Emphasis on Employment : কর্মসংস্থানের উপর জোর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কখনো জব ফেয়ার সঠিকভাবে সামলানোর পরামর্শ দিয়েছেন আবার কখনো সাইকেল হাব তৈরির কথা ঘোষণা করেছেন।খড়্গপুরের শিল্পপার্কে জমি দেওয়া হচ্ছে সাইকেল হাবের জন্য। সব মিলিয়ে মঙ্গলবার জেলা পরিষদের প্রদ্যোৎ স্মৃতি সদনে প্রশাসনিক সভা থেকে কর্মসংস্থানের একাধিক দিশা দেখিয়েছেন তিনি।
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : প্রশাসনিক সভা থেকে কর্মসংস্থানের উপর জোর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কখনো জব ফেয়ার সঠিকভাবে সামলানোর পরামর্শ দিয়েছেন আবার কখনো সাইকেল হাব তৈরির কথা ঘোষণা করেছেন। সব মিলিয়ে মঙ্গলবার জেলা পরিষদের প্রদ্যোৎ স্মৃতি সদনে প্রশাসনিক সভা থেকে কর্মসংস্থানের একাধিক দিশা দেখিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন : খড়্গপুর শহরে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য বন্ধে বাড়তি নজরদারি রাখতে পুলিশকে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
রাজ্যে ৭৮.৯ শতাংশ পরিবারে অন্তত একটি করে সাইকেল রয়েছে। যা সারা দেশের মধ্যে সর্বাধিক। সরকারি প্রকল্প সবুজ সাথীর সুফল পাচ্ছেন আমজনতা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর আফশোষ, ” আমরা এত সবুজ সাথী সাইকেল দিই। অথচ রাজ্যে কোথাও সাইকেল তৈরির কারখানা নেই।” একটা কারখানা ছিল সেটাও ধুঁকছে। এবার সেই সমস্যার সমাধান করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ” এবার খড়্গপুরের শিল্পপার্কের তৈরি করা হবে সাইকেল হাব।”
এদিনের প্রশাসনিক বৈঠকে পাঁচজন শিল্পপতি উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে একজনকে খড়্গপুরের শিল্পপার্কে জমি দেওয়া হচ্ছে সাইকেল হাবের জন্য। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের অভিনন্দন জানান। কর্মসংস্থানের জন্য জেলায় জব ফেয়ার এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু সেই মেলা নিয়ে অভিযোগ রয়েছে বিস্তর। অভিযোগ উঠেছে প্রতিশ্রুতি দিলেও চাকরি মিলছে না। এবার সচিবদের কড়া হাতে সেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি ৫৬ জন প্রাপ্তন মাওবাদী চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন : “বিএ, এমএ পাস করে ছেলেরা কাঁটা বাঁশ কাটছে”, প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীকে জানালেন লোধা নেতা
মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প সবুজ সাথী। ওই প্রকল্পে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের সাইকেল দেওয়া হয়। ২০১৫ সালে চালু হয় সবুজ সাথী প্রকল্প। ওই প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার এবং আন্তর্জাতিক বহু প্রতিষ্ঠান রাজ্য সরকারের প্রশংসা করেছেন। এখন পর্যন্ত এক কোটির কিছু বেশি সাইকেল বিতরণ করা হয়েছে। এদিন স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এবার স্বাস্থ্য সাথী কার্ড ফেরানো হলে সঙ্গে সঙ্গে থানায় এফআইআর করুন।
পুলিশ ও তৎক্ষণাৎ অভিযোগ খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ নিক।” প্রশাসনিক সভা থেকে পূর্ত দপ্তরের ভৎসনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন , “পূর্ত দপ্তরের বড্ড বেশি খাঁই। এত খাঁই কেন? কোন কিছু করতে চায় না, করতে গেলেও এমন বাজেট ধরবে যা বলার না। প্রথমে ৫ টাকা ধরবে। তারপর এক বছর পর বলবে ১৫ টাকা। এই অভ্যাসটা বন্ধ করো। ওদের দিয়েই সব কাজ করানোর দরকার নেই। আমি যেমন কাজ করাই না। কালীঘাতে মোড়ে এত বড় গেট করে দিয়েছি 50 লক্ষ টাকায়।
আরও পড়ুন : “নদীর ভাঙন আমার হাতে নেই, জলে টাকা ঢালতে পারব না এখন”, মেদিনীপুরে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
এত টাকা তো লাগেনি।” এদিনের প্রশাসনিক বৈঠক মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মানস ভুঁইয়া, ইন্দ্রনীল সেন, হুমায়ুন কবির, শিউলি সাহা, শ্রীকান্ত মাহাতো, সাংসদ দীপক অধিকারী (দেব), সাংসদ অপরূপা পোদ্দার ছাড়াও মুখ্যসচিব স্বরাষ্ট্রসচিব, ডিজি, জেলাশাসক, পুলিশ সুপার। ছিলেন সমস্ত বিধায়ক, পুরপ্রধান, জেলা পরিষদের সভাধিপতি, কর্মাধ্যক্ষ, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও কর্মাধ্যক্ষরা। রাজ্য প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ কর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Employment
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore