Home » কুকড়াহাটিতে আধুনিক প্রযুক্তিতে নদী বাঁধ সংস্কার

কুকড়াহাটিতে আধুনিক প্রযুক্তিতে নদী বাঁধ সংস্কার

by Biplabi Sabyasachi
0 comments

পত্রিকা প্রতিনিধিঃ বর্ষাকালে হুগলি নদীর তীরে এরিয়ার খালি এলাকার মানুষ থাকত আতঙ্কে ।কোটি টাকা খরচ করে কুকড়া হাটী এরা খালিতে জোরকদমে চলছে কংক্রিট বাঁধ তৈরির কাজ। কংক্রিটের বাঁধ তৈরির কাজ শেষ হলেই ওই এলাকার অর্থনৈতিক মানচিত্র বদলে দেবে বলে মনে করছে এলাকার মানুষ।সেচ দপ্তর তমলুক ডিভিশন এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার অনির্বাণ ভট্টাচার্য বলেন নতুন প্রযুক্তিতে সেচ দপ্তর এরিয়া খালিতে ৯০০ মিটার কংক্রিটের বাঁধ তৈরি করছে। পুরানো জমিদারি বাঁধ কে নদীর গভীর থেকে বাঁধের মাথা পর্যন্ত কার্যত কংক্রিটের চাদরে মুড়ে ফেলা হচ্ছে। সে জন্য বাঁধের নিচ বরাবর তৈরি করা হচ্ছে চ ওড়া কংক্রিটের টো ওয়াল। বাঁধের নিচে মেশিন দিয়ে পলিমাটি সরিয়ে গভীর খাত কাটা হচ্ছে।

প্রথমে খোঁজা হচ্ছে শক্ত এঁটেল মাটি তারপর সেই খাদের দুপাশে শাল বল্লী দিয়ে বেড়া তৈরি করা হচ্ছে।সেই খাদে মধ্যে ঢেলে দেওয়া হচ্ছে কংক্রিটের মসলা এই কাজ শেষ হলে জিওসেন্ট্রিক চাদর পেতে তার উপর কংক্রিট ব্লক বসানো হবে। অনির্বাণ আরো বলেন হুগলি নদীর ভাঙ্গন এর চরিত্র বিশ্লেষণ করেই প্রথম এ ধরনের বাঁধ তৈরি করা হচ্ছে। নদীর তলদেশে স্কাওরিং কারেন্টের প্রভাবের ফলে বাঁধের গড়া অংশ ঘর্ষণজনিত কারণে ক্ষয় হয় । তাতে বাঁধের ব্যাপক ক্ষতি করে। সেই ক্ষতি এড়াতে নয়া প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। বর্ষার আগে কাজ শেষ হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সুতাহাটা পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত কুকড়া হাটী এরিয়া খালি নদী বাঁধ বাধার কাজ শুরু হয়েছে। এর আগেও অনেকবার এই বাঁধ বাধার হয়েছিল। আম্ফান ঘূর্ণিঝড়ে শেষ হয়ে গেছে। ভারী বর্ষণে ওই এলাকার মানুষকে আতঙ্কে থাকতে হতো। তাই খবরের জেরে সেচ দপ্তরের উদ্যোগে নদী বাঁধের কাজ শুরু হয়েছে। প্রায় ৯০০ মিটার এই নদী বাঁধ কাজ হবে।


তার জন্য প্রাথমিকভাবে কাজ শুরু হয়েছে এরিয়া খালি শিব মন্দির থেকে বিজয় দাসের বাড়ি পর্যন্ত এই কাজ সম্পন্ন হবে। এবং কংক্রিট ঢালাই দিয়ে কাজ চলছে ।তিন কোটি ৯৪ লাখ টাকা দিয়ে সেচ দপ্তরের উদ্যোগে এই কাজ চলছে। এলাকার মানুষ জানালেন এই প্রথম এই নদী বাঁধ বানানোর কাজ শুরু হয়েছে। এর আগে বাম আমলে হয়েছিল তারপর চুপচাপ থেকে ছিল যখনই বর্ষা নামে নদীর বাঁধ ভেঙে যায় তখনই ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এর লোক নিয়ে এসে কাজ শুরু করে কিন্তু সারা বছর আর কেউ থাকেনা এই প্রথম নাবার্ড এর কাছ থেকে টাকা নিয়ে সেচ দপ্তরে কাজ শুরু করলো।এই কাজে স্থানীয় বাসিন্দারা কংক্রিটের বাঁধ তৈরীর কাজে খুশি।

You may also like

Adblock Detected

Please support us by disabling your AdBlocker extension from your browsers for our website.