Illegal Construction
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : মেদিনীপুর শহরের প্রান্তে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বৈশাখীপল্লীতে বনদপ্তরের জায়গাতে তৈরি হয়েছিল বেশ কিছু বাড়ি। যার বেশিরভাগটাই বাইরে থেকে আসা লোকজনের। একটি দুটি করে প্রায় ২০০ পরিবারের বসবাস বনদপ্তরের জমিতেই। এই দখলদারি আটকাতে নির্দিষ্ট স্থান পর্যন্ত পরিখা কেটে সীমা দিয়েছিল বনদপ্তর। তারপরেও বাড়ছিল বহর। স্থানীয়দের মারফত অভিযোগ পেয়ে শনিবার খতিয়ে দেখে নোটিশ দিয়েছিল। রবিবার সকাল থেকে বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে দিল বিভিন্ন নির্মাণ।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here
যার বেশিরভাগটাই অবশ্য বাণিজ্যিক স্বার্থে তৈরি হয়েছিল। শহরের প্রান্তে থাকা ওই জমি একসময় নিজেদের বসবাসের জন্য বেশ কিছু ভূমিহীন লোকজন তৈরি করলেও পরবর্তীকালে একদল লোকজন বনদপ্তরের জমি দখল করে অন্য লোককে বিক্রি করা শুরু করে। তবে এই অবৈধ নির্মাণ ভাঙার মধ্য দিয়ে বনদপ্তর বার্তা দিয়েছে, আরও যে সমস্ত স্থানে অবৈধ বাড়ি ও জায়গা দখল করে কৃষি জমি রয়েছে এবার সেইসব জায়গাগুলিতেও অভিযান চালাবে। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়, মহিলা কলেজ ও ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের সামনে ওই স্থানটিতে অসাধু লোকজনের দখল করা জায়গা কিনে বড় বড় বাড়ি তৈরি করে মেস ও হোস্টেল তৈরি করেছেন বেশ কিছু লোকজন।
আরও পড়ুন : হাসপাতালের বেডেই মাধ্যমিক পরীক্ষা দিল চাঁদমণি
আরও পড়ুন : কোথাও এসকর্ট করে, কোথাও হুলা জ্বালিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছে দিলেন বনকর্মীরা
Illegal Construction
Illegal Construction
এক সময় যেটা বসতি ছিল, সেটা এখন পুরোপুরি বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে তৈরি মেস-হোস্টেল এলাকা বলাই ভালো। ক্রমেই দখলদারি বাড়ছে দেখে বনদপ্তরের পক্ষ থেকে কয়েক বছর আগে পরীখা কেটে সীমানা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল। তাকে ছাপিয়েও নির্মাণ শুরু হয়। শনিবার অভিযোগ পেয়ে বনদপ্তর অভিযান চালায় ওই এলাকায়। সন্ধ্যার মধ্যে নোটিশ দিয়ে দেওয়া হয় এমন বেশ কিছু বাড়িতে। রবিবার বেলা ১১ টা নাগাদ পুলিশ ও বনদপ্তরের আধিকারিকরা উপস্থিত থেকে পরিখার বাইরে থাকা বাড়িগুলি ভাঙা শুরু করে। এতে অবশ্য স্থানীয় বেশিরভাগ লোকজন সমর্থন করেছে বনদপ্তরের উদ্যোগকে।
বনদপ্তরের মেদিনীপুর রেঞ্জের আধিকারিক শান্তনু কুলভি বলেন, “বনদপ্তরের জমি দখল করে অনেকগুলি অবৈধ নির্মাণ তৈরি হয়েছিল। সেগুলিকে ভেঙে সরানো হয়েছে। পরবর্তীকালে এই এলাকায় স্থান নির্দিষ্ট করে গাছ লাগানো বা অন্যান্য পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। তবে এই উচ্ছেদে স্থানীয়রা সক্রিয় সহযোগিতা করেছেন।” দোতলা বাড়ির অংশও ভাঙ্গা পড়েছে এমন এক বাসিন্দা দেবপ্রসাদ আঢ্য বলেন, “সম্প্রতি বেশ কিছু লোকজন বনদপ্তরের জমি দখল করে বিক্রির চক্র সক্রিয় করেছিল। সেখানে আমি বা ,কয়েকজন বাধা দিয়েছিলাম বলে পরিকল্পনা করে বনদপ্তরকে টেনে এনে আমাদের বাড়ি ভাঙালো। আমার বাড়ি বনদপ্তরের দেওয়া সীমানার বাইরে ছিল। ১২ ঘণ্টার নোটিশে কখনোই কারও বাড়ি ভাঙা যায় না। আইনি জবাব দেওয়ার আগেই আমার বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে।”
আরও পড়ুন : ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে এবার অভিনেতা বনাম অভিনেতার লড়াই! জল্পনা তুঙ্গে
আরও পড়ুন : হুটার বাজিয়ে এসকর্ট করে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছাবে বনদপ্তর, থাকবে কড়া নজরদারি
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Illegal Construction
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper