Awas Yojana
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন: বাংলা আবাস যোজনায় টাকা নেওয়ার পরও বাড়ি তৈরি না করায় পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম-১ ব্লকে ৪ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতরা হল সুলতানপুর গ্রামের তাপস জানা, কাণ্ডপসরা গ্রামের শশাঙ্ক নায়েক, বড়কাণ্ডপসরা গ্রামের গৌরহরি জানা ও দুর্গাপুর গ্রামের লক্ষ্মণচন্দ্র মাজি। শশাঙ্কবাবু গ্রেফতার হওয়ার পরই তাঁর পরিবার বিডিও অফিসে গিয়ে ৬০ হাজার টাকা ফেরত দিয়ে এসেছে। এনিয়ে নন্দীগ্রাম-১ ব্লকে মোট ৬ জন বাংলা আবাস যোজনার উপভোক্তা প্রথম কিস্তি বাবদ পাওয়া তিন লক্ষ ৬০ হাজার টাকা ফেরত দিলেন।
আরও পড়ুন:- নিজের বিয়ে আটকে ‘বীরাঙ্গনা’ পুরস্কার পাচ্ছেন মেদিনীপুরের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী রুমা
মঙ্গলবার মহিষাদল ব্লকের মায়াচরের বাসিন্দা আশালতা সামন্ত আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরি করতে না পেরে ৬০ হাজার টাকা বিডিও অফিসে গিয়ে ফিরিয়েছেন। মহিষাদল ব্লকেও এপর্যন্ত পাঁচ উপভোক্তা তিন লক্ষ টাকা ফেরত দিয়েছেন। নন্দীগ্রাম থানার আইসি তুহিন বিশ্বাস বলেন, বিডিও-র অভিযোগের ভিত্তিতে মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় প্রতি বছর হাজার হাজার উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে বাংলা আবাস যোজনার টাকা ঢুকলেও অনেকেই বাড়ি তৈরি করেননি। জেলা প্রশাসন এবং জেলা পরিষদ থেকে এনিয়ে ঠিকমতো নজরদারি না থাকায় উপভোক্তারা ওই টাকা অন্য খাতে খরচ করে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন:- প্রশাসনের সচেতনতার পরও পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন ব্লকে ধানের জমিতে পুড়ছে নাড়া
এভাবে দু’-তিনবছর ধরে চলার পর শেষমেশ দেখা যায়, ওই স্কিমে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সাফল্যের নিরিখে সবার নীচে চলে গিয়েছে। এরপর হুঁশ ফেরে প্রশাসনের। বাংলা আবাস যোজনা নিয়ে শুরু হয় বিশেষ অভিযান। যাঁরা বিগত আর্থিক বছরে টাকা পেয়েও বাড়ি করেননি, তাঁদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে দু’দফায় চিঠি ধরানো হয়। এক সপ্তাহের মধ্যে বাড়ি তৈরি না করলে টাকা ফেরাতে হবে। ওই চিঠি পাওয়ার পরও অনেকেই বাড়ি বানাননি। তাঁদের বেছে বেছে এফআইআর হচ্ছে। নন্দীগ্রাম-১ ব্লকে এরকম ২০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে। আরও বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে এফআইআরের তোড়জোড় চলছে। এগরা-২ ব্লকে ২৪ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছেন বিডিও।
দু’জনকে পুলিস আগেই গ্রেপ্তার করেছিল। নন্দকুমার ও ভগবানপুর-১ ব্লকেও এফআইআর হয়েছে। বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পে পারফরম্যান্সে গতি আনতে জেলা প্রশাসন ‘গৃহপ্রবেশ’ নামে বিশেষ কর্মসূচি নিয়েছে। বিগত বছরে যাঁরা টাকা পেয়েও বাড়ি করেননি তাঁদের একযোগে বাড়ি তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরকম ১৬ হাজার বাড়ি বানানোর টার্গেট নিয়ে অভিযান শুরু করেছে প্রশাসন। প্রথমে ৪ নভেম্বর দীপাবলি উৎসবে একযোগে ১৬ হাজার বাড়ি উদ্বোধনের টার্গেট নেওয়া হয়েছিল। যদিও সেই কাজ অনেকটাই পিছিয়ে থাকায় তারিখ পরিবর্তন করে ১৪ নভেম্বর করা হয়েছিল। সেই তারিখও বদল করে ৩০ নভেম্বর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:- বেকার যুবক যুবতিদের কর্মদিশা,পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে মহকুমা শাসকের উদ্যোগে শিবির
ওই দিন উপভোক্তাদের হাতে মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছাবার্তা ধরিয়ে একসঙ্গে ১৬ হাজার বাড়ি উদ্বোধন হওয়ার কথা। যদিও নির্মাণের কাজে অনেক উপভোক্তা সাড়া দেননি। ২০২০-’২১আর্থিক বছরে জেলায় এক লক্ষ মানুষের বাড়ি তৈরির জন্য প্রথম কিস্তির টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। কিন্তু, অনেক উপভোক্তা বাড়ি তৈরির কাজে হাত লাগাননি। ২০২১-’২২আর্থিক বছরে আরও ৩৪ হাজার ৩৮৮টি বাড়ি তৈরির কোটা এসেছে। ওই স্কিমে রেজিস্টার থেকে জিওট্যাগিং ইত্যাদি কাজে ঠিকমতো গতি না থাকায় এবং নজরদারির অভাবে হাজার হাজার উপভোক্তা এতদিন বাড়ি না বানিয়ে সেই টাকা আত্মসাত করেছেন। এখন বেছে বেছে এফআইআর করছে প্রশাসন।
আরও পড়ুন:- ৩ মেট্রিকটন ওজন ও সাড়ে ৫ ফুট উচ্চতার শিবলিঙ্গ বসল ঝাড়গ্রামের এড়গোদায়
নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের বিডিও সুমিতা সেনগুপ্ত বলেন, মোট ২০ জনের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর হয়েছিল। নোটিস পাওয়ার পরও যাঁরা কাজ শুরু করেননি তাঁদের নামের তালিকা পঞ্চায়েত থেকে চাওয়া হয়েছে। জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, বাংলার আবাস যোজনায় আমাদের কাজে গতি আনতে হবে। অনেকেই টাকা নিয়েও বাড়ি করেননি। তাঁদের বাড়ি তৈরির জন্য নোটিস ধরানো হয়েছে। এরপরও যাঁরা করেননি তাঁদের টাকা ফিরিয়ে দিতে বলা হয়েছে। তা না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.cm/biplabisabyasachi
Awas Yojana
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore
Web Desk, Biplabi Sabyasachi online paper: Police arrested 4 people in Nandigram-1 block of East Midnapore for not building houses even after taking money from Bangla Awas Yojana. The arrested are Tapas Jana of Sultanpur village, Shashank Naik of Kandapasara village, Gaurahari Jana of Barakandapasara village and Laxman Chandra Maji of Durgapur village. After the arrest of Shashank Babu, his family went to the BDO office and returned 60,000 rupees. Thus, a total of 6 consumers of Bangla Awas Yojana in Nandigram-1 block returned the three lakh 60 thousand rupees received for the first installment.
Ashalata, a resident of Mayachar in Mahishadal block, returned to the BDO office on Tuesday after failing to build a house under the housing scheme. In Mahishadal block also five consumers have returned three lakh rupees so far. Nandigram police IC Tuhin Biswas said a total of four people have been arrested on the basis of BDO’s allegations. In East Midnapore district, thousands of consumers are credited with Bangla Awas Yojana every year, but many have not built houses. Consumers have spent the money in other sectors due to lack of proper supervision by the district administration and district councils.
Thus, after two-three years, it can be seen that East Midnapore district has gone down in terms of success in that scheme. Then the administration regained consciousness. The special campaign started with Bangla Awas Yojana. Those who did not return home even after receiving money in the last financial year were sent letters from house to house twice. If you do not build the house within a week, the money will have to be returned. Even after receiving the letter, many did not build houses. They are being FIR selectively. An FIR has been registered against 20 such persons in Nandigram-1 block. An FIR is being registered against several others. BDO has registered FIR against 24 people in Egra-2 block.
The two had earlier been arrested by police. FIRs have also been registered in Nandakumar and Bhagwanpur-1 blocks. The district administration has taken a special program called ‘Griha Pravesh’ to speed up the performance of Bangla Abas Yojana project. In the last year, those who did not get a house even after receiving money have taken initiative to build a house at once. The administration has started the campaign with the target of building 16,000 such houses. Initially, the target was to inaugurate 16,000 houses simultaneously on November 4 during the Diwali festival. Although the work was delayed, the date was changed to November 14. That date has also been changed to November 30.
On that day, 16,000 houses were to be inaugurated with the greetings of the Chief Minister in the hands of the consumers. Although many consumers did not respond to the construction work. In the fiscal year 2020-2021, the first installment of money has been credited for the construction of houses for one lakh people in the district. However, many consumers did not start building houses. In the fiscal year 2021-22, the quota for construction of 34,338 more houses has come. Thousands of consumers have embezzled the money from the register due to lack of speed in geotagging and lack of surveillance. Now the administration is selectively making FIRs.
Sumita Sengupta, BDO of Nandigram-1 block, said that an FIR was lodged against 20 people. A list of names of those who did not start work even after receiving the notice has been sought from the panchayat. District Magistrate Purnendu Maji said, “We have to speed up our work in the Bengal housing scheme.” Many did not even go home with money. Notice has been issued to build their house. Even then, those who did not have been asked to return the money. If not, legal action will be taken.