ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্র ৭ টি বিধানসভা নিয়ে তৈরি। একুশের বিধানসভা ভোটে এই ৭ টি বিধানসভা কেন্দ্র মিলিয়ে নোটায় ভোট দিয়েছেন মোট ১২২৬৮ জন । অর্থাৎ এই সংখ্যক ভোটাররা কোনও রাজনৈতিক দলকেই পছন্দ করেননি। পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে একুশের ভোটে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে দাসপুর বিধানসভায় নোটায় ভোট দিয়েছেন ১৩৬৮ জন, ডেবরা বিধানসভায় ১৩৫৩ জন, ঘাটাল বিধানসভায় ১৩০৫ জন, পিংলা বিধানসভায় ২০৭৩ জন, সবং বিধানসভায় ১৫৩৪ জন, কেশপুর বিধানসভায় ৩২৯৮ জন এবং পাঁশকুড়া পশ্চিম বিধানসভায় ১৩৩৭ জন ভোটার নোটায় ভোট দিয়েছেন।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here
তৎপর্যপূর্ণ ভাবে দেখা গিয়েছে একুশের ভোটে ঘাটাল বিধানসভায় জয় পরাজয়ের ব্যবধান ছিল ৯৬৬ টি ভোটের, আর এই বিধানসভায় সেখানে নোটায় ভোট দিয়েছেন ১৩০৫ জন। অর্থাৎ এই ১৩০৫ জন ভোটারের ভোট তৃণমূল, বিজেপির কাছে জয় পরাজয়ের বড় একটা ফ্যাক্টর ছিল । কিন্তু এই বিপুল সংখ্যায় ভোট নোটায় কেন? তাহলে কী বর্তমান রাজনৈতিক পেক্ষাপট অনুযায়ী কোনো রাজনৈতিক দলকেই পছন্দ করছে না একশ্রেণীর ভোটার? নাকি না জেনে অজ্ঞতা জনিত কারণে নোটা বোতাম টিপে দিয়েছেন এই সকল ভোটাররা? জানা গিয়েছে ২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ভারতের সব রাজ্যে সংসদীয় নির্বাচনে এই নোটা পদ্ধতি চালু হয় ইভিএম মেসিনে।
অর্থাৎ কোনো ভোটার যদি কোনো রাজনৈতিক দলকেই পছন্দ না করেন তাহলে তিনি নোটা বোতাম টিপে তাঁর মতামত জানাতে পারবেন। ভোটযন্ত্রে এই নোটা বোতামটি থাকে সবার নিচে। তাই এই সংক্ষিপ্ত নাম নোটা অর্থাৎ নান অফ এবাভ (উপরের কোনোটিই নয়)। নির্বাচন কমিশনের এক আধিকারিক জানাচ্ছেন ২০২১ সালে ঘাটাল লোকসভার বিধানসভাগুলিতে নোটায় ভোট দেওয়া ভোটাররা অবশ্যই জেনে বুঝেই ওই বোতাম টিপেছেন। কারণ ভোটযন্ত্রে নোটা বোতামটি নতুন কিছু নয়, অনেকদিন আগেই এটা চালু হয়েছে, এবং এই নিয়ে ভোটারদের মধ্যে সম্যক জ্ঞান দিতে সচেষ্ট নির্বাচন কমিশন। কিন্তু রাজনৈতিক মহলে বিভিন্ন জন বিভিন্ন রকম ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন : জেলা জুড়ে ভোট কর্মীদের প্রথম ধাপের প্রশিক্ষণ শুরু
আরও পড়ুন : গরমের দাবদাহ উপেক্ষা করে দেব-কে দেখার ভিড়
এই নিয়ে পিংলার তৃণমূল বিধায়ক তথা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সহসভাপতি অজিত মাইতি বলেন এই ১২২৬৮ ভোটারের মধ্যে এমন অনেক ভোটার রয়েছেন যাঁরা না জেনে অজ্ঞতা জনিত কারণে ওই বোতাম টিপে ফেলেছেন, আর একটা সংখ্যক ভোটার অবশ্যই জেনে বুঝে তাঁরা কোনো রাজনৈতিক দলকেই ভোট দেননি কোনো কারণে। আর এই পরিসংখ্যানে এমন কিছু ভোটার রয়েছেন যাঁরা তাঁদের দলীয় প্রার্থীকে পছন্দ না হওয়ার কারণে নোটায় ভোট দিয়েছেন। অপরদিকে বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তন্ময় দাসের ব্যাখ্যা ২০২১ এর ভোটে নোটায় বেশি ভোট দিয়েছেন শাসক দলের বিক্ষুব্ধ ভোটাররা। তবে তিনি এটাও বলেন এর মধ্যে একটা অংশ হয়ত না জেনেই ওই বোতাম টিপেছেন।
এই নিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঘাটালের এক শিক্ষক বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নোটায় ভোট সংখ্যা বাড়াটা স্বাভাবিক। ভারতের মত গণতান্ত্রিক দেশে রাজ্যে যেভাবে গনতন্ত্র রক্ষার নামে লুটপাট, দুর্নীতি, অপশাসনে জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, তাতে করে অনেকেই আছেন যাঁরা বর্তমান রাজনীতির প্রেক্ষাপটে কোনো রাজনৈতিক দলকেই পছন্দ করছেন না, তাই একটি লোকসভাতেই নোটায় ভোট এত সংখ্যাক। তিনি আরো বলেন , নোটাতে যদি অজ্ঞতা জনিত কারণে ভোটাররা ভোট দিয়ে ফেলেন তার দায় নির্বাচন কমিশনের, কারণ নোটা সম্পর্কে সম্যক ধারনা থাকলে ভুল করে এখানে এত ভোট পড়বে না।
আরও পড়ুন : ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে এবার অভিনেতা বনাম অভিনেতার লড়াই! জল্পনা তুঙ্গে
আরও পড়ুন : হুটার বাজিয়ে এসকর্ট করে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছাবে বনদপ্তর, থাকবে কড়া নজরদারি
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Lok Sabha Election
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper