Home » দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীর যৌথ প্রয়াস দৃষ্টান্ত, এখন হাতে হাত, বন্ধ হোক বাঁকা কথা

দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীর যৌথ প্রয়াস দৃষ্টান্ত, এখন হাতে হাত, বন্ধ হোক বাঁকা কথা

by Biplabi Sabyasachi
0 comments

সম্পাদকীয় প্রতিবেদনঃ কোভিড-১৯। উমপুন ২০। সংক্রমণ করোনা ভাইরাসও মারাত্মক ঘূর্ণিঝড় উমপুন। আমাদের রাজ্যে যে বিপর্যয় নেমে এসেছে এর থেকে পশ্চিমবঙ্গ বাসীকে বাঁচিয়ে তুলতে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। ২২ মে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যা উমপুন বিপর্যস্ত বেশ কিছু এলাকা ঘুরে দেখেন। এদিনই বসিরহাট কলেজে মুখ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র সচিব, রাজ্যপাল, অন্যন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও আধিকারিকদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রশাসনিক সভা করেন এবং সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রাথমিক ভাবে পূনর্গঠনের জন্য রাজ্য সরকারকে এক হাজার কোটি টাকা আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দুই সরকারের একসঙ্গে কাজ করার সময়। কেন্দ্র আমাদের রাজ্যকে অনেক সাহায্য করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতাজই সব ধরনের চেষ্টা করছেন।’ প্রধানমন্ত্রী রাজ্যের দূর্গত এলাকাগুলি খুব দ্রুততার সঙ্গে পরিদর্শন করে রাজ্যবাসীর মন কেড়েছে সন্দেহ নেই। মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে আন্তরিকতার পরিবেশ গড়ে উঠেছে। এখন পর্যন্ত প্রাথমিক ভাবে যে ক্ষয় ক্ষতির হিসাব পাওয়া গেছে তা ১লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন। কেন্দ্রীয় দল ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের পর রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর কেন্দ্রীয় সরকার আরও অর্থ বরাদ্দ করবেন বলে আশা করা যায়। প্রধানমন্ত্রী অবশ্য একই সঙ্গে উমপুনের তাণ্ডবে মৃত পরিবার পিছু দু’লক্ষ টাকা ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। মুখ্যমন্ত্রী ২১মে মৃত পরিবারকে ২লক্ষ ৫০হাজার টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। কলকাতায় প্রায় ৫৫০০টি গাছ ভেঙে পড়েছে। তাই কলকাতায় বিদ্যুৎ, জল ও সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক করা যায় নি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবার কাকদ্বীপ পরিদর্শন করেন। কলকাতাকে আগের অবস্থায় নিয়ে আসতে বিকেল থেকে ৩ কলাম সেনা নামানো হয়। সেনার জাওয়ানরা বিকেল থেকে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় কাজ শুরু করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী শনিবার সাংবাদিকদের বলেন, প্রায় ১কোটি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। সারা বাঙলা জুড়ে ১ হাজার টিম কাজ করছে। কাকদ্বীপে নোনাজল ঢুকে খাবার জল নষ্ট হয়ে গেছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন এখন ক্ষুদ্র রাজনীতি না করে পাশে দাঁড়ান। বিদ্যুৎ না থাকায় মানুষের সমস্যা হচ্ছে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানান। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন সাধ্যমতো সবকিছু কাজ করার চেষ্টা করছি। এমনকি জেনারেটারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “রাজ্যের ৭৫ভাগ লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন”

You may also like

Adblock Detected

Please support us by disabling your AdBlocker extension from your browsers for our website.