ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : স্বামীকে খুন করে প্রেমে পথের কাঁটা সরাতে চেয়েছিল স্ত্রী। তারই পরিকল্পনা করেছিল প্রেমিকের সঙ্গে। প্রেমিক পেশায় লরি চালক আমানুর হক। তার সঙ্গে খালাসির কাজ করতেন নাজমুল সাকিন (২২)। আমানুরের নজর ছিল নাজমুলের স্ত্রীর প্রতি। সদ্য বিবাহিত নাজমুলের স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল চালক আমানুরের। আমানুর ও নাজমুলের স্ত্রী তামান্না বিবি দুজনে নাজমুলকে খুন করার পরিকল্পনা করেছিল বলে পুলিশ জানতে পারে।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here
তাই জকপুর এলাকায় লরিতে ঘুমন্ত নাজমুলকে স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে খুন করার চেষ্টা করেছিল আমানুর। তামান্না বিবি ও আমানুরকে জেরা করে সব জানতে পারার পর তাদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কেশপুরের মুগবসান এলাকার বাসিন্দা নাজমুল সাকিন (২২)। নাজমুলের পিসির ছেলে আমানুর হক। দুজনেই একই লরিতেই চালক ও খালাসির কাজ করেন। গত ২৫ শে নভেম্বর রাতে নাজমুলকে রক্তাক্ত অবস্থায় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করে।
Paschim Medinipur
লরি চালক আমানুর পুলিশকে জানিয়েছিল, “খড়্গপুর গ্রামীণ থানার অন্তর্গত জকপুর রেল ব্রিজের কাছে চালক ও খালাসি প্রাতঃকৃত সারতে নেমেছিলেন। ওই সময় দুষ্কৃতিরা টাকা ছিনতাই করতে হাজির হয়েছিল। টাকা ছিনিয়ে পালানোর সময় সঙ্গে থাকা খালাসী নাজমুল বাধা দিতে গেলে, দুষ্কৃতিরা সামনে থেকে দুটো গুলি করে বাইক নিয়ে চম্পট দেয়। ছিনিয়ে নিয়ে যায় ছয় হাজার টাকা।” রক্তাক্ত নাজমুলকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা জটিল পরিস্থিতি ভেবে কলকাতার পিজিতে রেফার করে দেন।
আরও পড়ুন : “চলো গ্রামে যাই” কর্মসূচীতে সাইকেলে বিধায়ক, শুনতে হলো এলাকাবাসীর অভাব-অভিযোগ
আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেখানে সে চিকিৎসাধীন। অন্যদিকে ঘটনার তদন্তে নামে খড়্গপুর গ্রামীণ থানার পুলিশ। পরে ঘটনাস্থলে গুলি করার তেমন কোন চিহ্ন খুঁজে পায়নি পুলিশ। শুরু হয় ঘটনার সঠিক তদন্ত। লরির চালক আমানুরকে বারবার জিজ্ঞাসা করার পর বেরিয়ে আসে একাধিক তথ্য। অনেক চেষ্টার পর দেখা যায় কোনো গুলি করার ঘটনা ঘটেনি সেই রাতে। পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার সোমবার সাংবাদিকদের জানান, “এটা দুষ্কৃতিদের ছিনতাইয়ের ঘটনা ও গুলির কাণ্ড বলা হয়েছিল। তদন্তে ধরা পড়ে অন্য তথ্য।
আরও পড়ুন : উড়ছে ধুলো, জল দিয়ে মেদিনীপুর শহরের রাস্তা ধোয়া শুরু
আরও পড়ুন : মায়ের কোলে ‘অরণ্য’-কে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে মেদিনীপুর সদরে পথ অবরোধ-বিক্ষোভ
আসলে লরির চালক আমানুরের সঙ্গে খালাসী নাজমুলের স্ত্রী তামান্না বিবির অবৈধ সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। পথের কাঁটা সরাতে নাজমুলকে পরিকল্পিতভাবে খুন করার চেষ্টা হয়েছিল স্ক্রু-ডাইভার দিয়ে কুপিয়ে। জেরাতে সব স্বীকার করেছে তামান্না বিবি ও আমানুর। দুজনকে গ্রেফতার করে মেদিনীপুর আদালতে তোলা হয়েছিল। তাদের ৯ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। তবে এই তদন্ত সাফল্যের সঙ্গে করায় তদন্তকারী পুলিশ কর্মীদের ১০ হাজার টাকা পুরষ্কার দেওয়া হচ্ছে ৷”
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Paschim Medinipur
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali