ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : বনদপ্তরের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই শিকার উৎসবে সামিল হয়েছিলেন শিকারিরা। বনদপ্তর ও পুলিশের পক্ষ থেকেও ছিল বন্যপ্রাণ হত্যা আটকাতে নজরদারি। সামিল হয়েছিল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও। শিকারে আসা আদিবাসীদের অস্ত্র ও শিকার করা বন্য পশু ছাড়িয়ে নিয়েছিল সংস্থার লোকজন। প্রতিবাদে বিকেল থেকে শিকারিদের অবরোধ মেদিনীপুর-ঝাড়গ্রাম (ভায়া ধেড়ুয়া) সড়ক। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। ঘটনাটি মঙ্গলবার মেদিনীপুর সদর ব্লকের জামশোলে।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here
আগে থেকেই অনুরোধ, নির্দেশ, সাবধান- সব সত্বেও আদিবাসী সমাজের মানুষজন শিকার উৎসবে সামিল হয়েছিল মঙ্গলবার রাত থেকে। বনকর্মীরাও বিভিন্ন নাকা পয়েন্টে উপস্থিত ছিল তাদের আটকাতে। বাধা দিলে বচসা তৈরি হয় বনকর্মী ও শিকারিদের মধ্যে। বন্যপ্রাণ হত্যা আটকাতে নজরদারি চালিয়েছে বন্যপ্রাণ নিয়ে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা “হিল”। শিকারে আসা শিকারিদের অস্ত্র ও হত্যা করা বন্য পশু ছাড়িয়ে নিয়েছিল ওই সংস্থার লোকজন। তারপরেই আদিবাসী মানুষজন বিকেল থেকে মেদিনীপুর-ঝাড়গ্রাম সড়ক অবরোধ করে।
Midnapore
টানা চার ঘন্টা অবরোধের জেরে তীব্র যানজট ওই রাস্তায়। ভোগান্তির শিকার হোন যাত্রীরা। একদিকে কুড়মীদের অবরোধে খেমাশুলি এলাকায় জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ। নতুন করে ধেড়ুয়া রুটেও অবরোধ করে দেওয়ায় সমস্যা তৈরি হয় ঝাড়গ্রামের সঙ্গে মেদিনীপুর বা অন্য জায়গার যোগাযোগ। জানা গিয়েছে, এদিন কনকাবতীর জঙ্গলে বেশকিছু অস্ত্র ও হত্যা করা একটি বেজি শিকারিদের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নেয় “হিল”এর লোকজন। তারপরই বচসা তৈরি হয় শিকারিদের সঙ্গে। বনকর্মীরা ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়ে অস্ত্র ও বেজিটি বাজেয়াপ্ত করে।
আরও পড়ুন : কুড়মী এসটি তালিকাভুক্ত করার দাবিতে খেমাশুলিতে অবরুদ্ধ জাতীয় সড়ক
তারপর থেকে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে শিকারিরা। বিকেলে পথ অবরোধ শুরু করে। তাদের দাবি সমস্ত অস্ত্র ফেরত দিতে হবে। পুলিশ বোঝাতে গেলেও তাদের ঘিরে চলে ঠেলাঠেলি। রাত আটটা নাগাদ শিকারিদের লোকসংখ্যা কমে যায়। পুলিশ বুঝিয়ে অবরোধ তুলে দেন। “হিল”-এর পক্ষ থেকে শুভ্রজ্যোতি চ্যাটার্জী বলেন, “বন দফতর তার ক্ষমতানুযায়ী কাজ করলেও, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অসন্তুষ্ট আমরা। আরও বেশি সংখ্যক পুলিশ দেওয়ার প্রয়োজন ছিল। অনেক বন্যপ্রাণ হত্যা হয়েছে। সেই তথ্য আমরা আদালতে দেব।”
আরও পড়ুন : সম্প্রীতির নির্দশন মেদিনীপুর! মসজিদে ইফতারি দিয়ে শুরু বজরং-এর রামনবমী শোভাযাত্রা
আরও পড়ুন : স্কুলে পরীক্ষা চলাকালীন দুয়ারে সরকার! পশ্চিম মেদিনীপুরে বিতর্ক
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Midnapore
– Biplabi Sabyasachi Largest