Financial Shortage
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন: দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় পড়াশোনা ছেড়ে কাজের খোঁজে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিয়েছে পড়ুয়ারা। কেউ বিভিন্ন গ্যারেজে, কৃষিজমিতে কাজে নেমে পড়েছে। তাদের অনেকেই আর ফিরতে চাই না বিদ্যালয়ে। বিদ্যালয়গুলিতে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পঠন-পাঠন চালু হয়েছে। তা হলেও বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি আশাব্যঞ্জক নয়। বিদ্যালয়মুখী না হয়ে ছাত্রদের অনেকেই এখন রোজগারের ঝোঁকে। বিদ্যালয়ে ছাত্রদের উপস্থিতি কম দেখে শিক্ষা দপ্তর সম্প্রতি নোটিশ দিয়েছে “ছাত্র-ছাত্রীদের বিদ্যালয়মুখী করতে শিক্ষকদের বাড়ি যাওয়ার।”
আরও পড়ুন:- ছাত্রদের বিদ্যালয়মুখী করতে পশ্চিম মেদিনীপুরে মাইকিং
আরও পড়ুন:- স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে মেদিনীপুরে অবরোধ ছাত্র-যুবদের, বিক্ষোভকারীদের সরালো পুলিশ
মেদিনীপুর গ্রামীণের অনেক ছাত্র সোনার কাজে পাড়ি দিয়েছে দিল্লি, চেন্নাই। অনেকে অন্যের জমিতে শ্রমিকের কাজে ব্যস্ত। কেউ গিয়েছে বালি খাদানে। লক্ষ্য পরিবারে আর্থিক সহায়তা করা। এইসময় চাষের মরশুম। দ্রুত ধান কেটে সেখানে আলু ও অন্যান্য সবজি চাষের তোড়জোড় চলছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। সেই কাজে হাত লাগিয়েছে বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও। মেদিনীপুর সদর ব্লকের গুড়গুড়িপাল এলাকায় গ্রামের পর গ্রাম ছাত্ররা এখন চাষের মরসুমে রোজগার করতে ব্যস্ত। লকডাউনের আর্থিক সংকট তাদের সে দিকেই ঝুঁকে পড়তে বাধ্য করেছে! তাই বিদ্যালয় খুললেও সেদিকে খুব একটা নজর নেই তাদের।
Financial Shortage
লোহাটিকরী, শালিকা, গুড়গুড়িপাল এলাকার এক দল এমন ছাত্রদের দেখা গেল যারা দল বেঁধে মাঠে আলুর জমিতে কাজ করছে। তারা জানাচ্ছে, লকডাউনের পর বিদ্যালয় বন্ধ হতেই সকলেই পরিবারের আর্থিক সংকটের কারণে বিভিন্ন কাজে লেগে পড়েছে। পরিবারের লোকজনও এই সময়ে আর্থিক সুরাহা হবে মনে করে তাদের মাঠে পাঠিয়েছে শ্রমিক হিসেবে। শালিকা এলাকার বাসিন্দা অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র সৈকত রাউল বলেন, “লকডাউনের পর থেকেই শ্রমিকের পেশায় নেমেছি। পরিবারের আর্থিক সমস্যার সমাধানে এই কাজ করতে হয়। সারাদিন পরিশ্রমের পর সন্ধ্যায় সময় হলে একটু পড়াশোনা করি।” অপর একজন সুরজিৎ মহাকুড় ভুলেই গিয়েছে কত দিন সে বিদ্যালয়ে যায় নি।
আরও পড়ুন:- এবার পূর্ব মেদিনীপুরে খেজুরীতে শুভেন্দু অধিকারীর পদযাত্রায় হামলার অভিযোগ, ধুন্ধুমার কান্ড এলাকায়
সে জানায়, “পড়াশোনার ইচ্ছে থাকলেও যেহেতু বিদ্যালয় এখনো খোলেনি তাই পড়াশোনা বাদ দিয়ে এইভাবে কাজ করি। এতে অনেক টাকা রোজগার হয়।” আবার অনেকে জানায়, “বিদ্যালয় চালু হলেও একদিন ছাড়া স্কুলে যেতে হয়। সেরকম চাপ নেই। তাই সেই সুযোগে এই কাজ করি। গ্রামের একজন চুক্তিতে বিভিন্ন কাজ ধরে। তার হয়ে বিভিন্ন মাঠে গিয়ে গ্রামের এরকম অনেক ছাত্র আলুর জমিতে কাজ করে।” এলাকার বাসিন্দা চাষী রামপদ দে বলেন, “লকডাউনের আগে এই পরিস্থিতি ছিল না। লকডাউনের ফলে পরিবারগুলির রোজকার হারিয়ে এই পরিস্থিতি।
আরও পড়ুন:- মেদিনীপুরে ঘুড়ির সিন্থেটিক মাঞ্জা সুতোয় কাটল চিলের ডানা
পরিবারের লোকজন এই সমস্ত ছোট ছোট ছেলেদের রোজগারের জন্য কাজে পাঠাতে বাধ্য হয়েছে।” এই পরিস্থিতির পিছনে লকডাউনের ফলে অর্থনৈতিক অবনতির কারণ বলে মনে করছেন শিক্ষকরাও। তাদের দাবি, শিক্ষা দপ্তর ও প্রশাসন বিদ্যালয় খুলে সকলকে বিদ্যালয় চলে আসতে বললেই এই ধরনের ছাত্ররা বিদ্যালয়মুখী হবে না। এর জন্য আরও উদ্যোগ নিতে হবে। স্থানীয় ক্লাব ও বিভিন্ন লোকজনদের নিয়ে অভিভাবকদের সচেতন করতে হবে। তা না হলে বিদ্যালয়বিমুখ এই ছাত্রদের স্রোতকে বিদ্যালয়ের মুখে নিয়ে যাওয়া সহজে সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন:- অসুস্থ হয়ে মেদিনীপুর সংশোধনাগারের বন্দি ভর্তি মেদিনীপুর মেডিক্যাল হাসপাতালে
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Financial Shortage
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore
Financial Shortage
Web Desk, Biplabi Sabyasachi online paper: As the school has been closed for a long time, the students have left their studies and migrated to other states in search of work. Someone has gone to work in different garages, on agricultural land. Many of them do not want to go back to school. Teaching has been introduced in schools from class IX to class XII. However, the attendance of students in the school is not promising. Many students are now inclined to earn money instead of going to school. Seeing the low attendance of students in the school, the education department has recently issued a notice “to go to the teachers’ house to make the students go to school.”
Many students of Medinipur Grameen have migrated to Delhi, Chennai for gold. Many are engaged in labor work on other people’s lands. Someone went to the sand pit. The goal is to provide financial support to the family. This is the season of cultivation. In West Midnapore district, cultivation of potato and other vegetables is in full swing. The students of the school also got involved in that work. Village after village students in Gurguripal area of Medinipur Sadar block are now busy earning money during the farming season. The financial crisis of lockdown has forced them to lean towards that! So even if the school opens, they don’t pay much attention to it.
Financial Shortage
A group of students from Lohatikari, Shalika, Gurguripal area were seen working in groups on potato fields in the field. They said that after the lockdown, the school was closed and everyone was busy with various activities due to the financial crisis of the family. The family members also sent them to the field as laborers thinking that there would be financial solution at this time. Saikat Raul, an eighth grade student from Shalika area, said, “I have been working as a laborer since the lockdown. I have to work to solve my family’s financial problems. After working all day, I study a little in the evening.” Another Surjit Mahakur forgot how long he had not been to school.
He said, “Even if I want to study, since the school has not opened yet, I do it without studying. It earns a lot of money.” Many said, “Even if the school is open, I have to go to school except for one day. There is no such pressure. So I do this job on that occasion. Farmer Rampad Dey, a resident of the area, said this was not the case before the lockdown. This situation has resulted in loss of livelihood of families as a result of lockdown.
Family members have been forced to send all these little boys to work to earn a living. Teachers also believe that the lockdown is the reason for the economic decline. Their demand is that such students will not go to school if the education department and administration open the school and ask everyone to come to school. We have to take more initiatives for this. Parents need to be aware of local clubs and different people. Otherwise, it is not easy to take the stream of these school-going students to the school.