বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : মাত্র ১০ কিমি পথ যেতে ঘুরতে হচ্ছে ২৮০ কিমি। যার জেরে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে পণ্যবাহী ১৬ চাকা ট্রাক মালিকদের। অনির্দিষ্টকালের জন্য মোহনপুর ব্রিজ ও শহর অচল করে দেওয়ার হুমকি তাদের। সমস্ত ভারি ট্রাক ব্রীজের ওপর দিয়ে চালাতে দিতে হবে দাবি করে অবরোধ। দীর্ঘ যানজট মোহনপুর ব্রিজে বুধবার দুপুরে। সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে পুলিশকে। অবরোধ তুললেও তাঁরা জানিয়ে দিলেন, এবার মেদিনীপুর শহর ও মোহনপুর ব্রীজ পাকাপাকিভাবে বন্ধ করে দেবেন।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন :
For WhatsApp Group 1: Click Here
For WhatsApp Group 2: Click Here
2. মোহনপুর ব্রিজের ওপর দিয়ে সমস্ত ভারী ট্রাক চলাচলের অনুমতি দিতে হবে। ২০২২ থেকে নাকি ভারী ট্রাক চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তার জেরে মোটা টাকা খরচ করে ঘুর পথে যাতায়াত করতে হচ্ছে বড় ট্রাকগুলিকে। এর জেরে ব্যবসায় বড় আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে এমন দাবি করে ক্ষুব্ধ ট্রাক অপারেটর ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিল। মোহনপুর ব্রিজের উপরে শুয়ে অবরোধ করে। ব্যাপক যানজট পূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়।
3. আন্দোলনকারীরা বলেন, “অনেকবার জানানোর পরেও ট্রাক চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়নি।মেদিনীপুর থেকে খড়্গপুর ১০ কিলোমিটার পথ যেতে আমাদের ঘুরতে হচ্ছে ২৮০ কিলোমিটার। এবারে না অনুমতি দিলে মোহনপুর ব্রিজের ওপর সমস্ত ভারী লরি রেখে পাকাপাকিভাবে অবরুদ্ধ করে দিব মোহনপুর ব্রিজ। মেদিনীপুর শহরেও যত্রতত্র লরি দাঁড় করিয়ে অবরুদ্ধ করে দিব।”
4. উল্লেখ্য, ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর খড়্গপুর ও মেদিনীপুরের মাঝে কংসাবতী নদীর উপরে এই মোহনপুর ব্রিজ রয়েছে। দীর্ঘ পুরনো এই ব্রিজের বড় মেরামতি না হওয়ার কারণে দুর্বল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ পর্যবেক্ষণের পর জেলা প্রশাসনকে সতর্ক করেছিল এই ব্রিজের বিষয়ে। বিশেষ করে ২০২২ সালের সময় বেশ কিছু ব্রিজ দুর্ঘটনার কথা মাথায় রেখে প্রশাসনকে তৎপর হতে হয়। ২০২২ সাল থেকে তাই ভারী লরি চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল।
আরও পড়ুন : প্রাতঃকৃত্যে গিয়ে হাতির হানায় মৃত্যু বৃদ্ধের, রাজ্য সড়ক আটকে দাঁতাল বাহিনী
আরও পড়ুন : ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর শ্লীলতাহানি! অভিযুক্তের ৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড
5. গত এক বছর আগে এই ব্রিজের বহু সংস্কার সাধনের পর অপেক্ষাকৃত কম ভারি লরি চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ২৫ টনের বেশি ভারী লরিগুলির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রয়েছে। কড়া নজরদারিও চলে পুলিশের পক্ষ থেকে। এর জেরে জাতীয় সড়ক দিয়ে যাতায়াত করা ভারী পণ্যবাহী লরিগুলি ঘাটাল পথে বা অন্যান্য পথ ঘুরে দূর দিয়ে যাতায়াত করে।
6. এতে মোটা টাকা খরচ হয় মালিকদের। সেই সাথে সময় সাপেক্ষ। প্রশাসনকে বারবার তারা জানিয়েছিলেন ভারী লরি চলাচলের অনুমতি দেওয়ার জন্য। কিন্তু বিভিন্ন জটিলতায় ব্রিজের পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রশাসন তার অনুমতি দেয়নি। এদিন দুপুরে ব্রিজের মুখের সামনে রাস্তার ওপর শুয়ে ট্রাক অপারেটররা অবরোধ শুরু করেন। দীর্ঘ যানজটে লম্বা লাইন দেখা যায় খড়্গপুর গ্রামীণের একটা অংশ থেকে জাতীয় সড়কের উল্টো দিকে থাকা ধর্মা পর্যন্ত।
আরও পড়ুন : ফুটপাত দখলমুক্ত করতে নামলো পুলিশ ও পৌরসভা
আরও পড়ুন : বনদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই মহিলা কলেজে গাছ কেটে পরিবহনের অভিযোগ
7. অনেক চেষ্টা করে পুলিশ তাদের বুঝিয়ে অবরোধ তুলতে সক্ষম হয়েছে পরে। লরির মালিক ও চালকেরা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, “অবিলম্বে অনুমতি না মিললে পাকাপাকিভাবে মোহনপুর ব্রিজের উপর লরি দাঁড় করিয়ে বন্ধ করে দেবেন তারা। সেই সাথে সংলগ্ন শহরগুলির ভেতরেও লরি ঢুকিয়ে যানজট তৈরি করবেন।”
আরও পড়ুন : মেদিনীপুরে ব্যবসায়ীর বাড়িতে আয়কর দপ্তরের হানা
আরও পড়ুন : প্রথমবার ছিতামণি মুর্মুর গ্রামে ছত্রধর, শোনালেন জঙ্গলমহলের উন্নয়নের নেপথ্যের কাহিনী
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Mohanpur Bridge blockade
#Mohanpur Bridge blockade
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper