বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : ঘাটালের শিলাবতী, ঝুমি ও চন্দ্রকোনার কেঠিয়া নদীর জল বেড়ে প্লাবিত হয়েছে ঘাটাল পৌর এলাকা, চন্দ্রকোনা সহ বিভিন্ন এলাকা। জলে ডুবেছে রাজ্য সড়ক থেকে শুরু করে গ্রামীণ বিস্তীর্ণ এলাকা। বিঘার পর বিঘা কৃষি জমির ওপরে জলের প্রবল স্রোত ৷ তার ওপর দিয়ে জল পেরিয়ে নৌকা ও ডিঙ্গি করে চলছে যাতায়াত। সমস্যায় ঘাটাল মহকুমার বানভাসি এলাকার মানুষজন।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন :
For WhatsApp Group 1: Click Here
For WhatsApp Group 2: Click Here
পরিস্থিতি বিপজ্জনক বুঝে ঘাটাল মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস, দাসপুর ও চন্দ্রকোনার বিধায়িকা, মহকুমার পাঁচটি ব্লকের বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সহ সভাপতি, জনপ্রতিনিধি সহ প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে ঘাটালে বন্যার জরুরী ভিত্তিক বৈঠকে বসলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক খুরশিদ আলী কাদরী, জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার সহ জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা।
বৈঠক শেষে ঘাটালের আজবনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের রথীপুর এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন জেলা শাসক ও জেলা পুলিশ সুপার সহ প্রশাসনের আধিকারিকরা। পরে আরও একদফায় বৈঠক করেন রাজ্যের মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া আধিকারিকদের নিয়ে ৷ জেলা শাসক জানিয়েছেন, “বেশ কয়েকটি নদীর জলস্তর বিপদসীমা ছুঁয়ে ফেলেছে ৷ বর্ষণে পরিস্থিতি দেখে প্রচুর ত্রিপল বিলি করা হয়েছিল। বিপদ থেকে মানুষজনকে উদ্ধার করা শুরু হয়েছে। কন্ট্রোল রুম চালু রেখে উদ্ধার করে বিভিন্ন কেন্দ্রে রাখা হচ্ছে। ওষুধ থেকে খাদ্য সবটাই মজুদ রাখা হয়েছে।”
আরও পড়ুন : ২৪০ টাকায় ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেলা মেদিনীপুরে, দেখে নিন কোন থানা এলাকার বাসিন্দাদের কবে সুযোগ
আরও পড়ুন : বনদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই মহিলা কলেজে গাছ কেটে পরিবহনের অভিযোগ
পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার জানিয়েছেন, “পরিস্থিতি বিবেচনা করে চারটি এফডিআরএফ টিম আসছে। ফ্লাড সেন্টারগুলি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আমাদের কাছে মজুদ সামগ্রী নিয়ে বৈঠক হয়েছে ৷ সব দিক থেকে আমরা প্রস্তুত।” সোমবার বিকেলে কেশপুরের কলাগ্রাম সহ বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখেন ঘাটালের সাংসদ দেব তথা দীপক অধিকারী। তিনি বলেন, “প্রায় ৪০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে নতুন করে। ফলে বিপদ তৈরী হয়েছে একটা। প্রশাসনিক বৈঠক হয়েছে। মানুষের পাশে রয়েছি।” অন্যদিকে মেদিনীপুর শহরের পালবাড়ি এলাকায় প্রায় কুড়িটি বাড়িতে ঢুকে পড়ল জল।
কংসাবতী নদীর জলস্তর ফুলেফেপে উঠেছে। সেই জল শহরের পালবাড়ি এলাকায় ঢুকে পড়ে। বিপদ আশঙ্কা করেই ওই এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের উদ্ধার করে অন্যত্র সরানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পৌরসভার পৌরপ্রধান সৌমেন খান। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইয়া বলেন, “আমরা পরিস্থিতি দেখে ১১ টি উদ্ধার কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছি ৷ ৫ টা বিশেষ রান্নার স্থান তৈরী করেছি। ২২৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ফসলের ক্ষতির জন্য প্রস্তুত হতে বলেছি বিভাগীয় দফতরকে। সব দিক থেকে মোকাবিলার জন্য আমরা তৈরি।”
আরও পড়ুন : ইসরোর দরবারে পিংলার সৌম্যদীপ! ভবিষ্যতে স্বপ্ন গবেষণার
আরও পড়ুন : পুরোনো মামলায় বিজেপির একাধিক নেতা কর্মীর বাড়িতে অভিযান পুলিশের
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Ghatal Flood
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper