ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : এক রাতে পাঁচটি বাড়িতে হানা দিল দলছুট দাঁতাল। ভেঙে ফেলে বাড়ির দেওয়াল ও দরজা। কোনো প্রাণহানির ঘটনা না ঘটলেও, খেয়ে ফেলে বাড়িতে রাখা ধান। তছনছ করে জমির আলু। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর সদর ও শালবনীর। জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর সদরের চাঁদড়ায় ৪ টি মাটির বাড়ি ভেঙে ফেলে। বাড়ির ভেতর থেকে ধানের বস্তা টেনে বের করে খেয়ে তছনছ করে।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here
স্থানীয়রা জানান, সোমবার ভোরে চাঁদড়া রেঞ্জের খড়িকাশুলি গ্রামে একটি আবাসিক হাতি খাবারের খোঁজে প্রবেশ করে। সেখানে তরনী মাহাতো, বিশ্বজিত দন্ডপাটে বাড়ি ভেঙে ধান খেয়ে নেয়। পরে স্থানীয়দের তাড়া খেয়ে ডুমুরকোটা ও হেতাশোল এলাকায় আরও দুটি মাটির বাড়ি ভেঙে ভিতরে থাকা খাবারের খোঁজ করে হাতিটি। ধান বস্তা টেনে বাইরে বের করে পেট ভরে খেয়েছে। পরে তাড়া খেয়ে জঙ্গলে প্রবেশ করে।
Elephants Attack
অন্যদিকে শালবনীর মৌপাল এলাকাতে পৃথক আরও একটি দলছুট আবাসিক হাতি তাণ্ডব চালায়। স্থানীয় বাসিন্দা স্বপন মান্ডির মাটির বাড়ির দরজা ভেঙে ভিতরে থাকা ছয় বস্তা ধান বের করে নেয়। এরপর সেখান থেকে কিছুটা দূরে গিয়ে অপর এক স্থানীয় বাসিন্দা বিকাশ মুর্মুর আলুর জমিতে নেমে পড়ে হাতিটি। জমির সমস্ত আলু গাছ খেয়ে নষ্ট করে। চাষ করা আলু প্রায় সম্পূর্ণ নষ্ট। পরপর ক্ষতিতে মাথায় হাত।
আরও পড়ুন : পিকনিক নিয়ে বচসা! মদ্যপ যুবকদের হাতে আক্রান্ত ৭ পুলিশ কর্মী
স্বপন মান্ডি বলেন, “কষ্ট করে এবারে ভাগে চাষ করেছি। ধান বাড়িতে আনা হলেও ভাগীদারের সঙ্গে ধান ভাগ হয়নি। তার মধ্যে হাতিতে সবটা খেয়ে নিয়েছে।” গ্রামবাসীরা বনদপ্তরকে ক্ষতিপূরণের সাথে সাথে এলাকার নিরাপত্তার স্বার্থে হাতিগুলিকে দূরে সরানোর দাবি জানিয়েছেন। সম্প্রতি আবাসিক হাতির হানায় বহু বাড়ি ভাঙার ঘটনা ঘটেছে। সন্ধ্যা হলে কখন কোন গ্রামে হানা দিবে বোঝা মুশকিল। ফলে নাজেহাল অবস্থা বন দফতরের।
আরও পড়ুন : পিকনিকে ভিড় দ্বিগুণ! মেদিনীপুর সংলগ্ন গোপগড় পার্কের ভেতরে মদের আসর ভাঙল বন দফতর ও পুলিশ
আরও পড়ুন : বড়দিনে মেদিনীপুরে নির্মল হৃদয় আশ্রম চার্চে মানুষের ঢল! ভিড় সামলাতে নাজেহাল কর্তৃপক্ষ
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Elephants Attack
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper