Jhargram ravaged by elephant attack, houses are destroyed daily, locals spend their days in ‘helpless’ condition.
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : মাসের পর মাস হাতির হানায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন স্থানীয় মানুষজন। তার সঙ্গে ভেঙে চলেছে একের পর এক বাড়ি। কার্যত অসহায় অবস্থায় দিন কাটছে তাদের। আশঙ্কা প্রাণহানিরও। বনদপ্তরের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। লাগাতার অবরোধ বিক্ষোভের পরেও সমাধান অধরা। যদিও বনদপ্তরের দাবি হাতির পালকে অন্যত্র সরানোর চেষ্টা চলছে। বৃহস্পতিবার রাতে কলাইকুন্ডা রেঞ্জের ভুরকুন্ডি গ্রামে হামলা চালায় হাতির পাল। একাধিক বাড়ি ভেঙে ফেলে।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here
স্থানীয়রা জানান, যে কোন মুহূর্তে বিপদ ঘটতে পারত। পাশাপাশি দলছুট দাঁতাল ইন্দখাঁড়া এলাকার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তান্ডব চালায়। সম্প্রতি ৪০টি হাতির একটি পাল ঝাড়গ্রাম থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের চাঁদড়া এলাকায় প্রবেশ করে। তাতে কিছুটা স্বস্তি মিললেও এখনো শতাধিক হাতি ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ব্যাপক ক্ষতি করেছে ফসলের। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এভাবে কয়েক বছর থাকলে খাদ্য সংকট দেখা দিবে এলাকায়। বছরে বর্ষাকালের সময় তারা ধান চাষ করেন।
Elephant Attack
সেই চাষ বাড়িতে না উঠলে সারা বছরের খাদ্য সংকট দেখা দেবে। তবে পশ্চিম মেদিনীপুরে হাতির পাল প্রবেশ করলেও বাড়ি ভাঙার ঘটনা ঘটেনি। যা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে কেন ঝাড়গ্রামে নিত্যদিন হাতির হানায় বাড়ি ভাঙার ঘটনা ঘটছে অথচ পশ্চিম মেদিনীপুরে সেই ঘটনা ঘটছে না। কলাইকুন্ডার হুলা টিমের এক সদস্য জানান, “ওই এলাকায় জঙ্গল গভীর নয়, তারউপর স্থানীয় যুবকরা অতিউৎসাহিত হয়ে দুপুর থেকেই জঙ্গলে ঢুকে উত্যক্ত করে। সেই রাগে হাতির পাল রাতের বেলায় হামলা চালায়।”
আরও পড়ুন : মেদিনীপুর কলেজ রোডে ফাস্টফুডের দোকানে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট দোকানের ৩ কর্মী, মৃত এক
আরও পড়ুন : বন্ধ বিদ্যালয়ে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ! তোলপাড় মেদিনীপুর শহরে
পশ্চিম মেদিনীপুরের বনদপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “বনকর্মীরা বিকেল থেকেই হাতি যে জঙ্গলে থাকে সে এলাকায় নজরদারি চালায়। স্থানীয় এবং বাইরের থেকে যুবকরা যারা হাতি দেখার জন্য জঙ্গলে প্রবেশ করে, তাদের বাধা দেওয়া হয়। কোন রকম ভাবে হাতিকে যাতে উত্যক্ত না করা হয় তার সবরকম ব্যবস্থা করেন বনকর্মীরা।” তবে ঝাড়গ্রামের কলাইকুন্ডা এলাকায় এখনো শতাধিক হাতি থাকায় ফের আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এলাকা থেকে কবে সরবে হাতির পাল তা নিয়েও চিন্তায় এলাকাবাসীসহ বনদপ্তর।
আরও পড়ুন : বিদ্যুতে ফিক্সড ও মিনিমাম চার্জ বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ বিদ্যুৎ গ্রাহক সমিতির
আরও পড়ুন : আদালতের নির্দেশে অরবিন্দনগর টিভি টাওয়ার মাঠের রাস্তা বন্ধ করতে এসে বিক্ষোভে পড়লো প্রশাসন
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Elephant Attack
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper