পত্রিকা প্রতিনিধি : জেলা স্বাস্থ্য দফতরের রাতের (৭ আগস্ট) রিপোর্ট অনুযায়ী মেদিনীপুর শহর ও মেদিনীপুর সদর ব্লকের মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮ জন।
প্রথম আক্রান্তকারী হলেন শহরের কোতোয়ালীর অন্তর্গত তোলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা (৪৮)। ওই ব্যক্তি গত ৪ আগস্ট উত্তর প্রদেশ থেকে ফিরেছিলেন। জানা যায় তিনি উত্তর প্রদেশের এক বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরী করতেন। যেহেতু তিনি ট্রেন সহযোগে ভিন রাজ্য থেকে ফিরেছিলেন নিয়মমতো গত ৫ আগস্ট তার লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে কোভিড পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।শুক্রবার রাতেই (৭ আগস্ট) ওই পরিযায়ীর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে । রাতেই তাকে কোভিড হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় ।
দ্বিতীয় আক্রান্ত কারী হলেন শহরের কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত আবাস এর বাসিন্দা । বছর ৩০ এর এই মাঝ বয়স্ক ব্যক্তি গত ১ আগস্ট ব্যাঙ্গালোর থেকে ফিরেছিলেন।জানা যায় তিনি সেখানে একটি বেসরকারী কোম্পানিতে কাজ করতেন। ট্রেনযোগে বাড়ি ফেরায় নিয়মমতো গত ৫ আগস্ট তাঁর লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয় । শুক্রবার রাতেই তা্ঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে।তবে তিনি অ্যাসিমটোমেটিক বা উপসর্গহীন হওয়ায় এখনো পর্যন্ত কোভিড হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় নি।
তৃতীয় করোনা আক্রান্তকারী হলেন শহরের পাটনা বাজার সংলগ্ন ভোলাময়রার চকের বাসিন্দা। ওই ব্যক্তি (৫৮) পেশায় মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ । সম্প্রতি সামান্য অসুস্থতা বোধ করায় স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সুস্থ হয়ে গেলেও গত ৫ আগস্ট লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে কোভিড পরীক্ষার জন্য পাঠানো হলে শুক্রবার রাতেই ওই ব্যক্তির করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
চতুর্থ করোনা আক্রান্তকারী হলেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মহিলা জুনিয়র চিকিৎসক। তিনি মূর্শিদাবাদের বাসিন্দা (২৭)। বর্তমানে তিনি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালেই থাকেন। গত বুধবার তার লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে কোভিড পরীক্ষার জন্য পাঠানো হলে শুক্রবার রাতেই রিপোর্ট পজিটিভ আসে। হাসপাতালে বিভিন্ন রোগীর সংস্পর্শে এসেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে প্রাথমিক অনুমান স্বাস্থ্য দফতরের।
পঞ্চম করোনা আক্রান্তকারী হলেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মহিলা স্বাস্থ্য কর্মী (৩০) । তিনি শহরের কোতোয়ালী থানার অন্তর্গত সেখপুরা হাউসিং- এ থাকতেন বলে জানা যায়। গত ৫ আগস্ট ওই স্বাস্থ্যকর্মীর নমুনা সংগ্রহ করে করোনার পরীক্ষার জন্য পাঠানো হলে শুক্রবার রাতেই তার রিপোর্ট পজেটিভ আসে।বাকী ৩ জন জেলার কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, শুক্রবার রাতে আবারও তাঁদের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।