School
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন: নবম থেকে দ্বাদশ শ্রণির ক্লাস শুরু হলেও পড়ুয়াদের উপস্থিতি অনেক কম। এমনই চিত্র দেখে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক পড়ুয়াদের বাড়ি বাড়ি খোঁজ নিতে যাওয়ার নির্দেশ দেন শিক্ষকদের। পরামর্শ দেন মাইকিং-এর। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে বিদ্যালয়গুলির পক্ষ থেকে শুরু হয়েছে মাইকিং ও পড়ুয়াদের বাড়ি বাড়ি যাওয়া। বিদ্যালয়মুখী কেন হচ্ছে না তারা? ছাত্রদের বাড়ি ফেরত শিক্ষকদের দেওয়া তথ্যে শোরগোল শিক্ষক মহলে।
আরও পড়ুন:-‘পাড়ায় পাড়ায় পৌরসভা’ কর্মসূচি মেদিনীপুরে
আরও পড়ুন:- একাধিক দাবিতে কৃষক বিক্ষোভ মেদিনীপুরে
সেখানে শিক্ষকরা দাবি করছেন, দীর্ঘদিন বাড়িতে থাকার অভ্যাস পড়ুয়াদের বিদ্যালয়মুখী করতে বাধা সৃষ্টি করছে। তার থেকেও প্রধান বাধা পরীক্ষা না দিয়েও পাস করে যাওয়া। বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনগুলি সেইসময় পরীক্ষা নেওয়ার দাবি তুলেছিল। তারা আশংকাও করেছিলেন, পরীক্ষা না হলে শিক্ষার ভয়ঙ্কর ক্ষতি হবে। স্কুল থেকে তাদের দূরত্ব সৃষ্টি করবে। শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ভাদুতলা বিবেকানন্দ, ধামচা ছাগুলিয়া, ভীমপুর সাঁওতাল হাইস্কুল সহ বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা কেউ গেলেন পড়ুয়াদের বাড়ি বাড়ি, কেউ অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করলেন।
School
আরও পড়ুন:- ফের উত্তপ্ত পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি, বিজেপি-তৃণমূল চাপান-উতোর
পড়ুয়াদের খোঁজে বাড়িতে যেতেই অবাক শিক্ষকরা। দেখলেন অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রী বাড়িতেই রয়েছে। অথচ বিদ্যালয়ে আসছে না। ভাদুতলা বিবেকানন্দ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অমিতেষ চৌধুরী বলেন, অনুপস্থিত ছাত্র-ছাত্রীদের আশি শংতাশ বাড়িতেই রয়েছে। বাকি কুড়ি শতাংশ বিভিন্ন কাজে যুক্ত বা কিছু ছাত্রীর বিয়ে হয়েছে। ওই আশি শতাংশর বাড়িতে থাকার অভ্যাস গড়ে উঠেছে। পাশাপাশি পরীক্ষা না হওয়ায় চাপ নেই। একই দাবি ভীমপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সোনালী বিট সরেনের।
আরও পড়ুন:- কেবল ধানের শিষ দিয়ে তৈরি নানা রকম বাহারি শিল্প তৈরি করে নাম করেছেন ভাদুতলার শিল্পী জয়ন্ত
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায়, স্কুলে যাওয়ার প্রতি এনার্জি হারিয়ে ফেলেছে। তবে শুধু যে স্কুল বন্ধ থাকায় এই চিত্র তা নয়, তার সঙ্গে উঠে এসেছে পরীক্ষা না হওয়া। পলাশতোড়্যা হাইস্কুলের শিক্ষক উত্তম প্রধান বলেন, বিদ্যালয় বন্ধে যা ক্ষতি হয়েছে, তার সঙ্গে আরও ভয়ঙ্কর ক্ষতি হয়েছে পরীক্ষা না নেওয়া। ধামচা ছাগুলিয়া হাইস্কুলের শিক্ষক বিপ্লব মাহাতর সংযোজন, ছাত্ররা ভাবছে পরীক্ষা এবারেও দিতে হবে না। পরীক্ষা না দিয়েই পাস করে যাবে। এই ভাবনায় অনুপস্থিতির আশি শতাংশ ছাত্র ছাত্রী স্কুলে আসছে না।
আরও পড়ুন:- ছাত্রদের বিদ্যালয়মুখী করতে পশ্চিম মেদিনীপুরে মাইকিং
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.cm/biplabisabyasachi
School
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore
Web Desk, Biplabi Sabyasachi online paper: Classes IX to XII have started but the attendance of students is very low. Seeing such a picture, the district school inspector instructed the teachers to go from house to house searching the students. Suggested Miking. Schools across the West Midnapore district have started miking and students going from house to house. Why aren’t they going to school? Noise in the teachers’ quarters in the information given by the teachers when the students return home.
Teachers there are claiming that the habit of staying at home for long periods of time is creating obstacles for students to go to school. The main obstacle is to pass the exam without it. Various teacher organizations at the time demanded that the test be taken. They also feared that if the exams were not held, there would be a terrible loss of education. Will create their distance from the school. On Saturday, teachers from various schools including Vadutala Vivekananda, Dhamcha Chagulia, Bhimpur Santal High School in West Midnapore district visited the homes of the students and discussed with the parents.
Teachers are surprised to go home in search of students. He saw that most of the students were at home. But not coming to school. Amitesh Chowdhury, headmaster of Vadutala Vivekananda High School, said eighty percent of the absent students are still at home. The remaining twenty percent are engaged in various jobs or some students are married. Eighty percent of them have developed the habit of staying at home. There is no pressure as there is no test as well. The same demand was made by Sonali Bit Saran, headmistress of Bhimpur High School.
He said that due to the long shutdown, he lost the energy to go to school. However, this is not just a picture of the school being closed, but also of not being tested. Uttam Pradhan, a teacher at Palashtora High School, said that the damage caused by the closure of the school was more serious than not taking exams. Dhamcha Chagulia High School teacher Biplob Mahatar added, students think they don’t have to take the exam again. Can pass without examination. Eighty percent of absentee students are not coming to school because of this thought.