠেলাঠেলি শুরু হয়ে যায়। যার জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ফকিরকুঁয়া এলাকা। চলে বিক্ষোভ সভা। সংগঠনের এক প্রতিনিধি দল রিজিওনাল ম্যানেজারের নিকট ডেপুটেশনে দিতে যান। সংগঠনের অভিযোগ, “বিদ্যুতের লাইন কাটার কোন উত্তর দিতে পারবেন না বলেই আগে থেকে জানানো সত্ত্বেও আধিকারিকরা অফিস ছেড়ে পালিয়েছেন।”
Electricity Bill
আরও পড়ুন : আদালতের নির্দেশে অরবিন্দনগর টিভি টাওয়ার মাঠে বিকল্প রাস্তা
আরও পড়ুন : যমজ কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ায় বাড়িতে ঢুকতে দিল না শ্বশুর বাড়ির লোকজন
উপস্থিত ছিলেন, মধুসূদন মান্না, চন্ডী হাজরা, দীপক পাত্র, অশোক ঘোষ, সুশান্ত সাহু, ভবানী চক্রবর্তী প্রমুখ। চন্ডী বাবু বলেন, “সরকারি নির্দেশে বিদ্যুৎ দপ্তরের পক্ষ থেকে বেপরোয়া বিদ্যুৎ বিল পাঠানো হচ্ছে। বিদ্যুৎ গ্রাহকরা কার্যত দিশাহীন। বিশেষ করে ক্ষুদ্র শিল্পে মিনিমাম চার্চ প্রতি কেভিএ ২০০ টাকা করে (যা আগে ছিল না) নেওয়ার ফলে এক ইউনিটও বিদ্যুৎ না খরচ করে ৪-৫ হাজার টাকার বিল আসছে। একই অবস্থা কৃষিতেও। পরিণতিতে ক্ষুদ্র শিল্প ও কৃষি আজ ধ্বংসের মুখে। যে গ্রাহকরা টাকা দিতে পারছেন না দপ্তর অতি তৎপরতার সঙ্গে লাইন কেটে দিচ্ছেন।
অপরদিকে স্মার্টলি টাকা লুটের যন্ত্র স্মার্ট প্রিপেড মিটার বসানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এসবের প্রতিরোধে এই বিক্ষোভ।” এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দিয়ে চন্ডী হাজরা বলেন, “সরকার ও বিদ্যুৎ দপ্তরের এই সিদ্ধান্তের বলি ক্ষুদ্র শিল্প। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কলকাতায় শিল্প মেলা করে বৃহৎ শিল্প ও ক্ষুদ্র শিল্পের জয় গান গাইছেন। যা ক্ষুদ্র শিল্পের প্রতি নিষ্ঠুর প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয়। আমরা এর তীব্র ধিক্কার জানাই। সেই সঙ্গে দাবী করি পূর্বের মতোই মিনিমাম চার্জ বিবর্জিত বিদ্যুৎ বিল পাঠানো হোক। অন্যথায় বাস্তবে পশ্চিম বাংলার ক্ষুদ্র শিল্প নিঃশেষ হয়ে যাবে।”
আরও পড়ুন : সরকারি ভাবে সবুজ বাজির স্টল মেদিনীপুরে
আরও পড়ুন : মেদিনীপুরে মেডিক্যাল হাসপাতালের গেটের মুখে দোকান উচ্ছেদ পুরসভার
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Electricity Bill
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper