Electricity Bill : জঙ্গলমহলে অশান্ত পর্বের সময় রিডিং না নিয়ে পরে এককালীন বিল পাঠানোয় টাকার পরিমাণ অনেকটা হয়। যা মেটাতে সমস্যায় পড়েন গ্রামবাসীরা। বহুজনই দিতে পারেন নি। সেই পুরনো বিল মুকুবের দাবিতে ডেপুটেশন দিল সারা বাংলা বিদ্যুৎ গ্রাহক সমিতি।
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : পেশায় কেউ দিনমজুর, কেউ ট্রলি চালক। কেউ আবার জঙ্গলের শালপাতা তুলে বিক্রি করে সংসার প্রতিপালন করেন। এমনই পরিবারগুলিতে বিপুল পরিমাণে বিদ্যুতের বিল বাকি। বিল বাকি থাকায় কানেকশান কাটতে আসছেন বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকরা। তাতেই ফাঁপড়ে পড়েছেন।
আরও পড়ুন : অভিষেকের হাত ধরে অর্জুনের ঘরে ফেরা, মেদিনীপুরে উৎসব যুবশক্তির
জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর সদর ব্লকের বেনাশুলী, ভাদুলিয়া, ইঞ্জিলিকাচক সহ কয়েকটি গ্রামে বিপুল পরিমাণে বিদ্যুৎ বিল আসে গ্রাহকদের। তারা জানান, জঙ্গলমহলে অশান্ত পর্বের সময় রিডিং না নিয়ে পরে এককালীন বিল পাঠানোয় টাকার পরিমাণ অনেকটা হয়। যা মেটাতে সমস্যায় পড়েন। বহুজনই দিতে পারেন নি। সেই পুরনো বিল মুকুবের দাবিতে ডেপুটেশন দিল সারা বাংলা বিদ্যুৎ গ্রাহক সমিতি।
আরও পড়ুন : কোলাঘাটে চাকরি দেওয়ার নামে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ পার্থ ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে
স্থানীয় বাসিন্দা সেক মোজাম্মেল, সেক আসিবুলরা বলেন, জঙ্গলমহলের সন্ত্রস্ত পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন ধরে আমরা ঘরছাড়া হয়ে থাকি। পরবর্তীকালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিদ্যুতের বিল ব্যাপক পরিমাণে আমাদের আসতে থাকে। যা বাস্তবে আমাদের পক্ষে মেটানো অসম্ভব ছিল। তারপর বিদ্যুৎ দপ্তর কোনরকম মীমাংসা কিংবা সহযোগিতা না করে বিলের বোঝা বাড়াতেই থাকে।
আরও পড়ুন : পশ্চিম মেদিনীপুরে ফের হরিণের মৃতদেহ উদ্ধার, শরীরে ক্ষত, মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা
এখন এমন যায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে আমাদের ভিটে মাটি সমস্ত কিছু বিক্রি করলেও ওই পরিমাণ টাকা শোধ করা সম্ভব নয়। তারা জানিয়েছেন, কারও কুড়ি হাজার তো কারও চল্লিশ হাজার টাকা বিল এসেছে। বিল না মেটালে লাইন কেটে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ দপ্তর। মেদিনীপুরে স্টেশন ম্যানেজারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন বিল মুকুবের।
বিদ্যুৎ গ্রাহক সমিতির দাবি, এর আগে জঙ্গলমহলের বিভিন্ন ব্লকে রাজ্য সরকার বিলে ছাড় দিলেও এই এলাকা তা থেকে বঞ্চিত ছিল। সমিতির পক্ষ থেকে চন্ডী হাজরা বলেন, আমরা স্টেশন ম্যানেজারের কাছে ওই সমস্ত গরীব, সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা সহানুভূতির সঙ্গে বিষয়টি দেখার জন্য অনুরোধ করেছি। উনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি পাঠাবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। সমাধান না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Electricity Bill
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore