‘Don’t burn this spring,’ said the teacher of Medinipur Sadar
ওয়েব ডেস্ক , বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : একদিকে যখন পুরভোটের পারদ চড়ছে, ঠিক তখনই ‘এই বসন্তকে আগুনে পোড়াবেন না’ বলে বার্তা দিলেন মেদিনীপুর সদর ব্লকের গুড়গুড়িপাল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ব্রজদুলাল গিরি। মনিদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের জঙ্গল পথে এমনই লেখা পোস্টার লাগানো হয়েছে। সঙ্গে জুড়েছেন, ‘জঙ্গলে আগুন লাগাবেন না’, ‘উদ্ভিদ ধ্বংস হলে আমাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে’, ‘আঠারো বছরের আগে মেয়েদের বিয়ে নয়’।
আরও পড়ুন:- শাসকদলের সন্ত্রাসের অভিযোগে খড়্গপুর থানায় বিক্ষোভ বিজেপির
আরও পড়ুন:- তৃণমূল প্রার্থীদের প্রচারে মেদিনীপুর শহরে টিভি সিরিয়ালের অভিনেত্রী জবা
বিগত কয়েক বছর ধরেই ব্রজদুলাল পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতার বার্তা দিতে নানান প্রচার চালিয়ে এসেছেন। সঙ্গ দিয়েছে বিদ্যালয়ে পড়ুয়া শুভদীপ প্রামাণিক, শুভেন্দু কর, অভিজিৎ সামন্তরা। ব্রজদুলাল বলেন, মানুষজন অসচেতন ভাবে জঙ্গলে আগুন লাগিয়ে দেয়। জানেন না এতে কত বড় ক্ষতি হয়। সচেতন করতেই ছাত্রদের নিয়ে এই প্রচার। গুড়গুড়িপাল, শালিকা, ভাদুলিয়া এলাকার রাস্তার ধারে শতাধিক গাছে এমন পোস্টার বাঁধা হয়েছে। বসন্তে ঝরা পাতায় আগুন লাগানোর চেনা ছবি সর্বত্র। জঙ্গলের শুকনো ঝরা পাতায় কেউ বা কারা লাগিয়ে দেয় আগুন।
Medinipur
আরও পড়ুন:- শালবনীতে হাতির হানায় জখম, গোয়ালতোড়, গড়বেতায় নষ্ট ফসল
আরও পড়ুন:- মেদিনীপুর সদরে সিপিএম পার্টি অফিসে চলল অষ্টমপ্রহরের মোচ্ছব, আমন্ত্রিত তৃণমূল নেতারাও
আগুন লাগলে বিপর্যয় নেমে আসে পারে জঙ্গলের বাস্তুতন্ত্রে। ব্রজদুলাল মনে করেন, ছাত্র-ছাত্রী সহ এলাকার মানুষজনকে সচেতন করতে পারলে তবেই সম্ভব জঙ্গলে আগুন লাগানো থেকে। বিষয়টা এক বছরে যে সমাধান হয়ে যাবে তাও নয়। নিয়মিত ভাবে সকলে প্রচার করলে সম্ভব। মেদিনীপুর বনবিভাগের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন ভাবে বার্তা দেওয়া হচ্ছে জঙ্গলে আগুন না লাগানোর জন্য। ধরা পড়লে আইনত শাস্তির ব্যবস্থাও যে রয়েছে তাও মনে করিয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন:- নতুনদের নিয়োগের দাবিতে হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজে বিক্ষোভ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের
আরও পড়ুন:- দলে ‘অপছন্দের’ সুশান্ত ঘোষ হলেন সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক
চাঁদড়া রেঞ্জের বন আধিকারিক সুজিত পন্ডা বলেন, আগুন লাগলে বন্য জীবজন্তু, কীটপতঙ্গ সবারই ক্ষতি হবে। এর ফলে হিংস্র বন্যপ্রাণী আতঙ্কে জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে প্রবেশ করবে। শিক্ষক পরিবেশপ্রেমী রাকেশ সিংহ দেব বলেন, জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলির অধিবাসীদের অধিকাংশই শালপাতা সংগ্রহ করে জীবিকা অর্জন করেন।শুকনো শাল পাতা পড়ে থাকলে ভারী বর্ষায় শালজঙ্গলে এক বিশেষ ধরনের ছাতুও জন্মায়।
আরও পড়ুন:- সরকারি শিক্ষাক্ষেত্র বেসরকারী হাতে! বিক্ষোভ মেদিনীপুরে
কিন্তু জঙ্গলে আগুন দিলে নষ্ট হয় ছাতুর রেনুগুলি। ফলে বর্ষায় ছাতুর আকাল দেখা যায় বাজারে। জঙ্গলই হল জঙ্গলমহলের মানুষের আয়ের অন্যতম উত্স। জঙ্গলের পাতা থেকে কাঠ, ছাতু থেকে বিভিন্ন ধরনের ফল, ভেষজ শিকড় লতা থেকে মধু এই সব কিছুই এখানের মানুষের আয়ের অন্যতম মাধ্যম। ফলে আগুন লেগে জঙ্গল পুড়ে গেলে নষ্ট হয় এইসব আয়ের উৎসগুলো।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.cm/biplabisabyasachi
Medinipur
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore