ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : অন্ধকার নামলেই জমির ফসলে হানা দলমার দাঁতাল বাহিনীর। পাল্টা শীতের রাতকে ফালাফালা করে এগিয়ে চলেছে মশাল বাহিনীও। তারই মাঝেই কয়েকশ বিঘা জমির ফসল তছনছ। সম্প্রতি কলাইকুন্ডা এলাকা থেকে শতাধিক হাতি প্রবেশ করেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর সদরে।
কিছু হাতি পুনরায় ফেরত পাঠাতে সক্ষম হলেও রয়ে গিয়েছে এখনও প্রায় আশিটি। ওই হাতিগুলি বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে মেদিনীপুর সদর, শালবনী ও গড়বেতা এলাকায়। যার বেশিরভাগ রয়েছে শালবনীতে। গত শনিবার ও রবিবার হাতির পাল হানা দেয় শালবনী ও গড়বেতা ব্লকের মেটাল, বিষ্ণুপুর, দেউলকুন্ডা, মহারাজপুর, মঙ্গলপাড়া, কুসুমাসুলি এলাকায়।
১০০ বিঘার বেশি জমির ধান, আলু, লাউ তছনছ করে দিয়েছে। সকালে জমির চিত্র দেখে মাথায় হাত চাষীদের। বন দফতর থেকে জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর বনবিভাগে মোট ৮১-৮৪টি হাতি রয়েছে। চাঁদড়া রেঞ্জের মেটালে ৯-১০টি, সুকনাখালিতে -১০টি, পিড়াকাটা রেঞ্জের বেনাগেরিয়াতে ১০-১২টি, আড়াবাড়ী রেঞ্জের টুংনীতে ১২-১৩, জোড়াকুশমাতে ৯-১০টি, নয়াবসত রেঞ্জের দতালে ১৫-১৬টি, তিলাবুকাতে ১০-১২টি হাতি রয়েছে।
পাশাপাশি শালবনীর দেউলকুন্ডা এলাকায় ফসলের ক্ষতি ঘিরে উত্তেজনা। রবিবার ভোর চারটা নাগাদ বন দফতরের গাড়ি ভাঙচুর, বনকর্মী ও হুলা টিমের সদস্যদের মারধরের অভিযোগ স্থানীয়দের একাংশের বিরুদ্ধে। মশাল জ্বালানোর মোবিলও লুঠ করে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, ওই এলাকা থেকে হাতি পালকে সরানোর জন্য মোতায়েন ছিল গোদাপিয়াশাল রেঞ্জের বনকর্মী ও হুলা টিমের সদস্যরা।
সেই সময় দেউলকুন্ডা গ্রামের বেশকিছু মানুষ এসে তাদের গ্রামের ভেতরে নিয়ে গিয়ে চড়, কিল, ঘুষি চালিয়েছে। ঘটনায় আনন্দপুর বীট অফিসের বনকর্মী কৃষ্ণপ্রসাদ সরেন সহ তিনজন জখম হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে বন দফতরের একটি গাড়িও। পরে শালবনী থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দিয়ে উদ্ধার করেন।
ওই ঘটনায় সোমবার শালবনী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় বলে বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। বন দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মারধর ও ভাঙচুরে ঘটনায় সুব্রত রানা নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে থানায়। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে ঘটনায় আর কে কে যুক্ত রয়েছে।