The preservation of the temple began
আরও পড়ুন ঃ-পটাশপুরে ফের বিজেপি কর্মীর মৃত্যু , অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে
পত্রিকা প্রতিনিধি: পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়ার মাইশোরায় মাংলই গ্রামে মাইতি বাড়ির প্রায় দেড় শতাধিক বছরের ভগ্নপ্রায় প্রাচীন টেরাকোটা মন্দির সংরক্ষণ কাজ শুরু হল রবিবার কাশীজোড়া পরম্পরা হেরিটেজ অর্গানিজেশন নামক একটি সংস্থার হাত ধরে।উল্লেখ্য পাঁশকুড়ার পুরাকীর্তি সংরক্ষণের জন্য সচেতনতা গড়া ও সংরক্ষণের কাজ করে এই পাঁশকুড়া ভিত্তিক এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
বর্তমানে ধ্বংসের মুখে পড়া ওই প্রাচীন মন্দিরটিকে বাঁচাতে ও মানুষের কাছে টেরাকোটা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে শুরু হলো ভগ্নপ্রায় মন্দিরের কাজ।আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত পুরাকীর্তির অনন্য মন্দিরটিকে বাঁচাতে এখনই সংরক্ষণ প্রয়োজন বলে মনে করছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।বিশেষজ্ঞ দলে ছিলেন ‘গুরুসদয় মিউজিয়ামের সংরক্ষণ বিশেষজ্ঞ’ অনির্বাণ ব্যানার্জি ও ‘ইনটেকের বিশেষজ্ঞ’অরিন্দম দেবনাথ,সংগঠনের সম্পাদক রূপেশ সামন্ত সহ একাধিক সংরক্ষণ বিশেষজ্ঞরা।সংগঠনের সম্পাদক রূপেশ সামন্ত বলেন, ‘আমরা নিরলস ভাবে পাঁশকুড়ার পুরাকীর্তি সংরক্ষনের চেতনা গড়ার জন্য কাজ করে চলেছি। পাঁশকুড়ার পুরাকীর্তি গুলিকে চিহ্নিত করে সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সংরক্ষনেও উদ্যোগী হয়েছি।আজ থেকে মন্দির সংরক্ষণ এর কাজ শুরু হলো।আসলে আমাদের বর্তমান জীবন থেকে একে পর এক হারিয়ে যাচ্ছে বহু প্রাচীন স্মৃতি।
সরকারিভাবে কোনো সহযোগিতা আমরা পাইনি সরকারের বহু স্তরে বারবার জানিয়েছি। শুধু এই মন্দিরটি নয় পাঁশকুড়ার বহু মন্দির রয়েছে যেগুলি বিষ্ণুপুরের আদলে তৈরি।সরকারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত এই সব মন্দির সংরক্ষণের ব্যাপারে কোনো উৎসাহ দেখা যায়নি। আমাদের পাঁশকুড়া ভিত্তিক একটি অর্গানিজেশন রয়েছে কাশীজোড়া পরম্পরা হেরিটেজ জেটি সরকারি ভাবে স্বীকৃত সংস্থা।আমরা দীর্ঘদিন ধরে হেরিটেজ এর ওপর মানুষকে সচেতনতা করে চলেছি। পাঁশকুড়া তে এমন অনেক মন্দির রয়েছে সেগুলি এখনই সংরক্ষণ প্রয়োজন কিন্তু আর্থিক দিক থেকে সংগতি আমাদের নেই ।এই ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে যদি এগিয়ে আসে তবে পুরো পাঁশকুড়া ঐতিহ্য সেগুলি আগামী দিনে মানুষের নজরে আসবে।”
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
The preservation of the temple began
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore