Midnapore College: The cost of medical treatment of the student is wasted! Violent protests of students in Midnapore College
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : ছাত্রের চিকিৎসা খরচ সম্পূর্ণ কলেজ কর্তৃপক্ষকে বহন করতে হবে। এমনই দাবি তুলে শুক্রবার তুমুল বিক্ষোভ দেখালো মেদিনীপুর কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা। বলা যেতেই পারে, ওই ছাত্রের পাশে থাকতে একাধিক ছাত্র সংগঠন এমনকি সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরাও এক হয়ে গিয়েছে। যার যেরে চাপে পড়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ! উল্লেখ্য, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শালবনীর গোহালডিহি উচ্চ বিদ্যালয়ে কলেজের উদ্যোগে মাশরুম চাষের প্রশিক্ষণ ছিল। তাতে যোগ দিয়েছিল মেদিনীপুর কলেজের নিউট্রেশন বিভাগের পড়ুয়ারা।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here
কলেজেরই এক অধ্যাপকের বাইকে করেই ওই দুই ছাত্র যোগ দিয়েছিল বলে বন্ধুদের দাবি। ফেরার পথে শালবনীর চ্যাংশোল এলাকায় বেসরকারি বাসের সঙ্গে পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিল মেদিনীপুর কলেজের নিউট্রিশন অনার্সের প্রথম বর্ষের ছাত্র শুভজিৎ দোলই ও জিতেন্দ্রনাথ পাত্র। পুলিশ তাদের উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করে। দুজনেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাদের ভেন্টিলেশনে ভর্তি করে। পরে জিতেন্দ্রনাথের শারীরিক অবস্থা ততটা গুরুতর না হলেও, এখনও আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে শুভজিৎ।
Midnapore College
কেশপুরের বাসিন্দা দুঃস্থ পরিবারের ওই পড়ুয়ার চিকিৎসা খরচ জোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে পরিবারের লোকজনকে। প্রয়োজন পড়েছে কলকাতার কোন বড় সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার। কিন্তু তার খরচ জোগাতে অক্ষম পরিবার। সেই খবর পৌঁছায় কলেজের অন্যান্য বন্ধুদের কাছে। তারপরেই কলেজ কর্তৃপক্ষের উপর চাপ দেয় সমস্ত খরচ বহন করতে হবে। এই খরচ জোগাতে কলেজ কর্তৃপক্ষ গরিমসি করছে বলে অভিযোগ তুলে তুমুল বিক্ষোভ দেখায় ছাত্র সংগঠন এআইডিএসও, এসএফআই সহ সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা। তাদের দাবি, কলেজের কাজেই ওই দুই ছাত্র গিয়েছিল। ফলে যতটা সম্ভব নয়, পুরো খরচ এবং দায়িত্ব নিতে হবে কলেজ কর্তৃপক্ষকে।
আরও পড়ুন : হাসপাতালের বেডেই মাধ্যমিক পরীক্ষা দিল চাঁদমণি
আরও পড়ুন : কোথাও এসকর্ট করে, কোথাও হুলা জ্বালিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছে দিলেন বনকর্মীরা
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. সত্যরঞ্জন ঘোষ জানিয়েছেন, “প্রথম দিন থেকেই ওই ছাত্রের চিকিৎসার খোঁজখবর নেওয়া সহ সমস্ত ব্যবস্থা আমরা করেছি। প্রতিনিয়ত ছাত্রের পরিবার এবং চিকিৎসকদের সঙ্গেও আমরা যোগাযোগ রেখেছি। আমরা একটি বৈঠক করেছি। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে অভিভাবকরা যেভাবে চাইবেন আমরা সেভাবেই তাদের পাশে থাকব। আপাতত ১ লক্ষ টাকা এবং অ্যাম্বুলেন্স খরচ দিয়ে আমরা এক অধ্যাপককে পাঠাচ্ছি। ওই ছাত্রের যা শারীরিক পরিস্থিতি এখন তাতে বাইরে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যাও রয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। তবে পরিবারের লোকজন নিজ দায়িত্বে কলকাতার সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারেন।”
পাশাপাশি কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরাও ওই ছাত্রের চিকিৎসা খরচের জন্য সাহায্য আদায় করছিল। তাতেও নাকি বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, “এ ব্যাপারে তিনি কিছু বলতে পারবেন না।” তবে তিনি জানিয়েছেন, “কলেজের বদনাম করার জন্য কেউ বা কারা অপপ্রচার করছে।” কলেজের ছাত্র তথা এসএফআই নেতা সোমশুভ্র দাস বলে, “ওই ছাত্রের চিকিৎসার সমস্ত খরচের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন স্যারেরা। যখন আজ বড় ধরনের চিকিৎসার প্রয়োজন, তখন বলছেন ২০-৩০ হাজার টাকার বেশি দিতে পারবেন না। আমরা নিজেরাও কালেকশন করছিলাম।
সেখানেও বাধা দেওয়া হয়। এবং মিটিং প্রক্রিয়া তাঁদের চলেই যাচ্ছে। কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। মেদিনীপুর কলেজের প্রশাসনিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে। বাধ্যই এদিন বিক্ষোভ দেখাতে হয়েছে।” কলেজের আরেক ছাত্র তথা ডিএসও নেতা দেবজিৎ রায় বলে, “ভালো চিকিৎসার জন্য যেখানেই নিয়ে যাওয়া হোক সমস্ত খরচ কলেজ কর্তৃপক্ষকে বহন করতে হবে।” তবে চিকিৎসা খরচ কলেজ কর্তৃপক্ষ বহন না করলে দুর্বার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ছাত্র-ছাত্রীরা।
আরও পড়ুন : ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে এবার অভিনেতা বনাম অভিনেতার লড়াই! জল্পনা তুঙ্গে
আরও পড়ুন : হুটার বাজিয়ে এসকর্ট করে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছাবে বনদপ্তর, থাকবে কড়া নজরদারি
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Midnapore College
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper