ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : আজ পালিত হচ্ছে জগন্নাথ,বলরাম ও সুভদ্রার স্নানযাত্রা।জগন্নাথদেবের প্রধান উৎসব রথযাত্রা। শাস্ত্র অনুসারে জৈষ্ঠ মাসের পূর্নিমা তিথিতে স্বয়ম্ভু মনুর যজ্ঞের প্রভাবে জগন্নাথ আবির্ভূত হয়েছিলেন। তাই এই তিথিকে জগন্নাথদেবের জন্মদিন হিসেবে পালন করার নির্দেশ দেন স্বয়ং মনুই। সেই জন্মদিন উপলক্ষ্যেই এই বিশেষ স্নান উৎসব পালিত হয়। মেদিনীপুর শহরের জগন্নাথ মন্দিরে স্নান যাত্রার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে রবিবার (৪ জুন)সকাল থেকেই ।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here
আর দিন ১৫ পরই রথযাত্রা। আর এই রথযাত্রার অংশই হল স্নানযাত্রা। আজ স্নান যাত্রার এই তিথিতেই জগন্নাথদেব মর্তে আবির্ভূত হয়েছিলেন বলে জানা যায়। এবছর রথ ২০ জুন। স্নানযাত্রার পর ধুমধাম করে পালিত হয় রথযাত্রা। আর রথ মানেই পুজোর কাউন্টডাউন শুরু। এই সময় থেকেই কুমোরটুলিতে বায়না হয়ে যায় দূর্গাপ্রতিমার। রথের রশিতে টান দিয়েই দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়। এবছর বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে প্রভু জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রার উৎসব চলছে মেদিনীপুর শহরের জগন্নাথ মন্দিরে।
প্রতিবারের মতো এবারও মন্দির সংলগ্ন কংসাবতী নদী থেকে বাদযন্ত্র সহকারে ৭ টি কলসিতে করে জল আনা হয়। সকল ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে হয় স্নানযাত্রা। এবার সকাল থেকেই বহু ভক্তের সমাগম হয় মেদিনীপুরের জগন্নাথ মন্দিরে। প্রসঙ্গত আগামী ২০ জুন পড়েছে রথযাত্রা এবং ২৮ জুন পড়েছে জগন্নাথদেবের পুনর্যাত্রা অর্থাৎ উল্টো রথ । জগন্নাথ কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘ অন্যান্য বছরের ন্যায় শহরজুড়ে রথের পরিক্রমা করানো হবে । নতুনবাজার সংলগ্ন মাসির বাড়িতে জগন্নাথের বিভিন্ন বেশে পুজো ও অন্যান্য ধর্মীয় রীতি পালিত হবে।”
কথিত আছে, স্নানযাত্রার পরে শ্রীজগন্নাথদেব এক পক্ষ কাল দৃশ্যমান থাকেন না। মনে করা হয়, তাঁর জ্বর হয়েছে। সেই সময়ে তিনি রাজবৈদ্যের অধীনে চিকিৎসিত হতে থাকেন। এই পর্বটিকে ‘অনাসর’ বা ‘অনবসর’ বলা হয়। যেহতু এই সময়ে দারুব্রহ্মকে দেখা যায় না, সেহেতু তাঁর পটচিত্রে পুজো দেন ভক্তরা। কথিত আছে, আজ স্নানযাত্রার পর জগন্নাথ দেব জ্বরে কাবু হয়ে গৃহবন্দী হবেন।জ্বর সারাতে দয়িতাপতিরা ওষুধ পথ্য অর্থাৎ মিষ্টি রসের পানা বিশেষ পাচন ও নানা ধরণের মিষ্টান্ন ভোগ দেন। কথিত আছে, রাজবৈদ্যের আয়ুর্বৈদিক ‘পাঁচন’ খেয়ে এক পক্ষকালের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেন।
সুস্থ হয়ে উঠে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা রাজবেশে সজ্জিত হয়ে রথযাত্রা করে মাসির বাড়ি যান।রথের আগে পর্যন্ত ভক্তরা জগন্নাথ দেবের দর্শন পাবেন না। এই কয়েকটা দিন পূজিতও হবেন না জগতের নাথ। রীতিমত কম্বল মুড়ি দিয়ে গৃহবন্দী হয়ে থাকার পর হবেনা রথযাত্রার দিন রাজ বেশে রাজ রথে করে অবতীর্ণ হবেন মাসির বাড়িতে। ঘি মধু থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকমের ফলের রস ও অসংখ্য দ্রব্যাদি দিয়ে জগন্নাথকে স্নান করানো হচ্ছে সকাল থেকে।এক পক্ষকাল জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রা দৃশ্যমান থাকেন না। শ্রীচৈতন্যদেব পুরীতে অবস্থানকালে প্রতিদিন জগন্নাথ সন্দর্শনে যেতেন।
অনবসরকালে তিনি এই সন্দর্যন থেকে বঞ্চিত হন। তখন তাঁকে স্বয়ং ভগবান জানান, তিনি অলরনাথ রূপে বিরাজ করছেন ব্রহ্মগিরিতে। শ্রীচৈতন্য ব্রহ্মগিরিতে গিয়ে জগন্নাথ দর্শন করেন। স্নানযাত্রার কারণে গতকাল সোমবার থেকেই দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ হয়েছে পুরীর মন্দিরের দরজা। প্রত্যেক বছর দেবস্নান পূর্ণিমায় পালিত হয় এই রীতি। মহাস্নানের আগে পর্যন্ত জগন্নাথ রত্নবেদীতেই থাকেন। প্রথমে জগন্নাথ, তারপর বলরাম ও শেষে সুভদ্রাকে পুষ্পাঞ্জলি দেন মন্দিরের সেবায়েতরা। এরপর তাঁদের স্নানবেদীতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মঙ্গল আরতি ও সূর্যপুজোর পর তিনজনকে প্রস্তুত করা হয় মহাস্নানের জন্য।
আরও পড়ুন : বন সহায়কের ১০০ পদে পশ্চিম মেদিনীপুরে আবেদন ২৫ হাজার, রয়েছেন বি টেক, এমএ, এমএসসি ডিগ্রিধারীরা
আরও পড়ুন : রেলবাজেটে ঘোষণা হলেও রেলপথ হয়নি, ঘাটালে রেলপথের দাবিতে এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Jagannath Snan Yatra 2023
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper