ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : দম্পত্য কলহের জেরে অসহায় মা তার ৮ বছরের শিশুকে বিদ্যালয়ে ভর্তি করাতে নাকানিচুবানি অবস্থা। নিয়মের গেরোয় আটকে রয়েছে সন্তানের বিদ্যালয়ে ভর্তি। নতুন পাঠক্রমের চার মাস অতিক্রম করে গেলেও এখনও পর্যন্ত বিদ্যালয়ের খাতায় নাম উঠেনি শিশুটির। উদাসীন সংশ্লিষ্ট মহল। বিদ্যাসাগরের ঘাটাল মহকুমার গোপমহলে এমনি এক ঘটনায় সন্তানের পড়াশুনা নিয়ে অসহায় মায়ের চোখে জল। জানা গিয়েছে শিশুটির নাম সৌদীপ বক্সী, মা পুজা বক্সী। প্রায় ৭ বছর আগে পুজাদেবীর বিয়ে হয় হুগলীর গোঘাট থানার বগাজল গ্রামে।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here
সেখানেই তাঁর দুই সন্তান হয়। কিন্তু শেষ কয়েক বছর ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ চরমে ওঠে। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে স্বামীর বাড়ি ছেড়ে দুই শিশুকে নিয়ে ঘাটালের গোপমহলের বাবার বাড়িতে চলে আসে পুজা দেবী। তাঁর বড় ছেলে সৌদীপ তখন প্রথম শ্রেণীতে পড়তো গোঘাটের বোগাজল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। গোপমহলে আসার পর ২০২৪ এর নতুন পাঠক্রমে পুজাদেবী তাঁর সন্তানকে শিক্ষার আলোয় রাখতে গোপমহলের একটি সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তি করাতে গেলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আগের বিদ্যালয় থেকে শিশুটির আগের বিদ্যালয়ের আই.ডি নাম্বার সহ ট্রান্সফার সার্টিফিকেট চেয়ে বসে। শুরু হয় নিয়মের জটিলতা। শিশুটির মায়ের দাবি আগের বিদ্যালয় থেকে শিশুর টিসি দেওয়া হচ্ছে না, এবং তাঁর কাছে তাঁর সন্তানের কোনো নথি হাতে নেই।
Paschim Medinipur
তাঁর স্বামী সেগুলো হাতিয়ে রেখেছেন। এদিকে একের পর এক দিন চলে গেলেও শিশুটি পড়াশুনা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকা। পরে এক সাংবাদিক ও ঘাটালের স্কুল ইন্সপেকটর এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সমন্বয়ে শিশুটি বর্তমানে আনঅফিসিয়ালি ভাবে বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করছে, দুপুরের মিড-মিল, জামা জুতো পেয়েছে। কিন্তু এভাবে সাময়িক সুরাহা হলেও আনঅফিসিয়ালি আর কত দিন চলবে? ফের আবারও সন্তানের ভর্তি নিয়ে অসহায় মায়ের চোখে জল। শিশুটি বর্তমানে যে বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চায় সেই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ পাল বলেন আগের বিদ্যালয় থেকে শিশুটির আই.ডি না পেলে এই বিদ্যালয়ের নামে সরকারি পোর্টালে শিশুটির নাম তোলা যাবে না।
আরও পড়ুন : মাধ্যমিকে এবারেও সেরা দশে পূর্বের ৭ পড়ুয়া, পড়ুন বিস্তারিত
আরও পড়ুন : “আত্মবিশ্বাসই সাফল্যের চাবিকাঠি”! ঝাড়গ্রামে মাধ্যমিকে প্রথম অন্বেষার লক্ষ্য ইঞ্জিনিয়ারিং
এই নিয়ে শিশুর মায়ের তরফে দেওয়া একটি লিখিত আবেদন উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হয়েছে । তাঁরাও বিষয়টি দেখছেন, আমরাও চেষ্টা করছি। কিন্তু প্রশ্ন হলো জানুয়ারি থেকে এপ্রিল শেষ, নতুন প্রাঠক্রমের অর্ধেক বছর পার হয়ে গেল, তাহলে শিশুর মা যদি তাঁর সন্তানের নথি আনতে অসমর্থ হয় সেক্ষেত্রে শিশুটি কি বিদ্যালয়ের খাতায় ভর্তি হবে না? সমস্ত মহল শুনেও কেন এত টালবাহানা দেখাচ্ছেন এই বিদ্যাসাগরের এলাকার এক শিশুর প্রতি? এবিষয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অতিরিক্ত জেলা শাসক কেম্পা হোনাইয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিস্তারিত তথ্য নিয়েছেন এবং দ্রুত সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।
আরও পড়ুন : জেলায় মেয়েদের মধ্যে প্রথম মেদিনীপুর মিশন গার্লসের তনুকা
আরও পড়ুন : মাধ্যমিকে জেলায় প্রথম মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের কৌস্তভ , প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Paschim Medinipur
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper