বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ভেতরে দালাল চক্র নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন উঠেছিল। মাইকিং করে সেই বিষয়ে হাসপাতালে আসা রোগীদেরও সতর্ক করার ব্যবস্থা রয়েছে হাসপাতালের পক্ষ থেকে। তারপরেও একদল লোকজন বেসরকারি ল্যাবরেটরীতে রোগীদের রক্ত ও বিভিন্ন পরীক্ষা করানোর জন্য হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে প্ররোচনা দিচ্ছে বলে অভিযোগ। হাসপাতালে চিকিৎসকরা রক্ত বা বিভিন্ন পরীক্ষা করার জন্য প্রেসক্রিপশন করে দিচ্ছেন আউটডোরে। আগে থেকে ওত পেতে থাকা বিভিন্ন বেসরকারি ল্যাবরেটরির এজেন্টরা তাদের গিয়ে ধরে ফেলছে।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন :
For WhatsApp Group 1: Click Here
For WhatsApp Group 2: Click Here
তাদের বুঝিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বাইরের ল্যাবরেটরীতে পরীক্ষার জন্য। শুক্রবার দুপুরে হাতেনাতে ধরে ফেলে দুই যুবককে। পরে নিয়ে যায় কোতয়ালী থানার পুলিশ। কিভাবে রোগী বা রোগীর আত্মীয়দের বোঝাতে সক্ষম হচ্ছে বেসরকারি ল্যাবরেটরির লোকজন? খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর হাসপাতালে আউটডোরে আসা রোগীদের বিভিন্ন পরীক্ষার জন্য পরবর্তী দিন নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। যেদিন ডাক্তার দেখাতে আসেন, সেদিন সমস্ত ধরনের পরীক্ষা হয় না। যার ফলে ভোগান্তি এড়াতে বেসরকারি ল্যাবরেটরির দিকে ঝোঁক বাড়ছে রোগীদের। অতীতে দেখা গিয়েছে, জ্বরে আক্রান্ত শিশুর ক্ষেত্রেও রক্ত পরীক্ষার দিন নির্ধারণ করা হয়েছিল কুড়ি দিন পরে।
যা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। তড়িঘড়ি ওই পরিবারকে ডেকে রক্ত পরীক্ষা করিয়ে তার চিকিৎসা শুরু করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ফলে হাসপাতালের ভেতরে বিনামূল্যে পরীক্ষা করাতে হলে অনেকটাই অপেক্ষা করতে হয় বলে দাবি রোগীর পরিবারদের। শুক্রবার দুই যুবককে দেখা যায় মেদিনীপুর হাসপাতালে আউটডোর থেকে বের হওয়ার রোগীদের বোঝাচ্ছেন। জানা গেল, ওই রোগীরা সদ্য আউটডোরের চিকিৎসকের কাছে নিজেদের সমস্যার প্রেসক্রাইব করিয়েছেন। রক্ত বা বিভিন্ন পরীক্ষা করানোরও পরামর্শ দিয়েছেন সরকারি চিকিৎসক। কিন্তু সেই পরীক্ষা করানোর কথা মেদিনীপুর হাসপাতালেরই নির্দিষ্ট ল্যাবরেটরীতে।
Midnapore Hospital
আরও পড়ুন : প্লাবিত ঘাটাল, মেদিনীপুর শহরেও বাড়িতে ঢুকলো জল
আরও পড়ুন : বনদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই মহিলা কলেজে গাছ কেটে পরিবহনের অভিযোগ
বাইরে থেকে আসা বেসরকারি ল্যাবরেটরির লোকজন ঐ সমস্ত রোগীদের বোঝাচ্ছিল, হাসপাতালে পরীক্ষার গুণমান খারাপ এবং অনেক সময় লাগে। তাই কম পয়সায় বাইরে থেকে পরীক্ষা করে নেওয়া ভালো। এমন বিভিন্ন প্ররোচনা দেওয়া চলছিল তাদের। এরপরেই দূর থেকে লক্ষ্য করা পুলিশকর্মী ও সংবাদ মাধ্যম তাদের ঘিরে ফেলে হঠাৎ। পালানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়ে যায়। তাদের আটকে ওই দুই যুবকের ব্যাগ পরীক্ষা করতে বেরিয়ে আসে রক্তের নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন উপকরণ। পুলিশের চাপে সবটা স্বীকার করে তারা।
বেশ কিছুদিন ধরে এই দালাল চক্র সক্রিয় হচ্ছিল মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল চত্বরে। অনেকের এমন দাবিও ছিল, মেদিনীপুর হাসপাতালে আসা রোগীদের আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা করছে বিভিন্ন দালালরা। তাদের রক্ত পরীক্ষা করতে বলা হলে হাসপাতালে না করিয়ে বাইরের নার্সিংহোম বা বিভিন্ন কোম্পানির ল্যাবরেটরিগুলিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এতে সাধারণ গরিব মানুষেরা সর্বস্বান্ত হচ্ছিলেন। তারপরেই পুলিশের পদক্ষেপ। ধৃত ২ যুবককে আটক করে কোতয়ালী থানার পুলিশ। সেই সঙ্গে আগত রোগীদের বিভিন্নভাবে সচেতন করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন : ইসরোর দরবারে পিংলার সৌম্যদীপ! ভবিষ্যতে স্বপ্ন গবেষণার
আরও পড়ুন : পুরোনো মামলায় বিজেপির একাধিক নেতা কর্মীর বাড়িতে অভিযান পুলিশের
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Midnapore Hospital
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper