বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : জেলায় ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাব ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় ইতিমধ্যে ৭০ জনেরও বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। জেলার বিভিন্ন ব্লক ও পৌর এলাকায় ডেঙ্গু রোগীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। নারায়ণগড়, ডেবরা, পিংলাসহ প্রায় সব ব্লকেই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী পাওয়া যাচ্ছে। তবে প্রতি বছর বর্ষা শুরু হতে না হতেই প্রায় শোনা যায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here
জেলা স্বাস্থ্য দফতর তরফ থেকে জানা গিয়েছে ,গোটা জেলা জুড়ে সর্বমোট ৭৩ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে, তবে প্রাণহানির কোন ঘটনা এখনো অবধি ঘটেনি। তবে জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে পিংলা ব্লকে এলাকায়। ওই এলাকায় ১০ জন আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেই সঙ্গে ডেবরা ব্লকে ১জন আক্রান্ত।প্রতি সপ্তাহে একজন করে আক্রান্ত হচ্ছেন পিংলা ও নারায়ণগড় ব্লকে। পাশাপাশি মেদিনীপুর পৌরসভায় চারজন মশা বাহিত রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। গত বছরের ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাবের পর থেকেই জেলা প্রশাসন বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। গ্রামীণ এলাকায় সচেতনতা সভা, ব্লক ও পঞ্চায়েত পর্যায়ে বৈঠক, শহর ও গ্রামে ডেঙ্গু সচেতনতার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে পিংলা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিমাই সিং জানান, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মধ্যে পিংলায় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা গিয়েছে ।আমরা পঞ্চায়েত সমিতির তরফে এই ব্লকের ১০টা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ভি আর পি দের সহযোগিতা নিয়ে জল জমে থাকা জায়গায় স্প্রে করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এলাকাবাসীদেরও নজর রাখতে হবে যাতে কোথাও কোনভাবেই জল জমা না থাকতে পারে। প্রয়োজনে জমা জল বের করার ব্যবস্থা করতে হবে যাতে সেখানে মশার লার্ভা জন্মাতে না পারে।
আরও পড়ুন : মেদিনীপুরে থেকে স্পেনের উদ্দেশ্যে রওনা দিল সরকারি হোমের এক নাবালক
আরও পড়ুন : বনদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই মহিলা কলেজে গাছ কেটে পরিবহনের অভিযোগ
এবং প্রত্যেকটি এলাকায় জঙ্গলে আগাছা পরিষ্কারের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কুসুম দা এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভিআরপি সুপারভাইজার তুষার কান্তি মান্না ও ভিআরপি সুমিত বসু জানান আমরা এলাকায় এলাকায় বাড়িতে বাড়িতে ঘুরছি সেই সঙ্গে আমরা সচেতন করছি ও সরকারিভাবে যে Temephos লারভি সাইট দেওয়া হয়েছে তা জমে থাকা জলে স্প্রে করছি, আমরা আশাবাদী এলাকার মানুষ সচেতন হলে ডেঙ্গুর প্রভাব অনেকটাই কমবে বলে মনে করি।” জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্য শংকর সাড়ঙ্গি জানিয়েছেন,জনস্বাস্থ্য মানে প্রতিটি মানুষের একসাথে সামাজিক শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুস্থ থাকার নাম হল জনস্বাস্থ্য।
Dengue Fever
তাই জ্বর হলে সেই রোগ না লুকিয়ে পরীক্ষা করান তাতে ম্যালেরিয়া ডেঙ্গু যাই হোক না কেন সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে চিকিৎসা করানোই শ্রেয়। সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়। নিজে বাঁচুন এবং অপরকে বাঁচান। নিজে সচেতন হোন অপরকে এবং সচেতন করুন!” সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ার কারণে স্বাস্থ্য বিভাগের উপর চাপ বেড়েছে। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন।
আরও পড়ুন : ইসরোর দরবারে পিংলার সৌম্যদীপ! ভবিষ্যতে স্বপ্ন গবেষণার
আরও পড়ুন : পুরোনো মামলায় বিজেপির একাধিক নেতা কর্মীর বাড়িতে অভিযান পুলিশের
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Dengue Fever
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper