Education
আরও পড়ুন ঃ– “বন্যা নিয়ন্ত্রণে গত দশ বছরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কি করেছেন !”, খড়্গপুরে এসে মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের
পত্রিকা প্রতিনিধি: পুজোর পর নয়, এখনই খোলা হোক বিদ্যালয়। পশ্চিম মেদিনীপুরে (Paschim Medinipur)দাবি তুলছে ছাত্র ও শিক্ষক সংগঠনগুলি। এই দাবিতে জেলার মেদিনীপুর শহর (Medinipur Town) ছাড়াও খড়্গপুর (Kharagpur), নারায়নগড়(Narayangarh), বেলদা (Belda), কেশিয়াড়ীতে(Keshiary) সভা করলো শিক্ষক সংগঠন বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (B.P.T.A), ছাত্র সংগঠন ডিএসও (DSO)। মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister)জানিয়েছেন দুর্গা পুজোর পর বিদ্যালয় খোলা হতে পারে। রাজ্যে কমছে সংক্রমণ। জনজীবন প্রায় স্বাভাবিক, দোকান-বাজার-অফিস যানবাহন খুলে দেওয়া হয়েছে, খুলে দেওয়া হয়েছে শপিংমল-সিনেমা হল-মদের দোকানও তখন শিক্ষার মতো অপরিহার্য বিষয় বাদ কেন, কেন ক্লাসরুম ভিত্তিক পঠনপাঠন চালু করা হচ্ছে না? তুলছে প্রশ্ন।
Education
আরও পড়ুন ঃ– বাড়ি-জমির একাংশ নদীগর্ভে,ঘুম উড়েছে মেদিনীপুর গ্রামীণ এলাকার মানুষদের,অন্যত্র পুনর্বাসনের আশ্বাস প্রশাসনের
দেড় বছর ধরে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। বেশির ভাগ ছাত্রছাত্রীর পড়াশোনাও বন্ধ। বাড়ছে স্কুল ছুটের পাশাপাশি কম বয়সে মেয়েদের বিয়ে হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও। এই পরিস্থিতিতে ছাত্র শিক্ষকদের দাবি, অবিলম্বে বিদ্যালয় খোলা হোক। ছাত্র সংগঠন ডিএসও-এর বক্তব্য, ‘ছাত্র ও শিক্ষক সংগঠন, অভিভাবক ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে এই পরিস্থিতিতে কী ভাবে শিক্ষাব্যবস্থাকে চালিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় তার রোডম্যাপ তৈরি করা হোক। কিন্তু সরকার মূক ও বধিরের ভূমিকায় অভিনয় করে চলেছে। পাঞ্জাব(Punjab), হিমাচল(Himachal), উত্তরাখণ্ড(Uttarakhand), বিহার (Bihar)সহ বেশ কিছু রাজ্য স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ(West Bengal) খুলবে না কেন? ছাত্রছাত্রীদের দ্রুত টিকা দিয়ে কোভিড বিধি মেনে স্কুল খুলতে হবে।’
Education
আরও পড়ুন ঃ– পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে পথ দুর্ঘটনায় দুই যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু
শিক্ষক সংগঠনের জেলা সম্পাদক প্রতাপ পন্ডা(Pratap Panda) জানিয়েছেন, ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (Indian Council of Medical Research) ঘোষণা করেছে ভারতবর্ষে (India) অফলাইন পঠন-পাঠন শুরু করা যায়। অভিভাবকরাও চাইছেন তাদের সন্তানেরা যেন ক্লাসরুম শিক্ষার সুযোগ পায়। তখন সরকারের কেন এই অনীহা? বাস্তবে এর পিছনে রয়েছে শাসক শ্রেণির এক গভীর চক্রান্ত, যা তারা অতিমারির সুযোগে দেশজুড়ে জারি করার চেষ্টা করছে।’ বিদ্যালয় খোলার দাবিতে বিভিন্ন জায়গায় পথসভা করার পাশাপাশি জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদেও ডেপুটেশন দিয়েছে ওই শিক্ষক সংগঠন। সংগঠনের বক্তব্য, ‘অনলাইনে শিক্ষাদানের ফলে গুরুত্ব হারাচ্ছে ক্লাসরুম নির্ভর শিক্ষা। ছাত্র-শিক্ষকের আদানপ্রদানের মাধ্যমে ছাত্রের যে নৈতিক মান গড়ে ওঠে তাও হচ্ছে না। আগামী দিনে শিক্ষক নিয়োগও মারাত্মক ভাবে কমে যাবে। অন্যদিকে গরিব-নিম্নবিত্ত ছাত্রদের কাছ থেকেও শিক্ষার সুযোগ কেড়ে নেওয়া সহজ হবে।’
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Education
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore