ওয়েব ডেস্ক,বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন: ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে অ্যাবাকাস (Abacus)। একটি সংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রবিবার জেলার বিভিন্ন প্রান্তের দেড় হাজারের বেশি পড়ুয়া জড়ো হয় মেদিনীপুর কে ডি কলেজে (K D College of Commerce)।প্রতিযোগিতায় পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেই জানা গেল, অ্যাবাকাস পদ্ধতি কী ভাবে তাদের অঙ্কের ভীতি কাটিয়ে তুলেছে।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here
কী এই অ্যাবাকাস পদ্ধতি? এই ব্যবস্থায় যন্ত্র ছাড়াই (ক্যালকুলেটার) বাচ্চাদের অঙ্কের জন্য যোগ-বিয়োগ করতে শেখানো হয়। সে জন্য একটি কাঠের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়। যার মধ্যে বল জাতীয় সামগ্রী থাকে। এই সামগ্রীর সাহয্যে খুব সহজেই পড়ুয়ারা বড়-বড় যোগ বিয়োগ কয়েক মুহূর্তের মধ্যে সম্পন্ন করতে পারে। মূলত ওই কাঠের পরিকাঠামোর দ্বারা বাচ্চাদের শুধুমাত্র মস্তিষ্ক ব্যবহার করে সমস্যার সমাধানের রাস্তা দেখানো হয়।
এই ব্যবস্থার দ্বারা যেমন যন্ত্র নির্ভরতা কমানো যায়, তেমনই আত্মবিশ্বাসও বেড়ে যায় অনেকগুণ। একই সঙ্গে এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে কার্টুন, গেমস, যন্ত্র ব্যবহারের প্রবণতাও বাচ্চাদের মধ্যে অনেকখানি কমে যায় বলে জানাচ্ছেন অ্যাবাকাসের ট্রেনিংয়ের কর্ণধার (R D Academy) খষিরাজ দাস।তিনি জানান, বিগত ৬ বছর ধরে এই ধরণের প্রতিযোগিতার তিনি আয়োজন করে আসছেন। তবে ৭-১৪ বছর বয়সি পড়ুয়াদেরই শুধু এই পদ্ধতিতে যোগ বিয়োগ শেখানো যায়। কেননা, এর থেকে বেশি বয়সি বাচ্চাদের মনে এই পদ্ধতি তেমন প্রভাব ফেলতে পারে না।
চিকিৎসকদের মতে, ৭-১৪ বছর বয়সে বাচ্চাদের কোনও জিনিস মাথায় ধরে রাখার ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি থাকে।বেলদার বাসিন্দা পেশায় শিক্ষিকা অনামিকা সাহা বললেন, ‘আমার ছেলে রিভুর মনসংযোগের ভীষণ অভাব ছিল। এক বান্ধবীর পরামর্শেই ওকে অ্যাবাকাস ট্রেনিংয়ে ভর্তি করাই। তাতে ফলও মিলেছে।’ দেড় হাজার পড়ুয়ার উপস্থিতি থেকেই স্পষ্ট, অ্যাবাকাস পদ্ধতির দিকে এখন অনেক অভিভাবকরা ঝুঁকছেন। সংগঠনের তরফে পুজা পাঞ্জা দাস বলছেন, ‘উজ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এই পদ্ধতির অবদান গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, আত্মবিশ্বাস বাড়াতেও এই পদ্ধতি বিশেষ ভাবে সাহায্য করে।’