Elephant Attack
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : ২০২২ এর পুনরাবৃত্তি। ফের হাতির পালকে কংসাবতী নদীর মাঝে রেখে ঘিরে ধরল দুই জেলার হুলা টিম। প্রায় চার ঘন্টা নদীতেই কাটাতে হলো হস্তি শাবক নিয়ে হাতির পালকে। পরে একদল হুলা টিম সরে যেতেই হাতির পাল নদী বক্ষ থেকে মুক্তি পেল। অভুক্ত হাতির পাল মুক্তি পেতেই হানা দিল কৃষি জমিতে। পাকা ধান খেয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করে ফেলল বিঘার পর বিঘা। সকাল হতেই বনদপ্তরের রেঞ্জ অফিসে বিক্ষোভ দেখালেন চাষিরা। দাবি, দ্রুত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। জানা গিয়েছে, ২৫টি হাতির একটি পাল চাঁদড়া রেঞ্জের আমগোবরার জঙ্গলে ডেরা বাঁধে।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খাবারের খোঁজে নেমে পড়ে লোকালয়ের কৃষি জমিতে। তারপরেই স্থানীয় মানুষজন সহ হুলা টিম হাতির পালকে কৃষি জমি থেকে সরিয়ে নিয়ে যায় কংসাবতী নদী পার করে মানিকপাড়ার উদ্দেশ্যে। অপরদিকে ঝাড়গ্রামের মানিকপাড়ার রামরামার জঙ্গলে ৩৫ টি হাতি ছিল। মানিকপাড়ার হুলা টিম হাতিগুলিকে নিয়ে মেদিনীপুর সদরের চাঁদড়ার উদ্দেশ্যে কংসাবতী নদী পার করানোর চেষ্টা করে। হাতির পৃথক দুটি পাল কংসাবতী নদীতে পৌঁছালে দুদিক থেকে দুই জেলার হুলা টিম ঘিরে ধরে। ২০২২ সালে অনুরূপ একই ঘটনা ঘটেছিল।
Elephant Attack
সেদিন রাত পেরিয়ে দিনের আলোতেও ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছিল হাতির পালকে কংসাবতী নদীর বালির চরে। যা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল বনদপ্তরে বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত্রি সাড়ে এগারোটা থেকে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত দুই পাশের হুলা টিমের ঘেরাটোপে শাবকদের নিয়ে হাতির পালকে নদীতে কাটাতে হয়েছে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে মানবিক খাতিরে সূর্য ওঠার আগেই ছেড়ে দেয় চাঁদড়ার হুলা টিম। দুটি পালে প্রায় ৬০টি হাতি রয়েছে বলে বনদপ্তর থেকে জানা গিয়েছে। নদী থেকে উঠে কৃষি জমিতে হানা দেয় অভুক্ত হাতির পাল। ব্যাপক ক্ষতি করে পাকা ধানের। পরে সকাল ছ’টা নাগাদ হাতির পাল চাঁদড়ার জঙ্গলে পৌঁছায়।
আরও পড়ুন : পুরুলিয়ার চাকরির সিটগুলি মেদিনীপুরের লোককে বিক্রি করেছিল শুভেন্দু?
আরও পড়ুন : নির্বাচনী প্রচারে পশ্চিম মেদিনীপুরে মুখ্যমন্ত্রী
হাতির দ্বারা ফসলের ক্ষতি ঘিরে শুক্রবার চাঁদড়া রেঞ্জ অফিসে বিক্ষোভ দেখালেন চাইপুর, কুন্ডলবনী এলাকার চাষিরা। তাদের অভিযোগ, দিনের পর দিন একই রুটে হাতি যাতায়াতের ফলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে পাকা ধান ও সবজির। পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্ষতিপূরণও মেলে না। তবে দ্রুত ক্ষতিপূরণ না মিললে রাস্তা অবরোধেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। তারা দাবি করেন, কিছুদিন হাতি জঙ্গলে আটকে রাখা হোক। যাতে চাষিরা মাঠের ধান বাড়িতে তুলে নিতে পারে। রেঞ্জ আধিকারিক সুজিত পন্ডা বলেন, “ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা তাদের দাবি লিখিত আকারে জানিয়েছেন। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো। হাতির পালকে জঙ্গলে আটকে রাখার চেষ্টা চলছে।”
আরও পড়ুন : ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে এবার অভিনেতা বনাম অভিনেতার লড়াই! জল্পনা তুঙ্গে
আরও পড়ুন : হুটার বাজিয়ে এসকর্ট করে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছাবে বনদপ্তর, থাকবে কড়া নজরদারি
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Lok Sabha Election
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper