Riverbed
আরও পড়ুন ঃ– বিলুপ্তির মুখে রূপনারায়ন নদীর ইলিশ, হতাশায় কোলাঘাটবাসী
অরুপ নন্দী : নদীর পাড় ভাঙতে ভাঙতে পৌঁছে গেছে বাড়ির দুয়ারে। নদী গর্ভে বাড়ি তলিয়ে যাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষামাত্র। এমনই চিত্র উঠে এসেছে মেদিনীপুর সদর (Medinipur Sadar)ব্লকের গুড়গুড়িপাল (Gurguripal) থানার চাঁদড়া (Chandra) এলাকায়। মেদিনীপুর ঝাড়গ্রাম (jhargram)(ভায়া ধেড়ুয়া) সড়কের উত্তর দিকে জঙ্গল আর দক্ষিণে বয়ে গেছে কংসাবতী নদী (Kangsabati River)। মাঝে বসবাস কয়েক হাজার পরিবারের। জঙ্গলের পাতা, কাঠ সংগ্রহ করে আর নদীর তীরে চাষাবাদ করে সংসার চলে বহু পরিবারের। দিনকয়েকের প্রবল বর্ষণ আর জলাধারের ছাড়া জলে কয়েকশ বিঘা কৃষি জমি জলের তলায়। বেশ কয়েক বছর ধরে নিয়মিত ভাঙছে নদীর পাড়। ভাঙতে ভাঙতে এবার তা পৌঁছে গিয়েছে বাড়ির দুয়ারে। চাঁদড়ার ধ্বজিধরা (Dhojidhara), কুন্ডলবনি(kundalbani) এলাকার এমন ৮-১০ টি বাড়ি বর্তমানে নদীর তীরে অবস্থান করছে। যার ফলে পরিবারের সদস্যদের রাতের ঘুম উড়ে গেছে।
আরও পড়ুন ঃ– ফের দিঘা সমুদ্রে উল্টে গেল ট্রলার, প্রাণে বাঁচল মৎস্যজীবিরা
যার ফলে পরিবারের সদস্যদের রাতের ঘুম উড়ে গেছে। তারা জানান, যেভাবে নদীর পাড় ভাঙছে তাতে যেকোনো সময় নদীতে ধ্বসে পড়বে বাড়ি। রাতে না জেগে থাকলে বাড়ি ভেঙে বিপদ হতে পারে আমাদেরও। তবে নদীর জল বাড়লে যেকোনো মূহুর্তে তলিয়ে যেতে পারে বাড়িগুলি। ওই পরিবারগুলিকে অন্যত্র পুনর্বাসনের আশ্বাস প্রশাসন দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বর্ষণের পর কয়েকবার ওই এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছেন মেদিনীপুর সদর ব্লকের বিডিও(B.D.O) সুদেষ্ণা মৈত্র (Sudeshna Moitra)। ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য নয়ন দে(Nayan Dey)। নয়ন দে জানিয়েছেন, ওই এলাকা পরিদর্শন করে গেছেন বিডিও এবং জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক। নদীর তীরে বসবাসকারী পরিবারগুলিকে ওখান থেকে সরিয়ে অন্যত্র বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অন্য কোথাও নিজেদের জায়গা না থাকায় পঞ্চায়েত থেকে জায়গা ঠিক করে দিবে।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Riverbed
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore