বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : এবার অন্য ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে বনদপ্তর। শুধু টিম্বার (কাঠ) নয়, জীববৈচিত্র্য রক্ষাও করতে হবে। ফলে গাছ লাগানোর ক্ষেত্রে এনেছে পরিবর্তন। মানুষের পাশাপাশি পশুপাখিও যেন জঙ্গলেই তাদের আহার সংগ্রহ করতে পারে। ৩০ হেক্টর জঙ্গল জুড়ে লাগানো হয়েছে বিভিন্ন ফল ও ভেষজ গাছ। রয়েছে জাম, আমলকি, কুসুম, হরতকি, করঞ্চ, বহেড়া, অর্জুনের পাশাপাশি পিয়াশাল, শ্বেতিশাল গাছও। একদিকে জীববৈচিত্র্য রক্ষা অন্যদিকে স্থানীয় মানুষজন বিভিন্ন ফলের পাশাপাশি তেল ও কাঠ বিক্রির লভ্যাংশ পাবে।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন :
For WhatsApp Group 1: Click Here
For WhatsApp Group 2: Click Here
এমনই উদ্যোগ মেদিনীপুর বন বিভাগের ভাদুতলা রেঞ্জের। ওই রেঞ্জের কোড়াদানা, সোনাকড়া, বালিজুরি এই তিন এলাকায় এই ধরনের গাছের বাগান তৈরি করা হয়েছে। কোড়াদানা এলাকায় আগে শুধু কাজু গাছের বাগান ছিল। তাও নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এলাকার বেশকিছু মানুষ গাছ কেটে কাঠ হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করে দিয়েছিল। যার ফলে অন্য চিন্তা ভাবনা করতে হয়েছে বনদপ্তরকে। ভাদুতলা রেঞ্জের আধিকারিক শুভাশিস চৌধুরী বলেন, “শুধু কাঠের জন্য গাছ লাগানোর যদি লক্ষ্য থাকে, তাহলে জীববৈচিত্র্য রক্ষা করা খুবই সমস্যা হবে। তাই বেশ কিছু জায়গায় এমন পরিবর্তন করা হয়েছে।”
আরও পড়ুন : ফুটপাত দখলমুক্ত করতে নামলো পুলিশ ও পৌরসভা
আরও পড়ুন : বনদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই মহিলা কলেজে গাছ কেটে পরিবহনের অভিযোগ
তবে এই ধরনের বাগান তৈরি করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়েছে বনকর্মীদের। স্থানীয় যৌথ বন পরিচালন কমিটির সদস্যদের দ্বারা বাধা সৃষ্টি হয়েছে। তাদের অভিযোগ, এই গাছ লাগালে তারা যে ৪০ শতাংশ লভ্যাংশ পান তা কিভাবে পাবেন? এই সমস্ত গাছ বৃদ্ধিতেও অনেক দেরি হবে। কাঠ পাওয়া যায় না। তারপরই রেঞ্জ আধিকারিকসহ বনকর্মীরা ওই এলাকায় বন পরিচালন কমিটির সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন। তাদের বোঝাতে পেরেছেন, আমরা যদি কাঠের জন্য গাছ লাগাই তাহলে বন্য পশুপাখি রক্ষা কিভাবে হবে? বন্য পশুরা খাবারের জন্য লোকালয়ে এসে হানা দেবে। ফলে জীব বৈচিত্র্যের নানাদিক তাদের বোঝানোর পর এই বাগান তৈরিতে সম্মত হয়।
তাদের বোঝানো হয়, বাগানের ফল ও করঞ্চ তেল বিক্রি করেও লভ্যাংশ পাবে গ্রামের মানুষজন। আকাশমণি গাছের পরিবর্তে লাগানো হচ্ছে পিয়াশাল, শ্বেতিশাল। যা আকাশমনি গাছের থেকে অনেক বেশি দাম পাবে। গাছ লাগানোর পরে রক্ষণাবেক্ষণ ও নজরদারিতে সারাদিনই থাকছে পাহারায় বনকর্মীরা। যাতে গরু-ছাগল বা অন্যান্য গবাদি পশু ঢুকে গাছ নষ্ট না করে দেয়। রেঞ্জ আধিকারিক শুভাশিস চৌধুরী বলেন, “তিরিশ হেক্টর জঙ্গল জুড়ে এই সমস্ত গাছ লাগানো হচ্ছে। এগুলো মূল্যবান গাছ। নানা ওষুধ তৈরি হয়। মানুষের পাশাপাশি বন্য পশুপাখিরাও এই গাছের ফল থেকে আহার সংগ্রহ করতে পারবে। আমাদের লক্ষ্য জীব-বৈচিত্র্য রক্ষা করা।”
আরও পড়ুন : ইসরোর দরবারে পিংলার সৌম্যদীপ! ভবিষ্যতে স্বপ্ন গবেষণার
আরও পড়ুন : পুরোনো মামলায় বিজেপির একাধিক নেতা কর্মীর বাড়িতে অভিযান পুলিশের
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Protect Biodiversity
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper