পত্রিকা প্রতিনিধিঃ ২১ শে ভোট হচ্ছে এরাজ্যের ২৯৪ আসনে। কিন্তু ইতিমধ্যে আলোচনার কেন্দ্রে নন্দীগ্রাম। নীলবাড়ির লড়াইয়ে নন্দীগ্রামে এ বার গুরু-শিষ্যের লড়াই। তৃণমূলের তরফে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে প্রার্থী হয়েছেন। আর তাঁকে টক্কর দিতে বিজেপি সেখানে নামিয়েছে তাঁরই একসময়কার শিষ্য শুভেন্দু অধিকারীকে। মমতার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসময় নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু দলনেত্রীর সঙ্গ ছেড়ে অমিত শাহের হাত ধরে পদ্মশিবিরে নাম লিখিয়েছেন। আর তারপর থাকেই মমতা বিরোধী হয়ে উঠেছে শুভেন্দু।
এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার প্রথমে নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যন্ড লাগোয়া মাঠে কর্মিসভা করেন তৃণমূলনেত্রী। তারপর যান সোনাচূড়ার বাসুলী মায়ের মন্দিরে। সেখানে পুজো দেন তিনি! পাশের আরও দু’টি মন্দিরে যান তিনি। এরপর যান, নন্দীগ্রামের চণ্ডী মা-র মন্দিরে যান তৃণমূলনেত্রী। সেখানেও পুজো দেন। এরপর তিনি যান পাশের কালীমন্দিরেও। এরপর যান স্থানীয় মনসা মন্দির ও দুর্গামন্দিরে। পরে গৌড়মাতার মন্দিরে যান তৃণমূল নেত্রী। সেখান থেকে নন্দীগ্রামের সামশেরাবাদে একটি মাজারেও যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর জানকীনাথের মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন তিনি।
এর আগে কর্মিসভা থেকেই তৃণমূল নেত্রী ধর্মের নামে রাজনীতি না করার হুঁশিয়ারি দেন। এরপর শিবরাত্রির আগে বুধবার সকালে নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়া শিবমন্দিরে পুজো দিলেন মমতা। নিজের হাতে প্রসাদ বিতরণ করে মনোনয়ন জমা দিলেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।জানা গিয়েছে, এদিন নন্দীগ্রাম থেকে কপ্টারে চেপে হলদিয়ায় এসে পৌঁছন তিনি। এরপর হলদিয়া মঞ্জুশ্রী মোড় থেকে ১ কিলোমিটার পদযাত্রা করে হলদিয়া মহকুমাশাসকের দফতরে পৌঁছন। তারপর নির্বাচনী প্রক্রিয়া মেনে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি। এদিন তাঁর সঙ্গে রয়েছেন মন্ত্রী সুব্রত বক্সী এবং তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান।