Fire in the forest in the evening, herd of elephant left the forest at night and entered the village and destroyed house, fear in Gurguripal.
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : পশ্চিম মেদিনীপুরের গুড়গুড়িপাল থানার পলাশিয়ার জঙ্গলে কেউ বা কারা আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল সোমবার সন্ধ্যায়। দাবানলের আকার ধারণ করেছিল সেই আগুন। পরে বন দফতর ও স্থানীয়রা গিয়ে নিভিয়ে ফেলে। এরপর গভীর রাতে ওই জঙ্গল ছেড়ে পলাশিয়া গ্রামে প্রবেশ হাতির। ভেঙে ফেলে একাধিক বাড়ি।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here
বনদফতর থেকে জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর সদরের চাঁদড়ার জঙ্গলে ১০ টি হাতির একটি পাল ছিল। সেই হাতিগুলি রাতে জঙ্গল ছেড়ে প্রবেশ করে পলাশিয়া এলাকায়। ওই পাল থেকে একটি হাতি দলছুট হয়ে খাবারের খোঁজে গ্রামের ভেতরে ঢুকে পড়ে। ভেঙে ফেলে অরুণ দোলই, সরস্বতী ভূঁইয়ার বাড়ি। কোনোরকমে প্রাণ বাঁচান পরিবারের লোকজন। সরস্বতী ভূঁইয়া বলেন, “রাত একটা নাগাদ হাতি বাড়ির ইটের দেওয়াল ভাঙতে থাকে।
Elephant Herd
ওই বাড়িতেই সন্তানদের নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলাম। ইটের টুকরো এসে বিছানার উপর পড়ে। ঘুম ভাঙলে বুঝতে পেরে পাশের রুমে সরে যায়। হাতিটি শুঁড় দিয়ে ভেতরে খোঁজ চালায় খাবারের। কোনোরকমে প্রাণে বেঁচে যায়।” সকালে পরিদর্শনে যান বনকর্মীরা। ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছেন বলে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিকরা জানান। তবে স্থানীয়দের দাবি, জঙ্গলে আগুন লাগালে খাবারের খোঁজে লোকালয়ে প্রবেশ করবেই হাতি।
আরও পড়ুন : রেশন বন্ধ হবে না তো ? মেদিনীপুর সদরে বিধায়ককে প্রশ্ন সাধারণ মানুষজনের
স্থানীয় বাসিন্দা অজিত সেনাপতি বলেন, চাঁদড়া রেঞ্জের প্রতিটি জঙ্গলই পুড়ে গিয়েছে। হাতিদের খাবারের মতো পাতা বা সবুজ অংশ নষ্ট হয়েছে। এদিনও পলাশিয়ার জঙ্গলে সন্ধ্যা বেলা আগুন লাগানোর পরে রাতে হাতি ঢুকে বাড়ি ভাঙচুর করে।” এমনিতেই হাতির খাদ্য সংস্থানের জন্য পশ্চিম মেদিনীপুরে কোনো জঙ্গল তেমন নেই, তারপর জঙ্গলে যেভাবে বারবার আগুন লাগানো হচ্ছে তাতে হাতি খাবারের উপযুক্ত পরিবেশ আরও হারিয়েছে।
আরও পড়ুন : পাঁচ কোটি ব্যয়ে জেলার সবথেকে সুসজ্জিত শীততাপ নিয়ন্ত্রিত মার্কেট কমপ্লেক্স গড়ার পথে মেদিনীপুর পৌরসভা
আরও পড়ুন : ইন্ডিয়া ও ইন্টারন্যাশনাল বুক অফ রেকর্ডসে পশ্চিম মেদিনীপুরের আরভি
স্বভাবতই হাতির দল প্রায়শই বিকল্প খাবারের খোঁজে লোকালয়ে প্রবেশ করছে। পলাশিয়ার ঘটনাও তার অন্যতম উদাহরণ। তবে বনকর্তারা জানিয়েছেন, মাইকিং করে সকলকে সতর্ক করা হয়েছে, বিশেষ করে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন যাতে কোনোভাবে জঙ্গলে আগুন লাগিয়ে হাতিকে বিরক্ত না করা হয় তার জন্য বারবার অনুরোধ করা হচ্ছে।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Elephant Herd
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper