New Year
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন: ওমিক্রন সংক্রমণের আতঙ্ক ভুলে ইংরেজির নতুন বছরের প্রথম দিনে পিকনিকে মাতলেন দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলাবাসী। আর নতুন বছরের ভিড় টানতে শুরু করেছে দিঘা। দীঘার পাশাপাশি ভিড় দেখা গিয়েছে মান্দারমণি, শঙ্করপুর ও তাজপুরও। শুক্রবার রাতে দীঘায় দেদার বাজি ফাটিয়ে ও গান বাজিয়ে শহরবাসী নতুন বছরকে স্বাগত জানান সকলে।
আরও পড়ুন:- পশ্চিম মেদিনীপুরে ঘাটাল-পাঁশকুড়া রাজ্য সড়কে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত ২
আরও পড়ুন:- নববর্ষের আগে দীঘায় ওড়িশা-বাংলা বর্ডারে পুলিশের নাকা চেকিং
তাছাড়া পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শিল্পনগরী হলদিয়ার বালুঘাটা সানহেডে পিকনিকে হাজার হাজার মানুষের ভিড়। একইভাবে টাউনশিপ মেরিনড্রাইভ, রূপনারায়ণ নদ বরাবর কোলাঘাট, শহিদ মাতঙ্গিনী, তমলুক ও মহিষাদল এলাকায় নতুন বছরের প্রথম দিনে পিকনিকের আসর লক্ষ্য করা গিয়েছে। অন্যদিকে কাঁথি ও এগরা মহকুমার অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রেও ভালোই ভিড় ।
আরও পড়ুন:- দীঘায় বর্ষবরণে পর্যটকদের ভিড়, করোনা বিধি ভেঙে গ্রেফতার ৩০
আরও পড়ুন:- বছর শেষে ভিড় পার্ক থেকে মেলায়, সেলফি জোনের উদ্বোধন মেদিনীপুরে
এদিন দীঘার সায়েন্স সেন্টার, মেরিন অ্যাকোয়ারিয়ম, অমরাবতী পার্কে বেড়ানো কিংবা টয় ট্রেনে চড়ার জন্য ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। কাঁথির নাচিন্দা মন্দির, দীঘা লাগোয়া ওড়িশার চন্দনেশ্বর মন্দির থেকে শুরু করে বিভিন্ন মন্দিরে পুজো দেন বহু মানুষজন। প্রতিনিয়ত দীঘা সহ জেলার প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্রে বিশেষ নজরদারি চালায় পুলিশ – প্রশাসন। পাশাপাশি করোনা বিধি মেনে চলার বার্তা দেন তাঁরা।
আরও পড়ুন:- রাতারাতি কোটিপতি ! এক কোটি টাকা পেলেন তমলুকের জাহাঙ্গীর খাঁন
আরও পড়ুন:- হলদিয়া থেকে বেড়াতে গিয়ে পথ দুর্ঘটনায় মৃত ১, আহত একাধিক
অপরদিকে মেদিনীপুর শহরজুড়ে শুক্রবার রাতে দেদার বাজি ফাটিয়ে শহরবাসী নতুন বছরকে স্বাগত জানান। এরপর শনিবার সকাল থেকে মেদিনীপুর শহরের প্রচীন গোপগড়, গড়বেতার গনগনি, চন্দ্রকোণা রোডের পরিমল কাননে দল বেঁধে বহু মানুষ পিকনিকে শামিল হয়। অন্যদিকে, এদিন ঘাটালে ইকো ট্যুরিজম পার্কে বহু পরিবার একসঙ্গে জোট বেঁধে পিকনিকে শামিল হয়েছিলেন। চন্দ্রকোণা টাউনের রামগড় ইকো পার্ক, ঢলবাঁধ ইকো পার্কেও এদিন পিকনিক পার্টির ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
এদিন পিকনিক স্পটগুলিতে পুলিশি নজরদারির ব্যবস্থা ছিল চোখে পড়ার মতো। খড়্গপুর পার্কেও এদিন বহু পিকনিক পার্টি ভিড় জমিয়েছিল। নতুন বছরের প্রথম দিনে পিকনিকে মেতে ওঠে ঝাড়গ্রাম জেলার মানুষজনও। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলিতে পর্যটকের ঢল নামে। জেলায় সরকারি ও বেসরকারি হোটেল-লজগুলি সবই ছিল ভর্তি। কোথাও তিল ধারণের জায়গা ছিল না। পর্যটকের পাশাপাশি জেলার প্রতিটি পিকনিক স্পটে এদিন মানুষের ভিড় উপচে পড়েছে।
পাশাপাশি প্রাচীন মন্দিরগুলিতেও পুজো দেওয়ার ভিড় ছিল। এদিন বেলপাহাড়ির ঘাঘরা, খাঁদারানি ড্যাম্পে, কুঠিঘাট, ঝাড়গ্রামের সাতপাটি, সুবর্ণরেখা নদী তীরে পিকনিক করার ভিড় ছিল সব থেকে বেশি। অন্যদিকে, নয়াগ্রামের সুবর্ণরেখা নদী পাড়, জঙ্গলকন্যা উদ্যান, জঙ্গলকন্যাা উদ্যানের আম বাগানে, শিশু বাগান, লালগড়ের কংসাবতী নদীপাড়, গোপীবল্লভপুরের সুবর্ণরেখা নদীপাড়, জামনীর ডুলুং নদীপাড়, ঝাড়গ্রামের কেচোন্দা বাঁধ, লালগড়ের কংসাবতী নদীতীরে পিকনিক করার জন্য বহু মানুষ ভিড় জমান।
বেলপাহাড়ির ঘাঘরা, খাঁদারানি, লালজল, গাড়রাসিনি, নয়াগ্রামের রামেশ্বর, তপোবন, গোপীবল্লভপুরের হাতিবাড়ি, গোপীবল্লভপুর ইকোপার্কে, পাখির আলোয়, বেলিয়াবেড়ার কুঠিঘাট, জামবনীর চিল্কীগড়, ঝাড়গ্রামের রাজবাড়ি, জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্কে প্রচুর মানুষের ভিড় ছিল। প্রতিটি জায়গায় এদিন পুলিস মোতায়ন ছিল। কোথাও যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেদিকে সতর্ক ছিল পুলিস।
তবে কোথাও কোথাও নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে দেদার ডিজে বেজেছে। এনিয়ে পুলিস প্রশাসনকে তেমন পদক্ষেপ করতে দেখা যায়নি। বছরের প্রথম দিনে বেলিয়াবেড়ার কুঠিঘাট রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ সেবাসঙ্ঘেও ভক্তদের ঢল নেমেছিল। দুপুরে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। এছাড়াও জেলার চিল্কীগড়, রামেশ্বর সহ প্রচুর মন্দিরে সাধারণ মানুষকে পুজো দিতে দেখা গিয়েছে।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.cm/biplabisabyasachi
New Year
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore