Subrata Mukherjee
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন: অভিজ্ঞ চিকিত্সকদের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে প্রয়াত হয়েছে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এসএসকেএম হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সুব্রত। আর এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই রাজ্য-রাজনীতিতে শোকের ছায়া নেমে আসে। তবে এই ঘটনার পর তার প্রতি শোকজ্ঞাপন করেছে রাজ্যের তাবড় নেতা থেকে শুরু করে বিরোধী দলের নেতারাও। আর তাতে বাদ পড়েননি প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা সাংসদ শিশির অধিকারীও।
আরও পড়ুন:- পূর্ব মেদিনীপুরে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু পটাশপুর থানার পুলিশ কর্মীর
আরও পড়ুন:- খড়্গপুরে মূক বধির নাবালিকাকে দফায় দফায় ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেফতার যুবক
” এটা অপ্রত্যাশিত । আমরা বেদনাহত। ওঁর চলে যাওয়া নক্ষত্রপতন” । সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন শিশির অধিকারীর। বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতার হাসপাতালে সুব্রত যখন প্রয়াত হন, সেই সময় অধিকারী নিবাস ‘শান্তি কুঞ্জ’ থেকে অদূরে কাঁথির ভবতারিণী মায়ের মন্দিরে কালীপুজোয় গিয়েছিলেন অশীতিপর শিশিরবাবু। বয়সের ভারে দীর্ঘক্ষণ থাকতে পারেননি। অঞ্জলি দিয়েই বাড়ি রওনা দেন। তারপর দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক লড়াইয়ের সঙ্গী সুব্রতর মৃত্যু সংবাদে স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়েন অধিকারী পরিবারের অভিভাবক।
Subrata Mukherjee
আরও পড়ুন:– পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে বিজেপি কর্মীকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে
আরও পড়ুন:– ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের ভাইফোঁটা মেদিনীপুর শহরে, কটাক্ষ তৃণমূলের
অধুনা বিজেপি ঘনিষ্ঠ শিশিরবাবু। আর সুব্রত ছিলেন তৃণমূল সরকারের মন্ত্রী। শিশিরবাবু অবশ্য শুক্রবারও দিনভরই ডুবেছিলেন স্মৃতিচারণায়। তবে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রতি শোকজ্ঞাপনের পর উঠে এসেছে শিশির ও সুব্রতের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের কথা। সময়টা সত্তরের দশক। একই সঙ্গে খড়গপুর জেলে রাত কাটিয়েছিলেন সদ্যপ্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী। এক রাত পরেই অবশ্য দুজনে জামিন পেয়ে যান।
আরও পড়ুন:– বাদনা পরবের ‘গরু খুঁটানে’ উৎসবে মেতে উঠল পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলমহলবাসী
Subrata Mukherjee
প্রসঙ্গত, তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর কলকাতার মেয়র হয়েছিলেন সুব্রত। সেই সময় দীর্ঘ দিন কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যানের পদ সামলাচ্ছেন শিশিরবাবু। কলকাতা পুরসভার স্টল থেকে প্রাপ্য খাজনা কী ভাবে আদায় করতে হবে টেলিফোনে সে ব্যাপারে শিশিরবাবুর পরামর্শ চেয়েছিলেন সুব্রত। শিশিরবাবুর কথায়, ”পুরসভার সঙ্গে ব্যবসায়ীদের স্টল নিয়ে যে চুক্তি হয়েছিল, তার যাবতীয় কাগজপত্রের প্রতিলিপি সুব্রত আমার কাছে চেয়েছিলেন। আমিও পৌঁছে দিয়েছিলাম। পরে কলকাতাতেও ব্যবসায়ীদের স্টল বন্টনের ক্ষেত্রে খাজনা চুক্তি করা হয়।”
আরও পড়ুন:– মেদিনীপুর গ্রামীণে কালীপুজোতে বন দফতরের সচেতনতা বার্তা, অব্যাহত হাতির হানা
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Subrata Mukherjee
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore
Web Desk, Biplabi Sabyasachi online paper: State Panchayat Minister and veteran Trinamool Congress leader Subrata Mukherjee have passed away after failing all the efforts of experienced doctors. Subrata breathed his last at SSKM Hospital on Thursday evening. And as soon as this news spread, the shadow of mourning descended on state politics. However, after this incident, the leaders of the opposition, starting from the leaders of the state, have also expressed their condolences to him. Shishir Adhikari, a former Union Minister, and MP was not left out.
“It’s unexpected. We’re in pain. His departure is a fall.” Condolences on the demise of Subrata Mukherjee. When Subrata passed away at a hospital in Kolkata on Thursday night, the eighty-year-old Shishirbabu went to Kalipujo at the Bhavatarini Maa temple in Contai, not far from Adhikari’s residence ‘Shanti Kunj’. The weight of age could not last long. He left home with Anjali. Then the guardian of the rightful family became reminiscent of the news of the death of Subrata, a long-time political fighter.
Shishirbabu is now close to BJP. And Subrata was a minister in the Trinamool government. Shishirbabu, however, was immersed in reminiscences all day on Friday. However, after the condolence message to Subrata Mukherjee, the political activities of Shishir and Subrata came up. The time is the seventies. At the same time, the late minister Subrata Mukherjee and Contai MP Shishir Adhikari spent the night in Kharagpur jail. One night later, however, the two were granted bail.
Incidentally, Subrata became the mayor of Kolkata after joining the Trinamool. At that time Shishirbabu was holding the post of chairman of Kanthi municipality for a long time. Subrata sought Shishirbabu’s advice on how to collect the rent due from the Calcutta Municipality stall. In Shishirbabu’s words, “Subrata asked me for a copy of all the documents of the agreement with the municipality regarding the stalls of traders. I also delivered. Later in Kolkata also a rent agreement was made for the distribution of stalls of traders.