Communal Harmony
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন: ভিন ধর্মের মানুষ হয়েও ইসমাইল চিত্রকরের তৈরি কালীপ্রতিমা পুজিত হয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে ৷ তাঁর এই কাজ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য নজির তৈরি করেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরে ৷ প্রতি বছরই বিভিন্ন দেব দেবীর পূজার সময় দেব দেবীর মূর্তি কিনতে ক্রেতারা ভিড় জমান ইসমাইলের বাড়িতে ৷ ঠাকুর কিনতে মানুষজন আসেন ভিন জেলা থেকেও ৷ প্রায় চার দশক ধরে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি, পট তৈরি করে চলেছেন ইসমাইল ৷ এই কাজে তার স্ত্রী, ও দুই মেয়ে তাঁকে সাহায্য করেন ৷ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানার নাড়াজোল গ্রামের বাসিন্দা ইসমাইল চিত্রকর (৬১) ৷
আরও পড়ুন:- বর্তমান পরিস্থিতিতে বিপন্ন শৈশব, তবুও সম্পূর্ণ হারিয়ে যায়নি দীপাবলিতে দেওয়ালি ঘর তৈরির উদ্দীপনা
আরও পড়ুন:- মেদিনীপুরে বেসরকারি নির্ণয় হাসপাতালে হামলার অভিযোগ, থানায় অভিযোগ দায়ের কর্তৃপক্ষের
পট আর মূর্তি তৈরি করেই সংসার চালান ইসমাইল ৷ স্ত্রী ও মেয়েদের সহযোগিতায় একের পর এক গড়ে তোলেন লক্ষ্মী, সরস্বতী, কালী, কার্তিক, গণেশের প্রতিমা ৷ এলাকায় তাঁর কাজের কদর রয়েছে ৷ তাই ক্রেতার অভাব হয় না ৷ ফলে সারা বছরের খোরাকিটুকু জুটে যায় ৷ রাজন আমল থেকে এই কাজ করে আসছেন তাঁদের পূর্বপুরুষেরা ৷ এখন রাজার রাজত্ব না থাকলেও বাপ, ঠাকুরদার পেশা ছাড়তে পারেননি সেও ৷ হিন্দু দেবদেবীর প্রতিমা গড়ে রোজগার করতেই স্বাচ্ছন্দময় বোধ করেন ইসমাইলরা ৷ গত বছর করোনা আবহে বরাত তেমন জোটেনি ৷
আরও পড়ুন:- দাসপুরে নদীবাঁধে ফাটল, তলিয়ে গেল বহু বাড়ি, পরিদর্শনে বিধায়ক,এসডিও
আরও পড়ুন:- কালীপুজোয় মাটির প্রদীপের কদর কমেছে, তবুও আশাবাদী মৃৎশিল্পীরা
তবে এবছর কিছুটা হলেও আশার আলো দেখছে ইসমাইল ও তার পরিবারের সদস্যরা ৷ কালীপুজোয় ভালই কাজ পেয়েছেন বৃদ্ধ শিল্পী ৷ সেই কাজ এখনও চলছে জোরকদমে ৷ কারণ, হাতে আর সময় নেই বললেই হয় । দাসপুরের এই ঘটনা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য নজির গড়েছে ৷ রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য যে সমস্ত মানুষ ধর্মকে শিখণ্ডি করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে উঠে পড়ে লেগেছে ৷ তাঁদের গালে জোর চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে ইসমাইলের মতো মানুষরা তে ধর্ম যার যার উৎসব সবার ৷
আরও পড়ুন:- মেদিনীপুর শহরে অবৈধ গ্যাস গোডাউনে হানা পুলিশের
আরও পড়ুন:- ভর্তি না নিয়ে প্রসূতিকে ফেরানোর অভিযোগ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে
ইসমাইলের পাশে রয়েছেন অমর কুণ্ডুর মতো প্রতিবেশীরাও ৷ যাঁদের কাছে হিন্দু, মুসলমানের হানাহানি একেবারেই অনভিপ্রেত ৷ অমর কুন্ডু বলেন, ইসলাম ধর্মের এই শিল্পী হিন্দু দেবীর অবয়ব গড়ছেন, এমন দৃশ্য দেখেই বড় হয়েছেন তাঁরা ৷ তাই তাঁদের কাছে সাম্প্রদায়িক বলে কিছু নেই। তাঁরা ভালবাসেন মিলেমিশে থাকতে, এবং এক সাথে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উৎসব এ মেতে উঠবেন বলে জানিয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন:- পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতা যাত্রা, সাইকেল চালিয়ে ১০৬ কিলোমিটার পাড়ি দিলেন মেদিনীপুর রেঞ্জের আধিকারিক
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Communal Harmony
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore
Web Desk, Biplabi Sabyasachi online paper: Even though he is a man of Vine religion, the idol of Kali painted by Ismail Chitrakar has been worshiped for a long time. His work is a unique example of communal harmony in Daspur, West Midnapore. Every year during the worship of various gods and goddesses, shoppers flock to Ismail’s house to buy idols of the gods and goddesses. People also came from Vinh district to buy Tagore Ismail has been making idols and pots of Hindu deities for almost four decades He is assisted in this task by his wife and two daughters Ismail Chitrakar, 61, a resident of Narajol village under Daspur police station in West Midnapore district.
Ismail maintain the family by making pots and idols He made idols of Lakshmi, Saraswati, Kali, Kartik and Ganesha one after another with the help of his wife and daughters. His work appreciates in the area So there no shortage of buyers. As a result, food is gathered throughout the year. Their ancestors have been doing this since the Rajan period Now, even though the king is not ruling, he could not leave the profession of father and grandfather. The Ismailis feel comfortable earning an average of Hindu idols Last year, Karona did not add much to the atmosphere.
However, this year, Ismail and his family members are seeing a glimmer of hope. The old artist got a good job in Kalipuja. That work is still going on vigorously because there is no time in hand. This incident in Daspur has set a unique example of communal harmony. For the sake of political self-interest, people have risen up to destroy communal harmony by destroying religion. As a result, people like Ismail have shown with their fingers on their cheeks that their religion is everyone’s festival.
Neighbors like Amar Kundu are also by Ismail’s side For those who are against Hindus and Muslims, violence is absolutely unwelcome Amar Kundu said that they grew up seeing the scene where the artist of Islam is creating the image of a Hindu goddess. So they have nothing to do with communalism. They said they love to get along, and together they will celebrate the festival of communal harmony.