Midnapore
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : পথটা মোটেই মসৃণ ছিল না। অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে বেঁচে থাকাটাই এক সময় দূরহ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। পড়াশোনা সেখানে ‘বিলাসিতা’ মাত্র! কিন্তু মনের জেদ সব বাধা কাটিয়ে থ্যালাসেমিয়ার সাথে লড়াই করেই ডাক্তারি পড়ায় সুযোগ পেলেন মেদিনীপুর শহরের বিধাননগরের ছাত্রী ইন্দ্রানী বিশ্বাস। সর্বভারতীয় NEET-পরীক্ষায় এবছর সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হয়েছেন ইন্দ্রানী।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here
এমবিবিএস পড়ার জন্য ভর্তি হয়েছেন কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে। জন্মের সাত মাস পরেই পরিবার জানতে পারেন তাঁদের কন্যা থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত। সেদিন থেকেই শুরু হয় লড়াই। ইন্দ্রানীর বাবা অভিজিৎ বিশ্বাস স্কুল শিক্ষক, মা তনুজা বিশ্বাস গৃহবধূ। প্রথম দিকে মাসে একবার করে রক্তের প্রয়োজন হত ইন্দ্রানীর। এখন মাসে দু’বার কলকাতায় গিয়ে রক্ত নিতে হয়। অসম্ভব মনের জোর আর বাবা-মায়ের উৎসাহকে সাথে নিয়ে বরাবরই ভালো রেজাল্ট করে এসেছে।
আরও পড়ুন : ফের দিঘা মোহনায় তেলিয়া ভোলা! দাম উঠল আকাশছোঁয়া
Midnapore
ইন্দ্রানীদের আদি বাড়ি বাঁকুড়া জেলার সারেঙ্গার নিবড়া গ্রামে হলেও, এখন বাবা-মা ও ভাই-এর সাথে মেদিনীপুর শহরের বিধাননগরে থাকেন। পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন বাঁকুড়া জেলার গড়গড়িয়া সুভাষ হাইস্কুলে। এরপর ২০১৯ সালে মেদিনীপুর শহরের নির্মল হৃদয় আশ্রম স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। চিকিৎসার কারণে অনেক সময়ই ভর্তি থাকতে হয়েছে হাসপাতালে বা নার্সিংহোমে। তাও জেদ ছাড়েনি ইন্দ্রানী। সেই অবস্থাতেই সে লড়াই করে পড়া চালিয়ে গেছে। করোনার সময় ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে রক্ত পাওয়া একসময় দুষ্কর হয়ে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন : লক্ষ্য পঞ্চায়েত ভোট, ময়দানে শাসক বিরোধী দুই শিবির
সেই সময়ও বাবা-মা ও শুভানুধ্যায়ীদের সাথে নিয়ে জীবন যুদ্ধে জয়ী হয়েছে। অসুস্থতার কারণে মাঝে মাঝে পড়াশুনো ছেড়ে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হলেও ইন্দ্রানী তার লক্ষ্যে ছিল অবিচল। আর সেই আত্মবিশ্বাস, লড়াই এবং বাবা-মা, শুভানুধ্যায়ীদের ভালোবাসা উৎসাহে আজ ইন্দ্রানীর লড়াই জয়ের লক্ষ্যে। আর নিজের মেধা, পরিশ্রম ও যোগত্যায় মেডিক্যাল পড়া শুধু নিজের না, এরকম আরও অনেকের লড়াইয়ের অনুপ্রেরণা হয়ে দাঁড়ালো ইন্দ্রানী। যেহেতু জীবনযুদ্ধের লড়াই রক্তের জন্য তাই ভবিষ্যতে হেমাটলজি নিয়ে পড়াশোনা করার ইচ্ছা তার।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Midnapore
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali