The health department is already working to control mosquito-borne diseases including dengue
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন: ডেঙ্গুর চোখ রাঙানি দমাতে আগে থেকে একাধিক পদক্ষেপ নিতে শুরু করল স্বাস্থ্য দফতর। করোনা পরিস্থিতির মাঝে ডেঙ্গুর বাড়বাড়ন্ত স্বাস্থ্য দফতরকে চিন্তায় ফেলেছিল। তাই বর্ষা আসার আগেই মশাবাহিত রোগ নিয়ে চিন্তা শুরু করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। শনিবার মেদিনীপুর শহরে মেদিনীপুর পৌরসভার আয়োজনে দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলার সমস্ত পৌরসভার আধিকারিক, সাফাই বিভাগের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক, স্প্রে ওয়ার্কার, স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নিয়ে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল জেলা শাসক দফতরের মাল্টিপারপাস বিল্ডিংয়ে।
শহরাঞ্চলে বর্ষার আগেই মশা দমন অভিযানে নামতে বিভিন্ন পৌরসভা গুলিকে নিয়ে বৈঠকে বসল রাজ্যের আরবান ডেভেলপমেন্ট ও মিউনিসিপাল অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্ট। রাজ্য সরকারের নতুন নির্দেশিকা ও কৌশল শেখানো হলো আধিকারিকদের। কাজ কেমন হচ্ছে তাও কলকাতা থেকে মুহূর্তে নজরদারির স্বার্থে চালু করা হচ্ছে বিশেষ মোবাইল অ্যাপ। এদিন বৈঠকের শীর্ষক ছিল, “ক্যাপাসিটি বিল্ডিং প্রোগ্রাম অন ভেক্টর কন্ট্রোল ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান।” বৈঠকে উপস্থিত হয়েছিলেন, স্টেট আর্বান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি আধিকারিকরা।
Dengue
আর্বান ডেভলপমেন্ট বিভাগের সচিব জলি চৌধুরী বলেন, “অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর একটু বেশি অগ্রণী ভূমিকা রাখতে বর্ষার কয়েক মাস আগেই এই বৈঠক। লক্ষ্য- ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া মুক্ত করা, শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখা। এজন্য লাগাতার পরিছন্নতা ও সচেতনতার উদ্যোগ নেবে পৌরসভাগুলি। অন্যান্যবারের তুলনায় এবারে পদ্ধতিগত মশা দমন কৌশল পাল্টানো হচ্ছে। আগে বর্ষার সময় বাড়ি বাড়ি পরিদর্শন হত, এখন এই কাজ করার জন্য বিভিন্ন আধিকারিকদের দায়িত্ব ভাগ করে আগে থেকেই মাঠে নামানো হচ্ছে। এখন থেকে প্রতি সপ্তাহে নির্দিষ্ট এলাকা ভাগ করে পরিদর্শন করা হবে মশার পরিস্থিতি নিয়ে। প্রতিটি এলাকার কাজকর্ম খতিয়ে দেখতে সুপারভাইজার নিয়োগ করা হচ্ছে।
প্রতি শুক্রবার এখন থেকেই পৌরসভা গুলি মশার পরিস্থিতি নিয়ে একটি করে রিভিউ বৈঠক করবে। পুরো কাজ কলকাতা থেকেও পুঙ্খানুপুঙ্খ খতিয়ে দেখতে বিশেষ অ্যাপ চালু করা হচ্ছে মশা দমনে।” জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার ভুবনচন্দ্র হাঁসদা বলেন, “জেলাতে গত কয়েক বছরে তুলনামূলকভাবে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা অনেক কমেছে। ২০২০ তে ডেঙ্গু আক্রান্ত ছিল প্রায় ২৫০, পরের বছর ২০২১-কমে হয়েছে ১৩০ জন, চলতি বছর ২০২২ এ এপ্রিল মাস পর্যন্ত মাত্র চারজন ডেঙ্গু আক্রান্ত পাওয়া গিয়েছে জেলায়। তার পরেও এই ধরনের কর্মশালা ও প্রশিক্ষণ দিয়ে উদ্যোগ নেওয়া হলে আশা করা যায় পরিস্থিতি অনেক নিয়ন্ত্রণে থাকবে।”
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.cm/biplabisabyasachi
Dengue
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore