Arabari Forest : Jamshol incident is not repeated in Arabari! Vigilant police administration from now on.
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : হাজার হাজার শিকারির প্রবেশ ঘটে মেদিনীপুর বনবিভাগের জামশোলের জঙ্গলে। বনদপ্তর বাধা দিলে বচসা শুরু হয়। বনকর্মীদের হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অস্ত্র ছাড়িয়ে নেওয়ায় পথ অবরোধ করে। তুলতে গেলে পুলিশকর্মীরা হেনস্তার শিকার হয় বলে অভিযোগ। বন দফতর ও পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে গভীর রাত থেকে মঙ্গলবার জঙ্গলে প্রবেশ করে একাধিক বন্যপ্রাণ শিকার করার অভিযোগ ওঠে শিকারিদের বিরুদ্ধে।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here
সেখানে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বন্যপ্রাণ নিয়ে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “হিল”। তাদের অভিযোগ ছিল, “যে সংখ্যক পুলিশের প্রয়োজন ছিল, সেই সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল না। যে কারণেই শিকারিদের প্রবেশ আটকাতে ব্যর্থ হয়েছে। মারা পড়েছে একাধিক বন্যপ্রাণ।” সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে তার জন্য আগে থেকেই সজাগ হওয়ার বার্তা প্রশাসনকে। আগামী ১৯ এপ্রিল পশ্চিম মেদিনীপুরের আড়াবাড়িতে রয়েছে শিকার উৎসবের নির্ধারিত দিন। যেখানে পার্শ্ববর্তী জেলা বাঁকুড়া থেকেও হাজার হাজার শিকারির প্রবেশ ঘটে।
Arabari Forest
অতীতেও শিকারিদের সঙ্গে বচসার জেরে জাতীয় সড়ক অবরোধের ঘটনাও ঘটেছিল। সবদিক পুনর্বিবেচনা করে ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিল। হাইকোর্টের নির্দেশে জেলায় গড়ে উঠেছে “হিউম্যান কমিটি”। বুধবার সেই কমিটির বৈঠক হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিচারক, জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ, মেদিনীপুর বনবিভাগের ডিএফও, গুড়গুড়িপাল থানার ওসি, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হিলের সদস্য সহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা।
জানা গিয়েছে, জামশোলের ঘটনা যাতে পুনরায় না ঘটে তার জন্য আড়াবাড়ির শিকারের আগে একাধিক পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈঠকে। আদিবাসী সমাজের মানুষজনদের নিয়ে আড়াবাড়ি এলাকায় কোনো এক গ্রামে বৈঠক করবেন কমিটির সদস্যরা। যেখানে উপস্থিত থাকতে পারেন জেলা বিচারক। হিলের সদস্যা তিয়াসা আঢ্য বলেন, “জামশোলে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আমরা অসন্তুষ্ট। যে সংখ্যক পুলিশ প্রয়োজন ছিল তা মোতায়েন ছিল না। যে কারণেই শিকারিদের আটকানো এবং বন্যপ্রাণ হত্যা আটকাতে অনেকটাই আমরা ব্যর্থ হয়েছি।
আরও পড়ুন : জেলা শাসক ও পুলিশ সুপারের সাথে বৈঠকের পরও অব্যাহত কুড়মি আন্দোলন, ভোগান্তি
সেই ঘটনা যাতে আড়াবাড়িতে না ঘটে, তার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। যথেষ্ট সংখ্যক পুলিশ মোতায়ন, প্রয়োজনে ভিন জেলা থেকে পুলিশ আনার দাবিও করা হয়েছে।” পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শাসক খুরশীদ আলী কাদরী জানিয়েছেন, “বন্যপ্রাণ হত্যা রুখতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন এবং বনদপ্তর। আদিবাসী সমাজের মানুষজনদের নিয়ে একাধিক বৈঠক হয়েছে। আগামীদিনেও ধারাবাহিকভাবে এই বৈঠক চলবে। তাদের সচেতন করা হচ্ছে, তারাও যেন বন্যপ্রাণ রক্ষায় এগিয়ে আসেন।”
আরও পড়ুন : মেদিনীপুরে বাজেয়াপ্ত অস্ত্র ও শিকার করা পশু, অবরোধ বিক্ষোভ, হিমশিম খেল পুলিশ
আরও পড়ুন : কুড়মী এসটি তালিকাভুক্ত করার দাবিতে খেমাশুলিতে অবরুদ্ধ জাতীয় সড়ক
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Arabari Forest
– Biplabi Sabyasachi Largest