Home » Paschim Medinipur : দীর্ঘ আট বছর পর দাঁতন থেকে ঝাড়খণ্ডে নিজের বাড়িতে ফিরে গেলেন হারিয়ে যাওয়া প্রতিবন্ধী যুবতী

Paschim Medinipur : দীর্ঘ আট বছর পর দাঁতন থেকে ঝাড়খণ্ডে নিজের বাড়িতে ফিরে গেলেন হারিয়ে যাওয়া প্রতিবন্ধী যুবতী

by Biplabi Sabyasachi
0 comments

Paschim Medinipur : দীর্ঘ আটবছর পর বাড়ি ফিরছে এক মানসিক প্রতিবন্ধী যুবতী। সোমবার দাঁতন মানব কল্যাণ কেন্দ্র থেকে ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ জেলার গিরগালী গ্রামে ফেরানোর ব্যবস্থা করল প্রশাসন। পঁচিশ বছর বয়সী যুবতী সতীকুমারী ওরফে শান্তিকুমারী মানসিক প্রতিবন্ধী। তবে এখন সেই প্রতিবন্ধকতা অনেকটাই কমেছে।


আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ

ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : https://chat.whatsapp.com/DaQgpKDDIIH7nyDIMgrMFP


ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : দীর্ঘ আটবছর পর বাড়ি ফিরছে এক মানসিক প্রতিবন্ধী যুবতী। সোমবার দাঁতন মানব কল্যাণ কেন্দ্র থেকে ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ জেলার গিরগালী গ্রামে ফেরানোর ব্যবস্থা করল প্রশাসন। পঁচিশ বছর বয়সী যুবতী সতীকুমারী ওরফে শান্তিকুমারী মানসিক প্রতিবন্ধী। তবে এখন সেই প্রতিবন্ধকতা অনেকটাই কমেছে।

নিজস্ব চিত্র

গত ২০১৪ সালে কোনও ভাবে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল।  গত ২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসন তথা শিশু কল্যান সমিতির তত্ত্বাবধানে দাঁতন মানব কল্যাণ কেন্দ্রে এসেছিল সে। প্রশাসন জানাচ্ছে,  আগে থাকত পুরুলিয়ার ‘আনন্দমঠ’ নামের একটি সরকারি হোমে।

সতীকুমারীকে এদিন অতিরিক্ত জেলাশাসক কেম্পা হোন্নাইয়া, জেলা শিশু সুরক্ষা আধিকারিক সন্দীপকুমার দাস,জেলা সমাজ কল্যাণ আধিকারিক স্বর্ণেন্দুশেখর মণ্ডল ও অন্যান্য আধিকারিকের উপস্থিতিতে তাকে তার দাদা পতিলাল মাঝি ও  বৌদি সালকি দেবীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন পর বাড়ি ফিরতে পারায় খুশী সে।

দাঁতন মানব কল্যাণ কেন্দ্র জানাচ্ছে, কেন্দ্র পরিচালিত যমুনা বালিকা আবাসে থাকত। যুবতী প্রথমের দিকে কারোর সঙ্গে মেলামেশা করত না। একা একা থাকত। পরে চিকিৎসা ও কাউন্সেলিং-এর মাধ্যমে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়। কথা বলতে পারে। যমুনা বালিকা আবাসের সুপার নিবেদিতা আদক বলেন,” চিকিৎসায় অনেকটা সুস্থ হয়ে যায় যুবতী।

প্রথমের দিকে আমরা জেনেছিলাম ও কথা বলতে পারে না। ধীরে ধীরে কথা বলতে পেরেছে। স্বাভাবিক কাজও করতে পারত।” কেন্দ্রটি জানাচ্ছে, হিন্দির পাশাপাশি বাংলাও শিখেছে শান্তি। দাঁতন বীনাপাণি বালিকা বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে এবছর নবম শ্রেণিতে পড়ত। হাতের কাজও শিখেছিল। জাঙ্ক জুয়েলারি, পাটের তৈরি পাপোশ, ব্যাগ বানাতে পারত।

ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠার পর তার নাম ও পরিচয় জানতে পারে কেন্দ্রটি। কেন্দ্রের তরফে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। ভিডিও কলের মাধ্যমে পরিবারের সঙ্গে কথা হয়। যুবতীর বাড়ি ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ জেলার গিরগালী গ্রাম। স্থানীয় মান্ডু থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে কেন্দ্রটি। পুলিশ ওই পরিবারের সঙ্গে কথা বলে।

যোগাযোগের ফলে যুবতী পরিবারের লোকজনকে চিনতে পারে ও পরিবারটি তাদের মেয়েকে ফিরে পেতে চায়। সেই মতো সোমবার প্রশাসনিক সমস্ত বিধি মেনে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে সতীকুমারীকে। জানা গেছে, ২০১৪ সালের কোনও সময় বাড়ি থেকে বেরিয়ে দিদির বাড়ি যাওয়ার পথেই হারিয়ে যায় সতীকুমারী। পরে পুরুলিয়ার প্রশাসন উদ্ধার করেছিল।

পরিবারটি জানাচ্ছে, যুবতীর বাবা চরণ মাঝি ও মা ধ্যানী দেবী ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছেন। শান্তিকুমারী ছিল ছোট মেয়ে। দরিদ্র পরিবার। এতদিন পর বোনকে পেয়ে খুশি দাদা ও পরিবারের অন্যরা। দাঁতন মানব কল্যাণ কেন্দ্রের সম্পাদক শুভাশিস মেইকাপ বলেন,” দীর্ঘদিন পর বাড়ি ফিরতে পারছে মেয়েটি। এর থেকে ভালো লাগার কিছু হতে পারে না। আমাদের এখানে সবার সঙ্গে মিলেমিশে থাকত।”

লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi

Paschim Medinipur

– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper

You may also like

Adblock Detected

Please support us by disabling your AdBlocker extension from your browsers for our website.