বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : ইমার্জেন্সি থেকে আউটডোর পুরো দায়িত্বই যেন জুনিয়র ডাক্তারদের! ফলে রোগী চিকিৎসার মান নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন উঠেছিল। অভিযোগ ছিল, সিনিয়র চিকিৎসকদের দেখা না মেলার। দ্বিতীয়বার জুনিয়র ডাক্তাররা আউটডোর পরিষেবা থেকে হাত গুটিয়ে নিতেই বন্ধ হয়ে গেল মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আউটডোর! তারপরেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলেন রোগীর আত্মীয় পরিজনেরা। আন্দোলন শুরু হতেই এবার উল্টো প্রতিক্রিয়া দেখা গেল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন :
For WhatsApp Group 1: Click Here
For WhatsApp Group 2: Click Here
রোগী ও তার পরিবারের লোকজনদের চরম বিক্ষোভ জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্ণা অবস্থান মঞ্চের সামনে। সামাল দিতে হিমশিম পুলিশের। রোগীর লোকেরা জানিয়ে দেয়, “আন্দোলনকারীদের দাবিতে সহমত থাকলেও হাসপাতালে পরিষেবা বারবার বন্ধ করছে কেন? প্রতিদিনই ভোগান্তি হচ্ছে রোগীর ও পরিবারের লোকজনদের। অবিলম্বে পরিষেবা চালু না করলে পুরো হাসপাতালের দরজা বন্ধ করে দেবো আমরা।” বৃহস্পতিবার নতুন করে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতি ঘোষণা করে দেয়। এর জেরে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে আউটডোরে টিকিট কাউন্টার পর্যন্ত বন্ধ।
বহু রোগীর লোকেরা এসে দীর্ঘ লাইনের পরে পরিস্থিতি দেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। কেমো থেরাপি থেকে বিভিন্ন পরিষেবা বন্ধ হওয়ার আশঙ্কায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয় রোগীর লোকেদের মধ্যে। পরিস্থিতি দেখে সেখানে হাজির হয় কোতয়ালী থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। জুনিয়র ডাক্তারদের মঞ্চের সামনেই এই বিক্ষোভ উত্তেজনা বাড়তে দেখে পুলিশ জুনিয়র ডাক্তারদের নিরাপত্তার দিকে জোর দেয়। বিক্ষোভকারীদের বোঝানো শুরু করে পুলিশ। হাজির হয় কোতয়ালী থানার আইসি নিজেও। বিক্ষোভরত এক রোগী সেখ আফসার বলেন, “আমি গড়বেতা থেকে এসেছি। টিউমার বড় হয়ে গিয়ে চরম সংকটময় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে আমার।
Midnapore Hospital
আরও পড়ুন : প্লাবিত ঘাটাল, মেদিনীপুর শহরেও বাড়িতে ঢুকলো জল
আরও পড়ুন : বনদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই মহিলা কলেজে গাছ কেটে পরিবহনের অভিযোগ
আমি এতদূর থেকে কষ্ট করে এখানে হাজির হয়ে সকাল থেকে লাইন দেওয়ার পর জানতে পারছি ডাক্তাররা দেখবেন না। তাহলে আমাদের মত গরিব মানুষ যারা সরকারি হাসপাতালে নির্ভর করে তারা কোথায় যাব?” খড়গপুরের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, “জুনিয়র ডাক্তাররা যা পরিষেবা দিয়েছেন তাদেরকে স্যালুট করি। কিন্তু সিনিয়র ডাক্তারদের ভূমিকা খুবই খারাপ। তারা এখানে বন্ধ হওয়ার সুযোগ পেলেই প্রাইভেট প্র্যাকটিসে জোর বাড়াচ্ছেন। এখান থেকে রোগীদের প্রাইভেট চেম্বার নার্সিংহোমে নিয়ে চলে যাচ্ছেন। হাসপাতালে পরিষেবা একেবারে খারাপ। আজকে আমার মায়ের কেমো থেরাপি রয়েছে। এইভাবে যদি বন্ধ হয় তাহলে তো মুশকিল হয়ে যাবে।
কোন নোটিশ ছাড়াই এভাবে হঠাৎ করে বন্ধ করলো কিভাবে? এমন হলে পুরো হাসপাতাল বন্ধ করে দেবো আমরা।” জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতি করলেও সিনিয়র ডাক্তাররা কোথায়? তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। তাহলে কি হাসপাতালের পুরো চিকিৎসা ব্যবস্থা জুনিয়র ডাক্তারদের হাতেই? জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “আমরা সারা রাজ্যজুড়ে কর্মবিরতি শুরু করেছি। তবে ইমার্জেন্সি পরিষেবাতে থাকবো। সিনিয়র চিকিৎসকরা আউটডোর পরিষেবা দেবেন। আউটডোর বন্ধ করার কথা আমরা বলিনি। শুধু আমরা পরিষেবাতে থাকবো না।” তাহলে কে বা কারা আউটডোরের টিকিট দেওয়া বন্ধ করলো?
আরও পড়ুন : ইসরোর দরবারে পিংলার সৌম্যদীপ! ভবিষ্যতে স্বপ্ন গবেষণার
আরও পড়ুন : পুরোনো মামলায় বিজেপির একাধিক নেতা কর্মীর বাড়িতে অভিযান পুলিশের
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Midnapore Hospital
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper