Infected home
আরও পড়ুন ঃ–পশ্চিম মেদিনীপুরে তীর বিদ্ধ তৃণমূল কর্মী, অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে
পত্রিকা প্রতিনিধি: মেদিনীপুর (Medinipur) শহরের ৪ টি ওয়ার্ড সহ পশ্চিম মেদিনীপুরের ৫৩ টি মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট (Micro-Containment) জোন হয়েছে। আবারও সংক্রমণ ঠেকাতে নতুন করে মেদিনীপুর শহরের ২ টি ওয়ার্ড সহ ঘাটালের (Ghatal) হরিদাসপুর ও ঘোলাবাজার এলাকাকে গন্ডীবদ্ধ এলাকার আওতায় আনা হয়েছে।
শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলা প্রশাসনের বিজ্ঞপ্তিতে মেদিনীপুর শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দেশবন্ধুনগর, জেলপুকুরপাড়, সুকান্তপল্লী, উদয়পল্লী ও সিপাইবাজার সহ ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বৈশাখীপল্লী, ঝর্ণাডাঙ্গা, সূর্যনগর, নিবেদিতাপল্লী ও ইন্দিরা পল্লীকে নতুন ভাবে মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট (Micro-Containment) জোন করা হয়। আগামী ১১ জুলাই থেকে পরবর্তী ৩ দিনের (১৪ জুলাই) জন্য এই সমস্ত এলাকাগুলিতে বিধিনিষেধ বহাল থাকবে বলে জানা যায় ।
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের (Corona Third Wave) সাথে মোকাবিলা করতে ও সচেতনতা বাড়াতে অভিনব উদ্যোগ নিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। হোম আইসোলেশনে (Home Isolation) থাকা করোনা সংক্রমিতদের বাড়িতে স্টিকার লাগানো হচ্ছে। সেই স্টিকারে লেখা রয়েছে কতদিন ‘হোম আইসোলেশন’-এ থাকতে হবে। পশ্চিম মেদিনীপুর পুলিশ সুপার (superintendent of police) দীনেশ কুমার (Dinesh Kumar) বলেন, “করোনা সংক্রমিতদের বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কোনোরকম সমস্যা হলে স্টিকারে দেওয়া ফোন নম্বরে জানান।” স্টিকারে উল্লেখ রয়েছে সংক্রমিতদের নাম, সংক্রমণ কবে ধরা পড়েছে, হোম আইসোলেশনে থাকার সময়সীমা, জেলা পুলিশের কন্ট্রোল রুম সহ করোনা কন্ট্রোল রুমের যোগাযোগ নম্বর।এখন প্রশ্ন জেলা প্রশাসন এভাবে যদি করোনা সংক্রমিতদের বাড়ি চিহ্নিত করে দেয়, তাহলে সামাজিক সমস্যা হবে না? এবিষয়ে জেলাশাসক (District Magistrate) রশ্মি কমল (Rashmi Komal) বলেন, “আগের মতো মানুষের মধ্যে আর আতঙ্ক নেই।করোনা সংক্রমিতদের সাহায্য করতে সবাই এগিয়ে আসছেন।”
ইতিমধ্যেই শহরে বেশকয়েকটি বাড়িতে এই স্টিকার লাগানো হয়েছে। তবে এই স্টিকার নিয়ে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন। তাঁদের বক্তব্য, এতে আক্রান্তের পরিবারের লোকজনকে স্থানীয় বাসিন্দা কিংবা প্রতিবেশীরা বাঁকা চোখে দেখতে পারেন। এমনকী পরিবারের সদস্যদের একঘরে করে দেওয়া হতেও পারে। প্রসঙ্গত, বর্তমানে লকডাউন কিছুটা শিথিল হওয়ায় শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় না রেখে ঘুরে বেড়ানোর প্রবণতা বেড়ে গিয়েছে। করোনা আক্রান্তদের পরিবারের লোকজনও ঘুরে বেড়াচ্ছেন। জমায়েত করছেন। এতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, করোনা আক্রান্ত পরিবারের সদস্যদের বাইরে ঘুরে বেড়ানোর প্রবণতা বন্ধ করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Infected home
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore