পত্রিকা প্রতিনিধি: বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুরের করোনা লেভেল ১ হাসপাতাল থেকে ৩০ জন করোনা আক্রান্ত রোগীকে সুস্থ করে বাড়ি পাঠালেন চিকিত্সাকর্মীরা। জানা যায়এদের মধ্যে বেশিরভাগই পরিযায়ী ছিলেন। একসঙ্গে এতজনকে সুস্থ করে বাড়ি পাঠাতে পেরে অনেকটাই স্বস্তি বলে মনে করছেন ওই হাসপাতালের চিকিত্সাকর্মী ও সুপার। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে প্রবেশ করা পরিযায়ী ও স্থানীয় বসবাসকারী বাসিন্দা করোনার সংক্রমণ নিয়ে সম্প্রতি ৪৮ জন ভর্তি হয়েছিলেন মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন করোনা লেভেল ১ হাসপাতালে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের সিদ্ধান্ত অনুসারে সংক্রমিত রোগীদের চিকিত্সার জন্য না পাঠিয়ে মেদিনীপুর শহরে লেবেল-১ হাসপাতালেই চিকিত্সা করার সিদ্ধান্ত হয়। গত এক সপ্তাহ ধরে সেই চিকিত্সার পর ৪৮ জন রোগীর মধ্যে ৩০ জনকে সুস্থ করে বাড়ি ছাড়া হল। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। হাসপাতালের সুপার ডাক্তার নন্দন ব্যানার্জি বলেন-‘ এটা আমাদের একটা ভালো সাফল্য। ১০০ জনের ৯৯ জনই সুস্থ হয়ে যায় এই রোগে। এটা নিয়ে এত বেশি আতঙ্কের কোন কারণ নেই।তবু সকলকে যতটা সম্ভব সাবধানতা অবলম্বন করে চলার পরামর্শ দেবো। কমিউনিটি সংক্রমণ যদি না হয় আমরা এই ভাইরাস কে সহজেই মেরে ফেলতে পারব। জয় করতে পারবো খুব শীঘ্রই।’এই বিষয়ে
হাসপাতাল সুপার নন্দন ব্যানার্জি জানান যারা চিকিত্সাধীন রয়েছেন তাদের বেশিরভাগই অ্যাসিমটোমেটিক।তাদের শনাক্ত করে চিকিত্সা করে জীবাণুমুক্ত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত। এমনই একজন গৃহবধূ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার সময় জানালেন-‘আমি ভর্তি হওয়ার আগেও যেমন সুস্থ ছিলাম বাড়িতে, কোন উপসর্গহীন, ভর্তি থাকা অবস্থাতেও আমার কোনো উপসর্গ ছিলনা। আমি বাড়ি যাচ্ছি কোনো উপসর্গ ছাড়াই। চিকিত্সকদের অনেক ধন্যবাদ।তিন দিন পর আমি আমার শিশুর কাছে ফিরে যেতে পারবো জীবাণুমুক্ত হয়।সাধারণ মানুষের সকলেরই উচিত সাবধানতা অবলম্বন করা। তবে আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু নেই।’অন্যদিকে সুস্থ হওয়া মহিলা জানান
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে গত দু’মাসে 50 হাজারের বেশি পরিযায়ী শ্রমিক ও চিকিত্সা করতে যাওয়া লোকজন বাড়িতে ফিরেছেন। তাদের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন পদ্ধতিতে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তে ১৯০ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। সুস্থ হয়ে গিয়েছেন ৬১ জন। মৃত্যু হয়েছে একজনের। সমস্ত হাসপাতাল মিলিয়ে সক্রিয় করণা রোগী রয়েছেন ১২৮ জন।