Jangalmahal : Elephant sighting tourist gets job; 53 jobs in forest department in district
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : জঙ্গলমহলে হাতি দেখাকে কেন্দ্র করে উন্মাদনা রয়েছে পর্যটকদের। যে কারণেই জঙ্গলমহলে এসে বিভিন্ন জায়গায় হাতি দেখার জন্য চলে যান তারা। যার পরিণতিতে ঘটেছে একাধিক মৃত্যুর ঘটনাও। ঝাড়গ্রাম থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন জঙ্গলে পর্যটকদের মৃত্যু ঘিরে একাধিক সতর্কতাও জারি করেছে বনদপ্তর। বিভিন্ন হোটেল, রিসোর্টগুলিতেও বনদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে পর্যটকরা হাতি দেখতে যেন না যায়। বিগত কয়েক বছরে একাধিক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছিল। এবার তাদের পরিবারের সদস্যদের চাকরি দিল বনদপ্তরে। গত ২০১৬ সালে পাঁশকুড়া থেকে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন অরিন্দম শাসমল।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here
পশ্চিম মেদিনীপুরের গোদাপিয়াশাল এলাকায় সেই সময় হাতির পাল বিচরণ করছিল। লোকমুখে খবর পেয়ে চলে গিয়েছিল হাতি দেখতে। তবে হাতি সম্পর্কে সেভাবে ধারণা ছিল না অরিন্দম বাবু ও তার বন্ধুদের। বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সময় তারা হাতির পালের কাছাকাছি গিয়ে ছবি তোলার চেষ্টা করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা হাতি সম্পর্কে কিছুটা হলেও ওয়াকিবহাল রয়েছে। হাতি যে মাঝে মধ্যেই তাড়া করে নিয়ে যায় সেই সম্পর্কে হয়তো অরিন্দম বাবুদের ধারণা ছিল না। যে কারণেই হাতি তাড়া করলে তাদের সম্মুখে পড়ে যায়। অরিন্দমকে শুঁড়ে তুলে আছাড় মারলে তার মৃত্যু হয়। অবশেষে মঙ্গলবার তার ভাই অভিনন্দন শাসমল বন স্বেচ্ছাসেবক পদে মেদিনীপুর বন বিভাগে যোগ দেন।
আরও পড়ুন : প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা নেয়নি! কেউ স্বামী হারা, কেউ সন্তান হারা, মহিলারা জোট বাঁধলেন চোলাই ভাটি ভাঙতে
আরও পড়ুন : বনদপ্তরের জমি দখল করে অবৈধ নির্মাণ মেদিনীপুর শহরে, বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দিল বনদপ্তর
Jangalmahal
জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় হাতির হানায় মৃতদের পরিবারের মোট ৫৩ জনকে বন স্বেচ্ছাসেবকে নিয়োগ করা হয়েছে। যার মধ্যে মেদিনীপুর বন বিভাগে রয়েছে ১৯ জন, খড়্গপুরে ১৭ এবং রূপনারায়ণ বন বিভাগে ১৭ জন। এদের অনেকে স্বামী হারিয়েছেন, কেউ দাদাকে, মা-বাবাকে হারিয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকে সংসার চালাতে হিমশিম অবস্থায় পড়ে একাধিকবার বনদপ্তরের বিভিন্ন দপ্তরে গিয়ে আর্জি জানিয়েছিলেন দ্রুত চাকরিতে নিয়োগের জন্য। বনমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করেছিলেন অনেকে। এমনই গোয়ালতোড়ের বালিবাঁধ এলাকার বাসিন্দা সঞ্জয় পালের হাতির হানায় মৃত্যু হয় ২০১৩ সালে।
তৎকালীন সময়ে এক লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ পেলেও, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরেও অনেকদিন চাকরি পাননি। বিভিন্ন দফতরে ঘুরেছেন, কোনো সুরাহা হয় নি। স্বামী মারা যাওয়ার পর স্ত্রী গৌরী দেবী শ্বশুরবাড়ি থেকে সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়ি শালবনীর পাটাঝরিয়া আসতে বাধ্য হয়েছিলেন। বৃদ্ধ বাবা-মায়ের সংসারে নিত্যদিন অনটন। শালপাতা সেলাই করে চলে সংসার। অবশেষে মঙ্গলবার তিনি রূপনারায়ণ বনবিভাগে বন স্বেচ্ছাসেবক পদে নিয়োগ পেলেন। গৌরী দেবী বলেন, খুব কষ্টে সংসার চলছিল। বনবিভাগের বিভিন্ন দপ্তরের পাশাপাশি মন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করেছিলাম। আজ অনেকটাই খুশি।”
আরও পড়ুন : ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে এবার অভিনেতা বনাম অভিনেতার লড়াই! জল্পনা তুঙ্গে
আরও পড়ুন : হুটার বাজিয়ে এসকর্ট করে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছাবে বনদপ্তর, থাকবে কড়া নজরদারি
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Jangalmahal
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper